পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न्धकांड्छब्र কেটেছি, সে-সব জায়গায় আবার জঙ্গলে ভ'রে গেছে ! ব্যর্থ চেষ্টার দিকে তাকিয়ে হাসি পেল । so মাধবের সঙ্গে কিছু দিন সেবাকার্ধ্যে আত্মনিয়োগ করা গেল , কেউ কেউ বললেন, “অকারণে দুটাছুটি করছেন বাবু-ওরা মরবেই।’ মাধব আমাকে পাশে পেয়ে আরও উৎসাহিত হয়ে উঠল । দাদামশায়ও দেখাদেখি এসে যোগ দিলেন। তিনি দয়া ক’রে কিছু কিছু খরচও করলেন । আমাদের চেষ্টায় গ্রামেরও কেউ কেউ উৎসাহান্বিত হ’ল । প্রবল চেষ্টার জয় সৰ্ব্বত্র । অস্বথের সময়টা কেটে গেলে অনেকেই সেরে ਚੋਲਿੰਗ | মাধবের বৈঠকখানাম একদিন গেলাম। দেখি সে অনেক কিছু জোগাড় করেছে। ওষুধপত্র আনিয়ে রেখেছে। নিতান্ত প্রয়োজনের সময় যা তার কাজে লাগতে পারে এমন সব জিনিষ সে আমিয়ে রেখেছে । বাইরের নানা সমিতি থেকে তার কাছে চিঠিপত্র আসছে। বারে বারে ব্যর্থ হয়েও তার চেষ্টার ক্রটি নেই । টিউবওয়েল বসাবার চেষ্টায় সে এবার উঠে-পড়ে লাগবে বললে । 鬱 鬱 景 দাদামশায়ের কাছে গিয়ে একদিন বললাম, ‘দাদামশায়, একদিন গায়ে গানের ব্যবস্থা হোক ৷” দাদামশায় বললেন, “তা বেশ ত—ব্যবস্থা কর।” মাধবের কাছে গেলুম। সে তখন জঙ্গল কাটাবার দরখাস্ত করছে। দেখলাম সে একেবারে আস্ত একটা পল্লীসংস্কারক হয়ে গেছে । সাধারণতঃ তা-হ হয় । মাধবও আমার কথা শুনে বলল, “বেশ, চেষ্টা করা যাক ৷” ফাঁদ ধ'রে চাদ আদায় হ’ল । গান হবে এই কথাটি দেখতে দেখতে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল । এ উৎসাহটি অন্ত রকমের । অম্বথ যার সেরেছে এবং অমুখ যার সারে নি—সকলেই উৎসাহিত হয়ে উঠল, গান হবে শুনে। 覺 覺 鬱 তাকেই খবর পাঠান হ’ল—যার সঙ্গে দেখা হয়েছিল বাশবনের অন্ধকারে । সে খবর পাওয়া মাত্র এল ভার জলবল নিয়ে । তার পর পাড়াগায়ে যেমন গানের ব্যবস্থা হয়ে থাকে। তেমনি ব্যবস্থা হ’ল। এক পাশে মেয়েরা ూbశాడా8 Fভারই । Ass এসে বসলেন—আর এক পাশে পুরুষরা। পোড়া তামাকের গন্ধে, রাত্রির শিশিরে, কালি-পড়া পুরানো লণ্ঠনের ধোয়ায় স্থানটি অপরূপ হয়ে উঠল। কেউবা এক-একগাছি ছোট বাশের লাঠি নিয়ে এসেছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুল্লা পড়ে পড়ে ঘুমুচ্ছে। সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ভদ্রলোকেরা সতরঞ্চি আর কম্বল বিছিয়ে মাঝে মাঝে তামাক টানছেন । এক পাশ থেকে কখনও বসে কখনও বা দাড়িয়ে দেখছি । এক জন জিজ্ঞাস করলেন, ‘হঠাৎ গানের ব্যবস্থা হ’ল কেন ?" ভামাক টানতে টানতে এক ভদ্রলোক উত্তর দিলেন, “এ সব ঐ কিশোর মাধবদের কাজ ।” ‘তা মন্দ হয় নি—কি বল হে ?” কেউ উত্তর দিল, কেউ বা দিল না। এরই মধ্যে গানের আসরে লব-কুশের আবির্ভাব হ'ল । হাতে চামর, মাথার চুল চুড়া ক'রে বাধা—ঠিক যেন রামায়ণের ছবির লব-কুশ । আসরের স্বল্প আলোয় তাদের বড় স্বশীর দেখাতে লাগল । তার চামর চুলায় আর গান গায় । মাঝে মাঝে গানের শেষে নাচে। প্রথমটা ‘সীতার বনবাসে’র একটা ছোটগাট বর্ণমা দিল, তার পর নাচের সঙ্গে সঙ্গে কৃত্তিবাসী রামায়ণের ভাঙা পয়ারে রচিত কোন অখ্যাতনামী কবির ভাষা স্বর ক'রে ক'রে গান করলে ৷ নাচের সঙ্গে সঙ্গে সেন্স গানের হুরে সীতার বনবাসের করুণ কথা বেশ জমে উঠল । দুঃখিনী সীতা নির্বাসিত হয়েছেন তমসাভারে বাল্মীকির তপোবনে । সেখানে কুশ-লবের জন্ম হয়েছে । সেই কুশ-পব বাল্মীকির শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। রামচন্দ্রের যজ্ঞশেষে সেই কুশ-লব এসেছেন বাল্মীকির আদেশে প্রামায়ণ গান করতে । রামচন্দ্র জানেন না যে, এই কুণ-লব তারই সপ্তান । বাল্মীকির রচিত রামায়ণ-কথা কুশ-লব সমবেত অযোধ্যাবাসীদের সম্মুখে গান করছেন স্থললিত কণ্ঠে । রামচন্দ্রের মনে আসছে কৌতুহল, ‘এন্ধ তরুণ সুকণ্ঠ কিশোর দুটি কারা ? কথসও শ্রদ্ধা, কখনও বাৎসল্য, কথনও বা করুণা—গ্রামচন্দ্রের বিদায্যমান হৃদয়ের মধ্যে নানা চিত্তবৃত্তির দ্বন্দ্ব চলছে। প্রিয়দর্শন দুটি কিশোর কিন্তু ধীরকণ্ঠে রামায়ণ গান ক’রে চলেছেন । মহাকাব্যের সেই চিরন্তন দুখ-কাহিনী সেনিষ্কার