পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

صراع ھه ডাকলে পাওয়া যায় ন—একি একটা কথা হ’ল ? চাকর এল এবং এক পাশে থাকবার একটা ব্যবস্থাও হ’ল । খেতে ব’সে চরণদাস হেসে বললেন, “গরিবদের মেস এটি কিশোরবাবু, চার্জ ও খুব কম--অস্থবিধে হ’লে বলবেন ।” একপাশে সেই ক্ষীণ-কটি ভদ্রলোক ঠাকুরের সঙ্গে ঝগড় বাধিয়েছেন দেখলাম । তারই মধ্যে কোনও রকমে আহার সমাপ ক'রে উপরে উঠে আসে গেল । আহারাদি শেষ হওয়ার পর একটা প্রচণ্ড তর্ক-সভা বসে। সেদিন আর তর্কে যোগ দে গুয়া হ'ল না । কয়েক মাস পূ"রে গ্রামে যে কাজ ক'রে এসেছি, তারই খণ্ড-চিশগুলি ছায়া-ছবির মত নিদ্রাজড়িত চোপের উপরে ভাসতে লাগল । 豪 豪 籌 কয়েক দিন পরে চরণদাস একবার জিজ্ঞাসা করলেন, “কি রকম কিশোরবাবু, কেমন আছেন এ মেসে ? বললাম, ‘তবু ভাল এভ fদ• পরে খোজ নিচ্ছেন ' ‘বড় ব্যস্ত থাকি মশায়, যা দিনকাল পড়েছে—ডাইনে আনতে বায়ে কুলোয় না । তা দেখুন, আমাদের এ মেসে খরচপত্র খুবই কম। টিউশণী র এক-আধটা করতে পারেন ইচ্ছে করলে। পঢ়া-শুনাপ্ত করতে পারেন—ইচ্ছা করলে চাকুরীর চেষ্টাও করতে পারেন—যেমন খুশী কি বলেন ? চেয়ে দেখি তিনি কথা কষ্টছেন এদিকে আর এক দিকে জম-খরচ লিপে যাচ্ছেন—কখনও বা গীতার ভাষ্য মাঝে মাঝে দেখে নিচ্ছেন। বাইরে দেখলে মনে হয় নিরাবরণ নিম্পূহ ভদ্রলোকটি । একটু হাসলাম । দেপি তার বিরাম নেই—মেসটি তিনিই রেখেছেন চেষ্টাচরিত্র করে। মাঝে মাঝে মেসের দোতলায় নামতাম। দেখি একটি ঘরে এক দল ভদ্রলোক ব'সে নানা রকমের আলোচনা করছেন । সাহিত্য-রাজনীতি-সমাজ কত কি যে আলোচনা তার আর অন্ত নেই । কাগজপত্র ছড়িয়ে এক ভদ্রলোক ক্রমাগত খবরের কাগজের কাটিং সংগ্ৰহ ক’রে প্রকাও একখানি খাতায় আট দিয়ে আঁটছেন । আড়চোথে আমার দিকে তাকিয়ে একটু মৃদু হেসে বললেন, ‘আগুন, বমন ৷” পাশের চাকিতে এক দীর্ঘাকৃতি গৌরকাস্তি ভদ্রলোক ক্রমাগত বাণভট্টের কাদম্বরী আউড়ে যাচ্ছেন। বইয়ের স্তুপের মধ্যে তিনি সমাহিত। ভদ্রলোকদের আলোচনা শুনতে লাগলাম । ‘সাহিত্যের ‘স’ জানে না এমন সব লেখক আজকাল বুঝলে হে ! যা খুশী তাই লিখলেই হ’ল ? “মাসিকপথোন উলটে যান একধার থেকে দেখবেন সবই এক—একই লেখক নানা কাগজে লিখছেন—ন আছে বিস্ময় না আছে বৈচিত্র্য ।” প্রবণসী مــمــصــيـمـسـمـ -- ــيـمــس عاصفة SNご8Nう

  • আচ্ছ। এরা লেখে কেন বলতে পার ? কি আনন্দ

পায় ভাই লিগে বুঝতে পারি নে।" "তার পর ধর দেশ—কি উপকারটা হচ্ছে বল দেশের ? গ্রামগুলো ত যায়—গ্রামেরই যদি উন্নতি না হ’ল, সংস্কার না হ’ল—তা হলে কি হবে দেশের ? ‘সবেতেই সেই একই সমস্ত দাদা—সেই অর্থসমস্ত ? “ভ হলেও ত চেষ্টার দরকার ” "তারপর ধরুন গল্প—সব যেন মনে হয় বায়োস্কোপের ভায পড়ছি।” ‘ঠিক ঠিক—বায়োস্কোপের ভাষাই বটে। ভাষার এত শ্ৰীহীনতা কখনও দেপি নি ’ ‘কালে কালে কতই বা দেখব । সমাজের কথা আর বল কেন ?" এমন সময়ে চা এল । তারা সব চা গেতে লাগলেন । আমি যার কাছে বসেছিলাম, তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, “কি করেন আপনি এখানে ? ‘আজকাল অগতির গতি কি বলুন ত দেথি ! হেসে বললাম, ‘টিউশনী ? "তাই করি ।” তাকে বড় ভাল লাগল। 豪 薔 薔 মেসের গতানুগতিক বিস্বাদ জাবন চলতে লাগল। কত লোক, কত মেলামেশা, কত কোলাহল । টিউশনী ত সংগ্ৰহ করলাম—পরচপত্র মেটাতে হবে ত । চরণদাস বললেন, ‘দেখুন, এই ভাবেই চলছে আজকাল সবারই। স্বথ বা শান্তি যা-কিছু বলেন সে-সব মানুষের নিজের স্বষ্টি।’ “তা ত বটেই। মানুষের নিজের স্বষ্টি সমস্তই ৷” মাঝে মাঝে বেড়াতে যেতাম পার্কে, ভিক্টোরিয়ায়— মাঠে । দেখি অসম্ভব ভিড়–মামুষের সদাব্যস্ততা, কৰ্ম্মকোলাহল, অগণিত অসংখ্য মানুষ—জীবনের সংগ্রাম। চুপ করে বসে থাকি-বাউলের গানের স্বর মনে পড়ে— আর মনে পড়ে আমার গ্রাম—শিশিরসিক্ত মাঠ, বিদ্রোহহীন, কোলাহলহীন শাস্ত জীবন-যাত্র । আর সমাজ ! চতুর্থ পরিচ্ছেদ ছুটিতে আবার গ্রামে ফিরে এলাম-দেখি, সমস্ত গ্রাম জুড়ে নানা রকম অম্বথের পালা চলেছে। মাধব কেবলই ছুটাছুটি করছে—ওষুধ সংগ্রহ করছে, ডাক্তার ডেকে নিয়ে আসছে, আর এ-বাড়ী সে-বাড়ী ক'রে সেবা ক’রে বেড়াচ্ছে । লোক দেখাবার জন্তে সে যে সেবা করছে তা’ নয়—কেমন একটা আন্তরিকতী—যেটা শুধু তার দ্বারাই সম্ভব । আর দেখলাম, যেখানে-যেখানে আমরা জঙ্গল