পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

इ ! ठ cठायाब्र, श्रण ठ छांनहे एब ; चांद्र cडेशाब्र, ব্ৰাহ্মণের ছেলের লজাই বা কি ? রাজা জমিদারের विन्वक झर वनि फाण धन्न्नों— । বলিঙে বলিতেই সে হাসিয়া উঠিল। 姆 @ 贏 羈 বাড়ীতে আসিয়া ছাদ বাধা গামছাট বড়ছেলের হাতে দিয়া চক্রবর্তী বলিল, যা বাড়ীতে দ্বিগে যা। ছেলেট গামছা হাতে লইতেই মেজমেন্ধেটা বলিল, মিষ্টিগুলো ? —সে আমি নিয়ে যাচ্ছি, যা । —এা-তুমি লুকিয়ে রাখবে। ষোলটা মিষ্টি কিন্তু खt१ cनांद-ईTां ! —আরে—জারে—এ বলছে কি ? ষোলটা কোথা রে বাপু !-দিলেতো—আটটা ; তাও কত ঝগড়া করে— —ম—ম ! দেখ, বাবা মিষ্টিগুলো লুকিয়ে রাখছে— மீர ! চক্রবর্তী-গৃহিণী যাহাকে বলে রূপসী মেয়ে। দারিত্র্যের শতমুখী আক্রমণেও সে রূপকে জীর্ণ করিতে পারে নাই। দেহ শীর্ণ চুল রুক্ষ, পরিধানে ছিন্ন মলিন বস্ত্র, তবুও হৈমবতী যেন সত্যই হৈমবতী ! কাঞ্চননিভ দেহবর্ণ দেখিয়া সোনার প্রতিমা বলিতেই ইচ্ছা করে। চোখ দুইটি আয়ত, স্বন্দর কিন্তু দৃষ্টি তাহার নিষ্ঠুর মায়াহীন। মায়াহীন অন্তর ও রূপময়ী কায়া লইয়া হৈম যেন উজ্জল বালুস্তরময়ী মরুভূমি ; প্রভাতের পর হইতেই দিবসের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মক্কর মতই প্রখর হইতে প্রখরতর হইয় উঠে । হৈমবতী আসিয়া দাড়াইতেই চক্রবর্তী সম্ভয়ে মেয়েকে বলিল, বলছি, তুই নিয়ে যেতে পারবি না ; না, মেয়ে টেচাতে— । হৈমবতী কঠোর স্বরে বলিল, দাও । চক্রবর্তী আঁচলের খুঁটটি খুলিয়া হৈমর সন্মুখে ধরিয়া ইপি ছাড়িয়া বাচিল । ছেলেট বলিল, বাবাকে আর দিয়ে না, মা । জাজ ষ খেয়েছে বাবা, উঃ ! আবার কাল সকালে বাৰু নেমস্তয় করেছে বাবাকে, মিষ্টি খাওয়াবে। হৈম কঠিন স্বরে বলিল, বেরো–বেরো–বেরো বলছি জামার স্বমুখ থেকে হতভাগা ছেলে । বাপের প্রতি ভক্তি দেখ ! তোরা সব মরিস না কেন—অামি যে বাচি । পূর্ণ এবার সাহস করিয়া বলিল—দেখ না, ছেলের তরিবৎ–যেন চাষার তরিবৎ । হৈম বলিল—বাপ যে চামার, লোষ্ঠী চামারের ছেলে চাষাও যে হয়েছে সেটুকুও ভাগ্যি মেনে । লেখাপড়া শেখাবার পয়সা নেই-রোগে ওষুধ নেই—গায়ে জামা নেই —তবু মরে না ওরা। রাক্ষসের ঝাড়, অখণ্ড পেরমাই! চক্রবর্তী চুপ করিয়া রহিল। হৈম যেন আগুন ছড়াইতে ছড়াইতে চলিয়া গেল। চক্রবর্তী ছেলেটাকে বলিল, দেখ, দেখিরে, এক টুকরো হরিতকী কি স্বপুরী এককুচি যদি পাস। তোর মার কাছে যেন চাস নে বাবা ! সন্ধ্যার পর চক্রবর্তী হৈমর কাছে বসিয়া ক্রমাগত তাহার তোষামোদ করিতে আরম্ভ করিল । হৈম কোলের ছেলেটাকে ঘুম পাড়াইতেছিল। চক্রবর্তী এবং ছেলেরা আজ নিমন্ত্রণ থাইয়াছে, রাত্রে আর রান্নার হাঙ্গামা নাই, যে ছাদাটা আসিয়াছে তাহাতে হৈম এবং কোলের ছেলেটারও চলিয়া গিয়াছে । বহু তোষামোদেও হৈম যেন তেমন প্রসন্ন হইল না, অন্ততঃ চক্রবর্তীর তাই মনে হইল, সে মনের কথা বলিতে সাহস পাইল না। তাহার একান্ত ইচ্ছা যে, রাত্রে কয়েকটা ছানাবড়া সে খায়। তাহার তৃপ্তি হয় নাই, বুকের মধ্যে লালস ক্রমবর্ধমান বহি-শিখার মত জলিতেছে ! ধীরে ধীরে হৈমবর্তী ঘুমাইয় পড়িল। শীর্ণ দুর্বল দেহ, তাহার উপর আবার সে সস্তানসম্ভবা,সন্ধ্যার পরই শরীর যেন তাহার ভাঙিয়া পড়ে। ছেলেগুলাও ঘুমাইয়াছে। চক্রবর্তী হৈমর দিকে ভাল করিয়া চাঙ্কিয়া দেখিল, ই হৈম ঘুমাইয়াছে । চক্রবর্তী আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিয়া, হৈমর আঁচল হইতে দড়িতে বাধা কয়টা চাবির গোছা খুলিয়া লইয়। ধীরে ধীরে বাহির হইয়া গেল। পরদিন প্রভাতে উঠিয়াই ছেলেরা নাচিতে নাচিতে চীংকার করিতে আরম্ভ করিল—ছানাবড়া খাব। বড়ছেলেটা খুর-যুর করিয়াবার-বার মায়ের কাছে আসিয়া বলিতেছিল— আমাকে কিন্তু একটা গোট দিতে হবে মা । হৈম বিরক্ত হইয়া বলিল-সৰ—সব—সবগুলো বের করে