পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজনাবস্থান ব্যুহে ভূতনয়াত্রাণযুক্তদায়াদে বিদ্যুৰিলাস চঞ্চল মায়ামৃগ তৃষ্ণয়াস্তরিতে । রামপাল পক্ষের টাকা-—অস্তন্ত্র বিজনে স্থানমবস্থানং তেন ব্যুহবিগত উ যন্ত তম্বিন রামপালে ভূতং সত্যং নয়োনীতং তয়োররক্ষণে যুক্তঃ প্রসঙ্কোদায়াদে ভ্রাতা মহীপালে যস্ত। মায়া লক্ষ। মৃগতৃষ্ণয়! মমায়ং লক্ষ্মীং গ্রহীয্যতীতি মুগ্ধতয়াহস্তরিতে তিরোহিতে ভূমিগৃহাদিগুপ্তক্ষিপ্তে রামপালে সতি ॥ নির্জনে নিৰ্ব্বাকভাবে রামপাল অবস্থান করিতেছিলেন । সত্য ও ন্তায় এই দুইটির অরক্ষণে ( তয়োররক্ষণে= তয়ো:+ অরক্ষণে) নিযুক্ত অর্থাৎ সত্য ও দ্যায়ের মধ্যাদা লঙ্ঘনকারী ভ্রাতা মহীপাল আমার লক্ষ্মী হরণ করিবে” এই অলীক মায়ায় মুগ্ধ হইয়া রামপালকে ভূগর্ভস্থ কারাগারে নিক্ষেপ করিয়াছিলেন। (১) মায়িধ্বনিন শঙ্কিতবিপদে ভৰ্ত্ত ভুব; প্রভূতায়: । নিকুতি প্রযুক্তিতে রক্ষিতরি কনিষ্ঠে তথাপন্নে ॥ ১৩৭ টাকা—অঙ্গত্র মায়িনাং খলানাং ধ্বনিন। অয়ং রামপাল ক্ষমেইধিকারী সৰ্ব্বসম্মতঃ ততশ্চ দেবস রাজ্য গ্রষ্টীয্যভীতি সুচণয়। শঙ্কিত বিপদ; মামলে চনিষ্যতীতি শঙ্কিত বিপদোন তত ভুবোভৰ্ত্ত, মঙ্গীপালস্য প্রভূতায় বহুতরায় নিরাকুতি প্রযুক্তিতঃ শাঠ্যপ্রয়োগাং উপায় বধচেষ্টয়৷ তথাত্বনাকারেনাপল্পে দুৰ্গতে কনিষ্ঠে ভ্রাতরি বামপালে রক্ষিতরি ভাবার্থে। তাৎপৰ্য্য—খল লোকেরা মহীপালকে পরামর্শ দিয়াছিল “এই রামপাল ক্ষমতাশালী স্থযোগ্য এবং সকলের প্রিয়। স্বতরাং ইনি আপনার রাজ্য কাড়িয়া লইবেন ।” এই কথা শুনিয়া নৃপতি মহীপাল মনে করিলেন “রামপাল আমাকে বধ করিবে” এবং অনেক শঠতা করিয়া তাহাকে হত্যা করিবার জন্ত কারাগারে আবদ্ধ করিলেন । রামপালের প্রশংসার্থে রচিত নিম্নলিখিত শ্লোকে কবি মহীপাল চরিত্রের আভাস প্রদান করিয়াছেন । - লোকাস্তর প্রণয়িনে দুর্ণয়ভাজোহগ্ৰজন্মনে ব্যসনাং । পতিতান্ধকার বত্যন্ধুভাবাহূদহারি গোভৰ্মী তেন । ১২২ পরলোকগত দুনীতিপরায়ণ অগ্রজ মহীপালের নিফল (১) তরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় সম্পাদিত রামচরিতের ১৩৬ শ্লোকের টাকায় তয়োররক্ষণে পদটি তয়োর ( কুর ) ক্ষণে রূপে লিখিত ও ভ্রাতা’ শব্দ বিলুপ্ত হওয়ায় সাধারণের পক্ষে প্রকৃত অর্থ গ্রহণে অসুবিধা হইয়াছে। নেপাল হইতে আনীত ও এশিয়াটিক সোসাইটিতে রক্ষিত মূল পাণ্ডুলিপি হইতে টীকা ও উহার আলোকफ़ेिब Gथक्ख इर्हेण । . যুদ্ধে রত , , a লে অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীর অন্ধকার রামপাল কর্তৃক অপসারিত হইয়াছিল। বিগ্রহপালের মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থা ৰণন প্রসঙ্গে কাব্যে মহীপালের কৃতকৰ্ম্ম বণিত হইয়াছে । 略 প্রথমমুপরতে পিতার মঙ্গীপালে ভ্রাতরি ক্ষমাভারম্। বিভ্রত্যনীতিকারম্ভরতে রামাধিকারিতাং দধতি ॥ ১॥৩১ পিতৃবিয়োগের পর প্রথমতঃ প্রাতা মহীপাল রাজ্যভার গ্রহণ করিয়া নীতিবিরুদ্ধ কার্ষে রত হন । রামপালের তৎকালীন অবস্থ পরে বর্ণিত গুইতেছে । এক্ষণে টীকাসহ ২২, ৩১, ৩২, ৩৬, ৩৭ গোক একত্রে পাঠ করিলে আমরা দেখিতে পাই যে মহীপাল দুনীতিপরায়ণ, অনীতিক আচরণকারী, বিচিত্র কূটবুদ্ধিসম্পন্ন, কর্কশপ্রকৃতি, সত্য ও স্কায়ের মর্ধ্যাদালঙ্ঘনকারী রাজা ছিলেন, ও খলস্বভাব ব্যক্তিদিগের পরামর্শানুসারে কার্ষ্য করিতেন । তিনি যে বিচক্ষণ মন্ত্রীদিগের পরামর্শ অগ্রাহ করিতেন তাহ ১।৩১ শ্লোকের টীকার “বাড়গুণগণ্যস্য মন্ত্রীনে গুণীতমোবগুণয়ন” পদ হইতে আমরা জানিতে পারি। অনন্তসামন্তচক্রের বিপুল বাহিনী যখন র্তাহার বিরুদ্ধে স্থসজ্জিত তখন ষড়বিধ উপায়ে অভিজ্ঞ মন্ত্রিবর্গের উপদেশ তিনি অগ্রাহ করিয়া রণভূমে অবতীর্ণ হন । ধিনি বিপদকালে যুদ্ধের প্রাক্কালে মন্ত্রিবর্গের পরামর্শ উপেক্ষা করেন, তিনি সম্পংকালে অধীন রাজপুরুষগণের প্রতি কিরূপ ব্যবহার করিতেন তাহ সহজে অমুমেয়, অথচ ইহারই পূৰ্ব্বপুরুষ মন্ত্রিগণের নীতিকৌশলে বিন্ধ্যগিরি হইতে হিমাচল পৰ্য্যন্ত সমগ্র আধ্যাবৰ্ত্তে অধিকার স্থপ্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। মহীপালের এইরূপ চরিত্র ও আচরণ হইতে সামন্তচক্র ও প্রজাবর্গের উপর তাহার ব্যবহার অনুমান করা যায়। মন্ত্রিবর্গ ও কারারুদ্ধ রামপাল অত্যাচারফ্লিষ্ট হইলেও কতক পরিমাণে নিরুপায়, কিন্তু প্রকৃতিপুঞ্জ ও সামস্তচক্র রাজ-অত্যাচার নিৰ্ব্বিঘ্নে সদ্ধ করিতে পারেন না। মাৎস্যন্তায় নিবারণের জন্ত যাহাদের রাজ-নিৰ্ব্বাচনের অধিকার ছিল, অনীতিক আচরণের প্রতিকারেরও অধিকার তাহারা তখন বিশ্বত হয় নাই। গৌড়জন যখন আর মহীপালকে সঙ্ক করিতে পারিল না তখন আবার সম্মিলিত হইল। (২) , (২) বাঙ্গালীর বল', ১•১ পৃষ্ঠ ।