পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিউনিষ্ণু শহর মিউনিক্‌ শ্ৰীমহামায়াপ্রসাদ সিংহ ও শ্রীধহকুমার জৈন ব্যাভেরিয়ার রাজধানী মিউনিক্‌ শহরকে জাৰ্ম্মেণীর প্রাণ বললেও অত্যুক্তি হয় না। মিউনিক ওদেশের সব চেয়ে স্বনার জায়গা । জাৰ্ম্মানরা একে সাজিয়ে-গুজিয়ে এমন মনোরম করে তুলেছে যে একে একবার দেখলে সহজে ভোলা যায় না। তা-ছাড়া, প্রকৃতির দানও কম নয় ;— চারদিকে গাছ-পালা, জলাশয়, পাহাড়-পর্বত,—দেপে প্রাণে কবিত্বের উদয় হয় । কিছুদিন পূৰ্ব্বে এখানে একটি বিরাট মিউজিয়ম বা বৈজ্ঞানিক সংগ্রহালয় স্থাপন করা হয়। সেই থেকে শহরটা ষয়-যুগের তীর্থ হয়ে দাড়িয়েছে। নানা দেশ থেকে বিজ্ঞানের উপাসকেরা এই যন্ত্র-তীর্থে এসে থাকে । কিন্তু আজকাল সেই আকর্ষণের মধ্যে একটা ভীষণত প্রবেশ করেছে। এটা হ’ল হিটলারের প্রিয় নগরী। নাংসিশক্তির প্রাদুর্ভাব এইখানেই হয়েছিল এবং এখনও সে শক্তি পরিচালিত হয় এখান থেকেই। কাজেক্ট মিউনিক্‌ এখন হিটলারের লীলাভূমি হয়ে দাড়িয়েছে। সংবাদপত্রে নাৎসি-অত্যাচারের কাহিনী পড়ে মনে হ’ত, কাগজওয়ালারা বড় বাড়িয়ে লেখে। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম তার মধ্যে অত্যুক্তি নাই। বালিনের পুলিস তবু সভ্য, কিন্তু মিউনিকের পুলিশের ব্যবহার দেখে বর্ষার যুগের কথা মনে পড়ে । রাস্তায় হিটলারের উপও মাংসি যুবকর। আমাদের দেখে এমনি মুখভঙ্গী করত, যেন আমরা তাদের চক্ষে অত্যস্ত ঘন্ত । এই বিংশ শতাব্দীতে, এমন সভ্য যুগে এ-সব দেখে-গুণে বড় দুঃখ হয় । শহরটা বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। এখানকার লোকসংখ্যা সাত লক্ষ । নদীর দুই ধারে শহর, মাঝখানে ইসার লঙ্গছে । প্রশস্ত রাজপথগুলি সোঞ্জা টান| চ'লে গেছে । স্থানে স্থানে মাঠ, গাছপাল, বাগান-বাড়ি আর বড় বড় ফোয়ারী । দেখে মনটা চাঙ্গা হয়ে ওঠে । এখানকার একটি ফোয়ার ( Wittelslwau-ker Hörunnen j qvfs-<if>{«, qa: সেটার জন্য জাৰ্ম্মানর। গৰ্ব্ব বোধ করে । সাধারণত: দেথতে গেলে জাম্মেনীর সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ষ্ট জাৰ্ম্মান-সংস্কৃতির কেন্দ্র, কিন্তু বার্লিন ও মিউনিক্‌ তাদের মধ্যে প্রধান । মিউনিক্‌-বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সব দেশেরই বিদ্যার্থীরা জ্ঞানলাভ ক’রে থাকে। ভারতীয় ছাত্রদের সংখ্যাও কম নয় । এখানে বিজ্ঞানের এবং আরও অনেক রকম পরীক্ষাগার আছে । এখানকার হাইড্রলিক বিদ্যালয় দেখে আনন্দ হ'ল। সঙ্গীত-বিদ্যালয়ও মন্দ নয়।