পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

घकोछुञ्म ৰিৰিৰ প্রসঙ্গ—সুৰৰাষ্ট্রৰন্দীদের নমুনা | ማ\¢¢ “অন্তরীন”দের ক্রমিক পৃথক মুক্তি शल्लिकत्र श्लन नकल त्रुचमशश अशक्ड সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছে, যে, কৃষি বা শিল্প শিখাইয়া দিয়া জনা চল্লিশ “জন্তরীন"কে মুক্তি দেওয়া হইয়াছে। গত বৎসর জনা যাটকে ঐ প্রকারে খালাস দেওয়া হইয়াছিল। সরকারী কোন কোন উক্তি এবং এই প্রকার কাজ হইতে অনুমান হয়, গবন্মেণ্ট ক্রমে ক্রমে কয়েক জন বন্দীকে প্রতি বৎসর ছাড়িয়া দিবেন। কৃষি ও শিল্প ভাল। কিন্তু অনেক যুবক অন্ত কাজের উপযুক্ত, ক্লষিকাধ্য ও শিল্পের কাজ তাহদের দ্বারা হইবে না। তাহারা কি খালাস পাইবে না ? এখন ঠিক কত জন এই রকম বন্দী আছে, জানি মা । যেমন কতকগুলিকে ছাড়িয়া দেওয়া হইতেছে, তেমনই জাবার নূতন নূতন লোককেও বন্দী কবা হইতেছে বলিয়া আমাদের ধারণা—ঠিক বলিতে পারি না। যাহা হউক, ব্যবস্থাপক সভায় আগেকার কোন কোন প্রশ্নোত্তর হইতে মনে হয়, এখন বিনা-বিচারে বন্দীর সংখ্যা আডাক্ট হাজার হইতে পারে—দু-হাজাবেল কম নয়। যদি প্রতি বৎসব গড়ে পঞ্চাশ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়, তাঙ্গ হইলে সকলেব মুক্তি পাটতে পঞ্চাশ বা চল্লিশ বৎসর লাগিবে—অবশ্য যদি ইতিমধ্যে তাহাদের স্থান পুরণের নিমিত্ত নুতন নুতন বন্দীর জামদানী না হয়। পঞ্চাশ বা চল্লিশ বৎসরের আগেষ্ট অনেকের ভবধাম হইতে মুক্তিলাভ ঘটবে—রোগে বা স্বেচ্ছাবলম্বিত উপায়ে। প্রতি বৎসর গড়ে এক শত জনকে খালাস দিলেও সকলের মুক্তি পাইতে পচিশ বা কুডি বৎসর লাগিবে। এক জন লোককেও বিন বিচারে পঞ্চাশ চল্লিশ পচিশ বা বিশ বৎসর, কিংবা এক বৎসরও, বন্দী করিয়া রাখা কি উচিত ? বিনা বিচারে বন্দীকরণের ফল ষে-সব খবরের কাগজের সম্পাদক ও ব্যবস্থাপক সভার সভ্য রাষ্ট্ৰৰক্ষ্মীদের সম্বন্ধে আলোচনা করেন, বন্দীরা তাহাদের আত্মীয়ম্বজন ৰলিয়া তাহা করেন না—অনেকেরই সহিত কোন বীর জুর সম্পর্কও নাই। তাহারা আলোচনা করেন এই নীতির অনুসরণ করিয়া, যে, বিনা বিচারে কাহারও স্বাধীনতা हञ्चल कच्च छेखि मल्ल । यिद बिणि चाहेटनग्न अकछि छिखिोज्र ੋਂ ਵਾਂ তাহাকে নিরপরাধ বিবেচনা করিতে হইবে। . রাষ্ট্রবন্দীদের দুর্দশামোচনের চেষ্টা, অঙ্ক প্রধান কারণও আছে । তাছাদের মধ্যে হয়ত কেহ কেহ বেআইনী কাজে লিপ্ত ছিল। কিন্তু লোকমত এই, যে, তাহীদের অধিকাংশ কোন বেআইনী কাজ করে নাই এবং দেশভক্তি ও দেশের দুৰ্দ্দশামোচনের ইচ্ছাই তাহাজের দুঃখভোগের কারণ। তাহাদেব মধ্যে বুদ্ধিমান প্রতিভাশালী পরার্থপর ব্যক্তি অনেকে আছেন । এতগুলি ধীরুষের সেবা হইতে দেশ ও জাতি বঞ্চিত হওয়ায় দেশের ক্ষতি হইতেছে । অধিকন্তু, বিনা বিচাবে বন্ধ যুবক ও কতিপয় সবর্তী বন্দী হওয়ায় বজের সমগ্র যুবসমাজের উপব অবসাদেব নিরুৎসাহতার আশাহীনতার একটা গুরুভার চাপাহয় দেওয়া হইয়াছে। ইহা দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অমঙ্গলের কারণ। যুবক রাষ্ট্রবন্দীদের নমুনা যুবক বাষ্টবন্দীবা সবাহ খুব বুদ্ধিমান প্রতিভাশালী, এরূপ বলিবার মত কোন প্রমাণ আমাদের কাছে নাই। কিন্তু তাঙ্গদের মধ্যে অনেকে যে বেশ বুদ্ধিমান, তাহার প্রমাণ প্রতি বৎসর পাওয়া যাইতেছে। প্রতি বৎসর কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বন্দী ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিবার অল্পমতি দেন এবং অনেকে পাস করে—কেহ কেৰ বেশ ভাল পাস করে। তাঙ্গল শিক্ষকদের ও ভাল লাইব্রেরীর সাহায্য ব্যতিরেকেও এইরূপ রুতিত্ব দেখায়। গত ২৫শে মাঘ শাস্তিনিকেতনে “বঙ্গীয় শশ্বকোষ” নামক বৃহত্তম বাংলা অভিধানের প্রণেতা পণ্ডিত হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের সহিত তাঙ্গর গ্রন্থখানির গ্রাহক কিরূপ হইতেছে তাহার সংবাদ লষ্টতেছিলাম। তিনি অল্প দুষ্ট একটি খবরের সঙ্গে আমাকে বলিলেন, একটি রাষ্ট্রবন্দীও তাঙ্কার অভিধানের গ্রাহক হইয়াছেন । তাহাতে আমি কিছু বিশ্বিত কষ্টয়াছিলাম। প্রীতও অবগুই হইয়াছিলাম। আমরা ত অনেকেই দিব্য জারামে নিজের নিজের বাড়ীতে থাকি, জায়ও নিজের নিজের অাছে। অথচ এক জন নিঃসৰল পণ্ডিত বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ধে উপকার করিতেছেন, দেশের সচ্ছল ৰাধনী কয় জন লোক !