পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি ধৰ্ম্মশালা স্থাপনের ইচ্ছা করেন ও তদুদেণ্ডে ছাপ্পায় Aভপিচৰী আছিশাinstee ) ংিযুক্ত করিয়া উহাদের হাজার টাকা ব্যয়ে ৯, পাথুরিয়াঘাটা ট্রটে প্রায় সাত কাঠf জমির উপর অবস্থিত স্ববৃহৎ দ্বিতল বাটখানি ক্রীত হয়। ধৰ্ম্মশালাটির প্রতিষ্ঠা হয় ১০ই পৌষ, বঙ্গাব্দ ১৩৩২ সালে। "দক্ষিণারঞ্জন বসাক ধৰ্ম্মশালা’ই কলিকাতায় বাঙালীপ্রতিষ্ঠিত প্রথম ধৰ্ম্মশালা। এই ধৰ্ম্মশালায় সৰ্ব্বসমেত আঠারখানি প্রশস্ত কক্ষ ও তদ্ভিন্ন পৃথক পাকশালা আছে। ঘরগুলিতে বিজলী-বাতিরও বন্দোবস্ত আছে। ধৰ্ম্মশালায় যাত্রীসমাগম বৃদ্ধি হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে দ্বিতলে আরও অনেকগুলি গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিবার ব্যবস্থা হইতেছে । আশ্রিত ব্যক্তিদের স্বর্থ-স্ববিধার জন্য একজন ম্যানেজারের অধীনে অনেকগুলি ভৃত্য, দরোয়ান, মেথর প্রভৃতি নিযুক্ত আছে । ধৰ্ম্মশালাটি প্রকৃতই স্থপরিচালিত। ভারতবর্ষের ভূতপূৰ্ব্ব রাজধানী এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় মহানগরী কলিকাতায় নানা কাৰ্য্যব্যপদেশে বিভিন্ন স্থান হইতে বহু হিন্দু নর-নারীর সমাগম হয়। র্তাহাদের আশ্রয়দানের অন্ততঃ কিঞ্চিষ্মাত্র সুব্যবস্থাও যাহাতে সম্ভব হয় সেই উদ্দেশ্বে কলিকাতা, ২ নং তারাচাদ দত্ত ষ্ট্ৰীট, নিবাসী স্বৰ্গীয় হৃষীকেশ মল্লিক মহাশয়ের সহধৰ্ম্মিণী ও পুণ্যশ্লোক মতিলাল শীল মহাশয়ের পৌত্রী শ্ৰীমতী পুরস্কন্দরী দাসী সাত বৎসর পূৰ্ব্বে উনআশি হাজার টাকা ব্যয়ে ৬২৪, বীডন ষ্ট্রটস্থ প্রাসাদোপম ত্রিতল বাটখানি ক্রয় করেন ও দানপত্রে যথারীতি স্বাক্ষর করিয়া হিন্দু জনসাধারণের ও বিশেষ করিয়া বাঙালী হিন্দুদিগের বাসের জন্য উৎসর্গ করেন। এই পুণ্যবতী হিন্দুমহিলা ধৰ্ম্মশালার জন্য শুধু বাটখানি দান করিয়াই নিশ্চিস্ত হন নাই, তিনি ইহার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি স্থায়ী ধনভাণ্ডার স্থাপনোদেশে আরও পঞ্চাশ হাজার টাকা দান করিয়াছেন হস্তে এই অর্থ ও বাটখানি অর্পণ করিয়াছেন। কিঞ্চিদধিক আট কাঠা পাচ ছটাক জমির উপর অবস্থিত এই ত্রিতল ধৰ্ম্মশালায় সৰ্ব্বসমেত চব্বিশখানি প্রশস্ত গৃহ আছে। ধৰ্ম্মশালা স্বপরিচালনার জন্ত এক জন বেতনভোগী ফৰ্ম্মমংশ, দুষ্ট জন দরোয়ান, একজন ভূত্য ও এক জন ঝাড়ুদার নিযুক্ত আছে । ইংরেজী ১৯২৯ সালে, ১লা নভেম্বর, কলিকাতা কর্পোরেশনের প্রধান কৰ্ম্মসচিব ঐযুক্ত জে সি মুখোপাধ্যায় মহাশয় কর্তৃক পুরস্কন্দরী ধৰ্ম্মশালা’র দ্বারোদঘাটন হয় । কলিকাভার দক্ষিণারঞ্জন বসাক ধৰ্ম্মশালা’ ও ‘পুরষ্কন্দরী ধৰ্ম্মশালা ও চাদপুরের শ্রীমতী বাসষ্ঠী দেবী প্রতিষ্ঠিত একটি ধৰ্ম্মশালা ব্যতীত বাঙালী হিন্দু-মহিল৷ প্রতিষ্ঠিত আর কোন ধৰ্ম্মশালা আছে বলিয় অবগত নহি । মুর্শিদাবাদ জেলার অস্তগত কান্দী মহকুমায় ‘রামেন্দ্র স্থfত-ভবন' নামে একটি অতিথিশালা আছে। স্থানীয় বাঙালী ভদ্রলোকদের উদ্যোগে ও অর্থসাহায্যে vআচাধা রামেঞ্জস্বন্দর রিবেদী মহাশয়ের স্মৃতিরক্ষার্থ উচ্চ-ইংরেজী বিদ্যালয়ের অদূরে ইন্স প্রতিষ্ঠিত হয়। কাটোয়ায় ষ্টেশন হইতে এক মাইল দূরে গৌরাঙ্গঘাটের সন্নিকটে যুক্ত দেবদাস চট্টোপাধ্যায় মহাশয় প্রতিষ্ঠিত একটি কালীবাড়ী আছে । সেখানে হিন্দু আগন্ধকদের আশ্রয়দানের সুব্যবস্থা থাকায় ধৰ্ম্মশালার উদ্বেগুণ্ড কিযুৎপরিমাণে সাধিত হইতেছে। বৰ্দ্ধমানে যুক্ত শশীভূষণ বস্তু মহাশয় প্রতিষ্ঠিত একটি ও চন্দননগর ও নবদ্বীপে বাঙালী-প্রতিষ্ঠিত আরও দুইটি ধৰ্ম্মশাল আছে শুনিয়াছি, কিন্তু তাহাদের বিশেষ কোন বিবরণ সংগ্রহ করা সম্ভব হয় নাই ।