পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“অৰ্জুন তুমি জৰ্জ্জুন" চিত্রাঙ্গদার এই প্রথম আবেগপূর্ণ বাণী যখন চরম উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়ে ধীরে ধীরে নেমে এল “হা হত্তম্ভাগিনী, এ কি অভ্যর্থনা মহতের”—বিষাদের এই গাষ্ঠীৰ্য্যের মধ্যে, এখানকার স্বর ও তালের বৈচিত্রীকরণ চরম উৎকর্ষ লাভ করেছে এবং নাটকীয় সংঘাত পূর্ণ হয়েছে তালের বিরামে এসে। এই থামার দ্বারা পরবত্তী বিষয়ের সঙ্গে ঘটনাস্বত্র যাতে বিচ্ছিন্ন না হয় সেই জন্ত রূপসংযোজনার ছবি দিয়ে নৃত্যের সঙ্গতি রক্ষা করতে হয়েছে। এখানে স্বর তাল মিলে একটি চিত্রপরিপ্রেক্ষণী দর্শকের চোখে জেগে ওঠে যার মধ্যে আছে চিত্রাঙ্গদার বহুদিনের আকাঙ্ক্ষিত্তকে দেখবার উচ্ছ্বাস, অর্জুনের অবজ্ঞা এবং হঠাৎ ঘটনাবৈচিত্র্যের মধ্যে সর্থীদের আশ্চর্ধাৰিত ভাব। এই সমস্তটাই সংযোজনার দ্বারাই ফুটিয়ে তুলতে হয়েছিল। এখানে প্রথাগত নাচ 'চলত কিনা সন্দেহ। নৃত্যের মধ্যে এই রেখাচিত্রের প্রকাশ পূর্ব ও পরবর্তী বিষয়ের মাঝখানে থাকাতে নাটকের আবেগকে আরও একাগ্র করে তুলেছিল এবং অসংলগ্নতা দোষ ঘটতে দেয় নি। দর্শকের মনের মধ্যে নৃত্যনাট্যের উত্থানপতন যে তালে তালে চলেছিল কোথাও বাধা বা ক্লাস্তি জানতে পারে নি তার একটি কারণ নাটকীয় গতি মাঝে মাঝে সংযত হয়েছিল ছবির রাজ্যে এসে। চিত্রাঙ্গদায় আর একটি বিশেষ জিনিষ হ’ল ছোট ছোট কবিতা"গুলি, তারা মাঝে মাঝে স্বত্র ধরিয়ে দিয়েছে মূল ঘটনার, গান ও নাচ বন্ধ ক'রে দর্শকের চিভকে বিশ্রাম দেওয়ার সঙ্গে নাটকের ঘটনাস্থত্রের যোগ রাখাই হ’ল তাদের কাজ, এই কবিতাগুলির ছন্দ দেহের নৃত্যলীলাকে বঁচিয়ে রাখে। পরবর্তী নৃত্য ষে আবার সেই ভদীর মধ্যে সাড়া দিয়ে উঠবে এ যেন তারই ভূমিকা। যে বিশেষ প্রণালীকে অবলম্বন ক'রে বিভিন্ন তাল ও স্বর এক হয়ে একটি বিশেষ ভাবকে চিত্রাঙ্গদায় রূপ দান করল এই বিচিত্র উপাদানকে সম্বন্ধ করার নিয়মকেই সংযোজনা ব'লে গণ্য করা যেতে পারে। এই জিনিষ যুরোপীয় নৃত্যনাট্যে খুবই উৎকর্ষ লাভ করেছে । আমাদের প্রাচীন নৃত্যপদ্ধতি এই প্রণালী অনুসরণ করে কি না তা আমার জ্ঞান নেই। সেই জগু সংঘটন-প্ৰণালীর দিক থেকে পুরাণী পদ্ধতি চিালনা মেনে চলা হয় নি। সেখানে সনাতন প্রথাকে নাটকের মতো তার আবেদন স্বপ্রত্যক্ষ নয়। ছাড়িয়ে সে নূতন রূপ নিয়েছে। চিত্রাঙ্গদার সমস্ত নৃত্যই পুরাণী ভিত্তির উপরে স্থাপিত। কতকগুলি বিশুদ্ধ তালনৃত্য ও গীতৰূত্যের বৈচিত্র্য দেবার জন্ত রাখা হয়েছিল দেহরেখার ব্যঞ্জনা, এগুলি বাদ দিলে সঙ্গীতযোগে নৃত্যগুলিকে জমিয়ে তোলা যায় না। চিত্রাঙ্গদার সম্বন্ধে আলোচনার সময় মনে রাখতে হবে যে নৃত্যনাট্যে কলাকৌশল কথার ভাষা নিয়ে কারবার করে না, তার ভাষা হ’ল স্বর ও তাল ; ভাব খেলে তার দেহরেখায়। এই রেখার খেলা মাত্রেই ছবির বিষয় এসে পড়ে, তাই তার জন্তে পটভূমির দরকার হয় রং ও আলো । এই রং আলো ছাড়া নৃত্যকলার পরিপ্রেক্ষিত ফুটিয়ে তোলা শক্ত, বিশেষতঃ যখন সে নাটকীয় রাজ্যে গিয়ে পৌছয়। নাচেতে দেহের রেখা খুব নিখুঁত হওয়া চাই, কোথাও তার কোনও অবাস্তর ভঙ্গী হ'ল তালের সঙ্গে ভঙ্গীর সঙ্গতি রক্ষা করা দুরূহ হয়ে পড়ে। রেখা ও তালের মিলন ছাড়া নৃত্যকলা পূর্ণতা লাভ করতে পারে না । কবিতা ও গদ্যে যে তফাৎ, নৃত্যনাট্যের সঙ্গে বিশুদ্ধ নাটকের সেই রকমই পার্থক্য। নৃত্য হ'ল ইঞ্জিতকলা । তার প্রেরণা অনিৰ্ব্বচনীয়। বিশুদ্ধ দেহের মধ্য দিয়ে যে ছন্দলীলার ইঙ্গিত মানুষের মনে গভীর ছাপ দিয়ে যায় তাকে ভাষায় ব্যাখ্যা করা যায় না, তার ভাব অনুভূতির রাজ্যে আপনি আত্মপ্রকাশ করে সেই জন্তই এই নৃত্যকলার তাৎপৰ্য্য বোঝা সাধারণ মনের পক্ষে কঠিন কিন্তু তার স্বায়ী অাকর্ষণ সুধীসমাজের মনে চিরকালই থাকবে । চিত্রাঙ্গদ নৃত্যনাট্যে আমরা একটি জিনিষ পুরাতন <थथ च्षष्ट्रवाग्रेौ ग्रंश्नं कब्रि नि ८अग्नि झटणह-शकिनै ७ छेडङ्गভারতীয় ঘাড় ও চোখের খেলা। আমার মনে হয় যদিও এটি প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে তবুও এর মধ্যে একটু বিদেশী গন্ধ আছে । পুরাকালে যখন আরবি ও পারসি প্রভাব ভারতীয় সঙ্গীতের উপর ছায়াপাত করেছিল সেই সময় নাচের এই চোখ ও ঘাড় নাড়ার ভঙ্গীও সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আমাদের নৃত্যে এসে পড়েছিল, সেই জল্প অঙ্গ কোন এদেশী লোকনৃত্যে এই ভদীগুলি চোখে পড়ে বলে জানি না। মণিপুরী নৃত্যে বাইরের কোনও