পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুধু নিরাশার উৰেল বেদনার উপর কথার পর কথা চাপ দিয়ে চল । চলতে চলতে ভোলানাথ এক সময়ে অবসর পেয়ে বললে, “বাৰু পশ্চিমে গেল দিদিমণি। তা বাবুকে কত বললুম, “বাৰু আমাকে সঙ্গে নাও—তা শুনলে না। বললে, ‘ন ভোলাদ, তুষ্ট বরং তোর দিদিমণির কাছে থাক তদিন আমি ক'ট দিন পশ্চিমটা একটু ঘুরে আসি। তুষ্ট থাকলে তৰু আমি একটু নিশ্চিন্দি হতে পারি। তা দিদিমণি আমি জানি কি না। ও আর কোথাও না ; বাবু গেছে ঐ প্রাগে । তুমি দেখে নিও। বৌমারে কি ভালই না বাস্ত বাবু! আমারে এই টাকা অার পত্তর দিয়ে পাঠিয়ে দিলে।” স্নেহশীল ভোলানাথের সরল উক্তি পাৰ্ব্বতীর মনে শচীন্দ্র সম্বন্ধে আবার একটু দ্বিধা উপস্থিত করলে । তবে কি সত্যং সে শচীন্দ্রকে তার কৰ্ত্তব্যের পথ থেকে বিচ্যুত করতে চায় ! বিপুল বলে সে মন থেকে আপাততঃ এই চিন্থ সবিশ্বে দিলে । ভোলানাথের আতিথ্যের ব্যবস্থা ক'রে দিয়ে সে চিঠিপত্র নিয়ে তার ঘরে প্রবেশ করলে। প্রথম প্যাকেটটায় কিছু টাকা, তার পরেরটায় হিসাবপরের একটা খসড়া। এই রকম আরও দু-তিনটা । ভার পর কয়েকখানা চিঠি—তার মধ্যে মেয়ে পাঠাবার দরখাস্ত থেকে আশ্রম-সংক্রাস্ত নানা বিষয়ের চিঠি। একথানা চিঠিতে অনিন্দিতা দেবী, কলিকাতা নারীভবন থেকে লিখছেন, “আপনার ও আপনার আশ্রম সম্বন্ধে অনেক প্রশংসা শুনিয়াছি। আশ্রম দেখিতে বড়ই ইচ্ছা হইতেছে । আমিও সামান্তভাবে একটি নারীভবন খুলিয়াছি। আপনার নিকট হইতে সাহায্য পাইলে উপকৃত হইব । দয়া করিয়া আপনার প্রতিষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা করিলে বাধিত হইল।”— নারী-প্রতিষ্ঠানে আসতে হ’লে, হয় পাৰ্ব্বতীকে লঞ্চের ব্যবস্থ করতে হয়—তাই চিঠিখানা সে আলাদা করে রেগে দিলে ; নতুবা কলকাতার ঘাট, যেখান থেকে লঞ্চ ছাড়ে, সেখানে অত্যন্ত অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে টিকিট কিলে লঞ্চে যfণ্ডয়া চলে । সপ্তাহে মাত্র দু-দিন এই লঞ্চ যাতায়াত করে। শেষ পত্ৰখানি একটা থামে মোহর করা । শচীন্দ্রের zegfarz | vitákista uzisti zorza Bhan “=ri esti ai cona কর্তৃ"বিস্তুতে পারে না। "না—সু-না” বলে সে *ামোচনের পূৰ্ব্বে নিজেকে যেন সাম্বলা দেবার চেষ্টা করতে লাগল। চিঠি ইংরেজীতে—এবং ছোট। চিঠিতে লেখা—যাহা বলিয়া তোমাকে সম্বোধন করিলে উপযুক্ত হয়, ভাষায় এমন শব্দ পাই মা। তুমি আমার চিত্তের সর্বশ্রেষ্ঠ অৰ্ঘ্য গ্রহণ কর। তাহাকে প্রেম বলিতে চাও বল, না বলিতে চাও, যাহা ইচ্ছা বলিও—কিন্তু তাহাকে অস্বীকার করিও না । আমার পত্নীর প্রতি আমার যে প্রেম তাহার মহামৃত্যু ঘটিতে পারে মাসেই কথাটা জানিবার জন্য বাহির হইলাম । পুনশ্চ :– ব্যাঙ্কের সহায়তায় নিয়মিত টাকা পড়ঢ়িবে—আশা করি তাহাতে কাজের অস্থবিধা হস্তবে না । চিঠিতে প্রত্যুত্তরের জন্য কোনও ঠিকান দেওয়া নাই । চিঠিপান হাতে ক'রে সে দীর্ঘকাল বাইরের দিকে চেয়ে চুপ ক'রে বসে রইল। তারই ভংসনার আঘাতে কতখানি অভিমানের আবেগে যে পন্থখানি রচনা করা সেই কথা মনে ক'রে শচন্দ্রের দুভাগা জীবনের প্রভি করুণায় প্রেমে তার fচত্ত পরিপূর্ণ হয়ে উঠল । মনে মনে নিজের কৰ্ত্তব্য স্থির ক’রে চিঠিখানি বাক্সে রেগে সে বারান্দtয় গিয়ে বসল। ♥ ዓ অনিন্দিভা দেবীর নারীeবনে আঞ্জ -মাস কমলা কতকটা নিরুদ্বেগে এবং অপেক্ষাকৃত মনের স্বাচ্চণ্যে অতিবাহিত করবার সুযোগ পেয়ে এক দিকে যেমন নিশ্চিন্তু হয়েছিল অন্য দিকে অজয়ের আদর্শনে ভার মনের অশাস্তি ৪ কিছু কম ছিল না । সীমার বন্ধুত্বে এবং সীমা সম্বন্ধে নিখিলনাথের অন্তরোধ পালনের চেষ্টায় সময় তার অবগু নিতান্ত ভারবহু হয়ে ওঠে নি এই যা। তবু সময়-সময় দরোয়াম পাঠিয়ে গোপনে নিখিলনাথকে অজয়ের সংবাদ সংগ্ৰহ ক'রে এনে দিতে হয়েছে। এতে যে দুর্ঘটনার স্বত্রপাত হয় কমলের জীবনে মঙ্গেতুক অতুশোচনার কারণ তার চেয়ে বড় আর কখনও ঘটে নি। কয়েক দিন হ’ল কমলের হাসপাতালের পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে । হাতে কিছু বিশেষ কাজ না থাকায় উপরের জানলায় u BBD uD DD MCO Du ttt Ttt Bu