পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ԳՅՆ Ψει" ι σ η গ্রামের অবস্থা ভাল, বামুণ্ডল छ्झेंडल। e नृक्लष्ठांदद নির্মিত। দেওয়ালের সাদা মাটির প্রলেপ, কাল ক টুকরায় তৈfর ছাউনির কৃষ্ণরেখা, ছাদের উন্নত ধ্বজ এবং দ্বার-জানালার সরল রেখা দূর হইতে অতি স্বন্দর দেখায়। সেচ-নালীর অন্তঃস্থিত প্রপাতস্থলে সন্তু পিধিবার “পঞ্চঙ্কি" ( জলধারায় চালিত পেষণ-যন্ত্র ) প্রায় চারিদিকেই দেখা ঘাইতেছিল। সেচ-নালী মধ্যভোট দেশে প্রায় সৰ্ব্বত্রই আছে কিন্তু এদিকের গুলি অধিক স্বরক্ষিত ও নিপুণভাবে নিৰ্ম্মিত বলিয়া মনে হয়। গ্রামের মধ্যেও ঐরূপ পঞ্চঙ্কি এবং বহু অৰ্ব্বদকোটি মস্ত্রে পূর্ণ একটি বৃহৎ “মাণী” জলশক্তিতে চালিত আছে দেখিলাম। মাণীর উপরিভাগে বাহিরের দিকে একটি দ্বও যুক্ত ছিল, মাশী ঘুরিতে ঘুরিতে প্রতি সম্পূর্ণ পরিক্রমায় একবার ঐ দও দিয়া উপরে লম্বমান ঘণ্টার জিহবায় আঘাত করিতেছিল এবং এইরূপে প্রতি চক্রের শেষে একবার ঘন্টাধ্বনি হষ্টতেছিল। এইরূপে প্রতি মুহূৰ্ত্তে বহু আৰু মন্ত্র জপের পুণ্য অর্জিত হইতেছিল। এই মন্ত্ৰও সাধারণ নহে, ভারতের শ্রেষ্ঠতম মস্ত্রের এক কোটি ইহার একটির সমান, মৃতরাং এক সেকেণ্ডে এই গ্রামে ধে-পরিমাণ পুণ্য উৎপন্ন হুইতেছিল তাহা সামান্ত গণিতশাস্ত্রের সাহাধ্যে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। আমি ভাবিতেছিলাম যে যদি এষ্ট সমস্ত পুণ্যরাশি ঐ মণীিস্থাপনকারী নিজের জন্ত রাখে তবে এক মূহুর্তের পুণ্য ভোগ করিতেই তাহাকে বহু কল্পকাল ইন্দ্র বা ব্ৰহ্মার পদে প্রতিষ্ঠিত -হইয়া থাকিতে হইবে, এক মাসের পুণ্যের ত কথাই নাই ! গণিতের এই দুরূহ সমস্তায় প্রান্ত আমার মন এই ভাবিয়া শাস্তি পাইল যে, এদেশে মহাযান প্রচলিত স্বতরাং ঐ পুণ্যের পুজি প্রাণীমাত্রেই পাইবে। কে বলিতে পারে, হয়ত এই ঘোর পাপসম্বটে লিপ্ত ভূমণ্ডলে মনুষ্য সমাজ ষে এতদিনে ভূগর্ভে বা সমুদ্রতলে বিলীন হয় নাই তাহার কারণ তিব্বতের এই হাজার হাজার “মাণী” ! আহে ! যদি যন্ত্রবাদী দুনিয়ার সকলে ইহার মাহাত্মা বুঝিত এবং আল্লা, খ্ৰীষ্ট, রাম, কৃষ্ণ এই সকল নাম প্রতি যন্ত্ৰচক্রে লক্ষ লক্ষ বার লিখিয়া রাথিত, যদি প্রতি ঘড়ির চাকায় ঐীমদ্ভাগবদগীতার শ্লোক অঙ্কিত থাকিত, তাহা হইলে•••! দশটার সময় আমরা গ্যাঞ্চী পৌছিলাম। কাঠমাণ্ডবের ধৰ্ম্মমান সাহুর অপার ধৰ্ম্মশ্রদ্ধার কথা ত সিংহলেই এক লদার্থী মিত্রের নিকট শুনিয়াছিলাম। শীগচীতে শুনিয়াছিলাম যে এখন কিছু দিনের মত র্তাহার এখানকার দোকান বন্ধ আছে। গ্যাঞ্চীতে র্তাহার দোকানের নাম গ্যো-লিং-ছেকপা, তিব্বতে মহল্লা বা নম্বরের স্থলে প্রতি গৃহের এইরূপ পৃথক নাম থাকে। এখনও লাসায় পৌঁছিতে জাট-দশ দিন বাকী, এই জন্ত আমি খচ্চরওয়ালাকে বলিলাম, আমি দ্বিপ্রহরে গ্যেঃ-লিং-ছোক-পা-তে থাকিয়া কিছু আহাৰ্য্য ও পাখেগ্নের ব্যবস্থা করিব, তাহার পর তাহাদের সঙ্গে চলিব। আমি সেখানে গেলে পর কিছুক্ষণ বাদে খচ্চরওয়ালারা জানাইল তাহারাও সেদিন গ্যাঞ্চীতেই থাকিবে, পরদিন যাত্রী করা হইবে। গ্যাঞ্চী—লাসা ও ভারতের প্রধান পথের উপরে পড়ে, এই পথ কালিম্পং হুইয়া শিলিগুড়ি চলিয়া গিয়াছে । এখানে ভারত-সরকারের বাণিজ্যদৃত, নেপাল সরকারের উকিল" ( রাজদূত ) ও তাহার সঙ্গে সহায়ক-বাণিজ্যদূত, ডাক্তার এবং দু-এক জন ইংরেজ অফিসার থাকেন। প্রায় এক শত হিন্দুস্থানী সিপাহী-পল্টনও এখানে থাকে । গ্যাঞ্চীর বিষয় পরে লিখিব স্বতরাং এখন এইটুকু বর্ণনাই যথেষ্ট। রাত্রে বর্ষ নামিল, এবং পরদিন ( ১০ই জুলাই ) বেলা দশটা পৰ্য্যস্ত বৃষ্টি চলিল। গ্যাঙ্কীতেও সকালে আটটা হইতে বারটা পৰ্য্যস্ত হাট বসে, আমি পথের জন্ত কাচা মূলা, চিড়া, চিনি, চাউল, চা, মিঠাই, সিদ্ধ মাংস ও মিষ্ট পরটা কিনিয়া লইলাম। পশ্চিম দিকের পর্বতমালার একটি বাহু গ্যাঞ্চীর প্রাস্তরে আসিয়া পড়িয়াছে, তাহার অস্তিম শিখরে গ্যান্ধীর জোঙ, এবং তিন দিকে গ্যাঞ্চীর বসতি। প্রধান বাজার ঐ পৰ্ব্বতবাহুর দক্ষিণ দিকে নীচে হইতে ঘুরিয়া পৰ্ব্বতের উপরিস্থিত গুম্বার ফাটক পৰ্য্যন্ত লম্বী চলিয়া গিয়াছে। গ্যো-লিং-ছোক-পা যে-পথে স্থিত তাহার উপর দীর্ঘ মাণীর দেওয়াল আছে। দ্বিপ্রহরে আমরা পৰ্ব্বতের ছোট টিল পার হইয়া অঙ্গ পারের বসতিতে আসিলাম । বস্তী হইতেবাহির হুইবার পথে কোথাও কোথাও জল বহিয়া ধাইতে ছিল। শশের ক্ষেতের বৃষ্টি-স্নাত গম ও জবের চারার হরিৎ আভা আরও উজ্জল দেখাইতেছিল ।