পরমা শ্ৰীমণীশ ঘটক আর কেহ বুঝিবে না। তোমাতে আমাতে এ বোঝ-পড়ার পালা সাঙ্গ করে যাব আজ রাতে অন্তরঙ্গ মালাপনে । রাত্রির অঞ্চল সঞ্চালনে শাস্ততর, স্নিগ্ধতর হয়ে এল বায়ু । তৃতীয়ার চন্দ্রের প্রমায়ু হ’ল শেষ । মেঘলোক হয়ে পার ঘনিষ্ঠ আশ্লেষ রচে পরম আত্মীয় অন্ধকার । হল পিয় সহি, জাস্তবজিগীষ বক্ষে অতীতের সে নিষাদ নহি আমি নহি । একদা যে আসঙ্গের ক্রুর আক্রমণ সবিদ্রুপে উপেক্ষিয়া কুমারীর আত্মরক্ষা-পণ বধির বাসব হস্ত-চু্যত বজ্রসম তোমারে করিল চূর্ণ, আমারি নিৰ্ম্মম স্বার্থ পরমার্থ দ্বন্দ্বে আজি নির্বাপিত সে অনল,--স্মৃতিভস্মস্তপে সমাহিত । অনলস কাল আবর্তনে মীরুহ হয়েছে অঙ্গার । হয়ত পরম কোনো ক্ষণে অঙ্গীরে ফুটিবে হীরা,—আজি সে প্রসঙ্গ অবাস্তর । বঁলোহু যৌবনের মধ্যাহ্ন-ভাস্কর সেদিন জলিতেছিল এ দেহ অম্বরে । দিকে দিগস্তরে সমীর শ্বসিতেছিল অগ্নিবী শ্বাস ।
- B=○4
চক্ষে ভরি ত্রাস তুমি কেন ঝাপ দিলে সে ধ্বংস-উৎসবে ? যৌবন গৌরবে বন্ধল-শাসন-মুক্ত তুঙ্গ স্তনৰয়, সঙ্কস উদ্বেল হ’ল গুপ্ৰ বক্ষময় । অজ্ঞাত শঙ্কায় অপাঙ্গে অনঙ্গ-তীর মুহুমুক্ত থমকিল হায় । শিহরিল পবাল-আধর । কেন্দ্রীভূত কামনার চুম্বক বিথ’রে থর থর ! অগ্ৰিম-অগপ্রয় ত্যজি আজন্ম-তাপসী কথস্থত। নিষ্কলুষ কুরঙ্গীর নুতরঙ্গে হলে অবিভূতি । নিস্করণ কিরাতের পঞ্চয সংস্পর্শে আচম্বিত মদ্যপ্লত,—হারালে সম্বিং ! হায় সখি হায়, তুমি তো জানিলে ন-কে সেই মৃগয়ায় এক অস্ত্রে হত হ’ল মৃগী ও নিষাদ । আদি রিপু উন্মোচিল প্লাবনের বঁাধ সেই পথ দিয়’ । প্রেম এল বস্থাiসম গুরুল ছাপিয়! সুগম্ভীর সমারোহে । অনাদ্যস্ত আজিও তাহ বহে দুৰ্ব্বার প্রবাহে তুলি উন্মত্ত কল্লোল । আমার নিখিল তারি উল্লাসে আজিও উতঃোন্স
