পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকলকে এই আগুনের মধ্যে ফেলে একাকী পলায়নের মজ ভীরু নীচতার চিস্তাও তার পক্ষে অসম্ভব। so রজলাল দাড়িয়ে সীমার ভাবটুকু লক্ষ্য করে লিখিলের কথায় একেবারে জলে উঠল, বললে, “বাঃ বেশ, থিয়েটারী চলছে মন্দ নয় ! নিখিলবাবু এ অনধিকার চচ্চায় ত আপনার কোন প্রয়োজন নেই। বেশ খাচ্ছেন-দাচ্ছেন আরামে আছেন—বুদ্ধি করে প্রাণ নিয়ে সরে পড়েছেম সেই ত বেশ । আবার মিশনরীগিরি ফলাবার চেষ্টা নাই করলেন । নারী নিয়ে আপনার কারবার—নারীভবনে যান মিশনরীর কাজটা লাগবে ভাল,”—ব’লে পাশের বালকটির দিকে চেয়ে একটা কুৎসিৎ ইঙ্গিত করলে। বালকটি লজ্জায় মুখ নীচ ক’রে রইল । সীমা আর সহ করতে পারল না। এগিয়ে এসে বললে, “রঙ্গলাল তোমার ইতরামি করবার জায়গা এ নয়। ধাও, এখনই এখান থেকে, চলে যাও—নইলে সীমাকে তুমি জান ; আমি এখনই গিয়ে পুলিসে ধরা দেব—তোমাকেও বাদ দেব না।” রজলাল এতটা আশা করে নি। ধরা দিয়ে কুকুরের মত মারা পড়বার মত মনোবৃত্তি তার নয়। প্রচণ্ড বিপদের মধ্যে বিপুল অভিযান ক’রে দেশের ও দুনিয়ার লোককে চমকে দিয়ে ইংরেজের বিরুদ্ধে সামনাসামনি লড়াই ক'রে মারা যাবার বেপরোয়া কল্পনায় সে তুড়ক-সওয়ার । ক্ৰোধে, বিরক্তিতে, হিংসায় মুখ তার বিকৃত হ’য়ে এ’ল । তবু আপাততঃ নিজেকে সামলে নিয়ে মনে মনে একটা শপথবাক্য উচ্চারণ করে সে সরে গেল । সীমা এগিয়ে এসে বালকটির কোলে শিশুকে দিয়ে বললে, "নিখিলবাবু একে ফিরিয়ে দিতে যাওয়ায় অনৰ্থক বিপদ আছে তা"ত আপনি বোঝেন। আপনি কি দয়া ক'রে এ বিষয়ে একটু সাহায্য করবেন ?” নিখিল অত্যন্ত খুশীভর আগ্রহের সঙ্গে বললে, "নিশ্চয়, আমাকে যে-রকম বল তাই করতে প্রস্তুত আছি । আমি একে নিয়ে কি ওর বাবার কাছে—” সীমা একটু হেসে বাধা দিয়ে বললে, “না না তেমন কিছু করবেন না। তাতে আপনার ত মঙ্গল মাই-ই—আমরাও এড়িয়ে না যেতে পারি। আমরা টাকা দিচ্ছি। আপনি দয়া ক'রে একে ওর বাবার নাম ঠিকানা লিখে নিয়ে আপনার হাসপাতালে শিশু-বিভাগে একটা কেবিনে ভৰ্ত্তি ক’রে নিয়ে তাদের খবর দিন এই ব’লে যে তারা শিশুকে ভৰ্ত্তি ক'রে দিয়ে আর কোন খোজ করছে না কেন । তাতে আপনার চিকিৎসায় ওরও বঁচিবার উপায় হবে. কি বলেন ?” সীমার ব্যবস্থায় তার প্রতি নিপিলের প্রশংসমান চিন্তু উচ্ছ্বসিত ত'য়ে উঠল ; বললে, “সত্যি তোমার তুলনা নেই।” এষ্ট প্রশংসার লজ্জায় এবং একটা অপরিচিত তৃপ্তিতে সামার মনটা ভরে গেল । ঘটনাটি মাসখানেক পৃর্বের । ইতিমধ্যে রঙ্গলালের ব্যবহারে অবশ্ব কোন বিচূতি ঘটে নি। সামরিক নিয়মে রঙ্গলাল নিজের কাজ ক’রে যায়। সামার সঙ্গেও ব্যবহারে তার আর কোন কঠিন ঋজুঙা নাই । সীমা ব্যাপারটা ভূলেই গিয়েছিল। শুধু কলকাভা ত্যাগ করবার পূর্বের সন্ধ্যাবেলা সেঙ্গ বালকটি হঠাৎ এসে একটা প্রণাম ক’রে সলজ্জভাবে তাড়াতাড়ি একটি ছোট চিঠি তার হাতে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল । ছেলেটি সীমাকে সত্যিই ভক্তি করত। সেই কাগজখণ্ডে ‘প্রধানে'র সম্বন্ধে সাবধান হ'তে সনিৰ্ব্বন্ধ অল্পময় ছিল। সেইটুকু পড়ে সীমার মুখে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটে উঠল। সে উঠে গিয়ে কাগজটার অগ্নিসংকার করলে । 鬍 蠢 鬱 নিখিলের দুশ্চিন্তার আরও একটা গুরুতর কারণ ছিল। শিকারের গন্ধ পেলে হাউণ্ডের মুখের ভাবখানা যেমন হয় ভুলু দত্তের মুখের ভাবধান প্রায় তারই অহরূপ হ’য়ে উঠেছে আজ ক'দিন । আগেকার মত বেশী কথা BB BB BB DSDSJK BBB BBBBB BB BBDS নাড়ে, যেন কোন বিশেষ সমস্তার এক-একটা সমাধান তার মনে মনে হচ্ছে । বন্ধু-বান্ধবদের আর তেমন হৃষ্ঠতার সঙ্গে ব্যাপকভাবে আদর-আপ্যায়ন করে না । লোক এলেই তাড়াতাড়ি বিদায় ক'রে দেবার জন্যে ব্যস্ত হয় । আবার অধিকাংশ সময় তাকে বাড়ীতেও পাওয়া যায় না । এক নিখিলের সঙ্গে ব্যবহারে ভুলু দত্তের বিশেষ কোন পরিবর্তন হয় নি। টেররিজমের প্রতি নিখিলের নিদারুণ বিরুদ্ধত এবং অসহিষ্ণুতা ক্রমে দুলু দত্তের মনেও একটা