পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেলজিয়াম সেমিনী বাড়ী-ঘর প্রায় সব ভেঙে চুরে গেছে ; যা ছিল, তা মেরামত করে পুলিস-ফৌজদারী কাজে ব্যবহার হচ্ছে । সেই সময় ক্যান্টনমেন্ট স্বষ্টি হওয়াতে এই স্থানটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্ঘ্য এবং মনোরম আবহাওয়া, ও স্বাস্থ্যকরতার প্রতি ইংরেজদের দৃষ্টি পড়ে। কোল-বিক্রোহের পর ১৮৩৩ সালে কোম্পানী হাজারিবাগ জেলার পত্তন করে এই ওকুনী গ্রামকে এবং সংলগ্ন হাজারিবাগ পল্পীকে শহরের আকারে বাড়িয়ে জেলার সদরে পরিণত করে। নূতন আপিস-আদালত খোলার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ কৰ্ম্মচারীদের সহিত শিক্ষিত বাঙালীও ক্রমশঃ শহরে উপনিবেশ স্থাপন করতে আসেন। সেই সময় রাচিতে কেন্দ্র ক’রে জাৰ্ম্মান ইভাঞ্জেলিক লুথারান মিশন এথানে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম প্রচারের সঙ্গে আদিম কোল, সাওতাল, ভূইয়া এদের পাশ্চাত্য শিক্ষায় দীক্ষিত করছিলেন। কিন্তু সিপাহীবিদ্রোহে এই অগ্রগতিতে বাধা পড়ে। ১৮৬৪ সালে হুগলী থেকে স্বৰ্গীয় রায় বাহাদুর যন্ত্রনাথ মুখোপাধ্যায় এখানে সরকারী উকিল হয়ে আসেন। সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন পত্নী খতম্বাজারে তিনি অনেকটা ভূমি ক্রয় করেন। তার পর ক্রমশঃ হাজারিবাগ সদর-কোর্টে বাঙালী উকিলের সংখ্যা বেড়ে যেতে অনেকেই জমি-জমা করে এখানে বার করতে থাকেন। বাহিরে তানীন্তন *াক্ট প্রতিষ্ঠালাভের স্বযোগ ছিল যথেষ্ট কারণ স্থানীয় कर्तवानौत्रा পাশ্চাত্য শিক্ষাকে ভালরূপে গ্রহণই করেনি। ব্ৰহ্মানন্দ, কেশবচন্দ্র প্রমুখ উনবিংশ শতাব্দীরঃ:বঙ্গ মেয়েদের সেন্ট কলম্বা হাসপাতাল মনীষিগণের উৎসাহে ব্ৰাহ্মধর্শ্বের আন্দোলন কলকাতা থেকে হাজারিবাগেও পৌঁছতে দেরি হয় নি। তৎকালীন বাঙালী অধিবাসীরা সকলে মিলে খতমূবাজারে যন্ত্রনাথ বাবুর জমিতে বড় রাস্তার ধারে সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজ ও বড়বাজারের মধ্যে নববিধান-মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কিছুদিন পরে টাউন-হল খোলা হয় একটা বৃহৎ বাংলোতে, সেখানে বাঙালী ক্লাব ও একটা লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয় । কেশবচন্ধের নামে পরে সেটার কেশব-হল’ নামকরণ হয় । প্রতিবৎসর মাঘোৎসবে এই কেশব-হলে আনন্দ-মেলা হয়, তাতে স্থানীয় মহিলারা যোগদান করে আলাপ-আলোচনা এবং আমোদ-প্রমোদে তুষ্টি লাভ করেন। স্থানীয় শিক্ষিত বাঙালীর মজলিস এই ক্লাবের অজনেই বলে—তাতে পাঠাগার ও খেলা-ধূলার বিভাগ আছে। পাঠাগারটিতে ভাল ভাল বাংলা ও ইংরেজী বই আছে দেখলাম। হলে মাঝে মাঝে সভা এবং জলসার আয়োজন হত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সম্প্রতি সেখানে এক সিনেমার আবির্ভাব হয়েছে। বর্তমানে প্রত্যহ শো দেখান হয়। নিকটেই किडूनिन झण ८कांन भांtफ़ांबांग्रैौ क् िविशंग्रैौ बनिएकब्र উদ্যোগে আর একটি প্রেক্ষাগারও নির্মিত হয়েছে—"রঘুনন্দন হল—সেখানেও মাঝে মাঝে,থিয়েটার-বায়কোপ হয়ে থাকে। নববিধান-মন্দিরটি আকারে বড় নয়, অনেকটা আমাদের ভবানীপুরের পুরাতন সাধারণ সমাজের মত। অজনের মাৰে সম্মুখেই সাধু প্রমখলালের স্বতিচিহ্ন। এখানে প্রতি রবিবার নিয়মিত প্রার্থনা হয় ।