পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বার্থের “ম্যাগনা কাটা” বলিয়া বরণ করিয়া লইয়াছেন। সকল অবস্থাতেই তাঁহা বর্জন করিতে হুইবে । এক জনকে তাহার বেশ বুঝিয়াছেন যে, সরকার চৌদ্ধ দফাকে বর্ণে বর্ণে একটু প্রলোভন দেখাইলে ভূত-ভবিষ্যৎ ভুলিয়া অবিবেচকের স্বীকার করিবেন না। সুতরাং তাহার বদলে যাহা পাওয়া যায় তাহাই ভাল, এই নীতিতে বাটোয়ারাকে অন্ধের যষ্টির মত আঁকড়াইয়া ধরিয়া রাথিয়াছেন, এবং কিছুতেই ইহার রদ-বদল হইতে দিবেন না, এরূপ : মনোভাব প্রকাশ করিয়াছেন। বিভিন্ন প্রবন্ধে বাটোয়ারার অনিষ্টকারিতা সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছি। এক্ষণে মুসলিম স্বার্থের দিক হইতে দুই-একটি বিষয় আলোচনা করিয়া দেখাইব যে, উহার আশ্রয়ে মুসলমানদের প্রকৃত স্বার্থ সংরক্ষিত হইবে না, বরং তাহা নানাভাবে পদদলিত হইবে। অনেক স্কুলদশী ব্যক্তি বাটোয়ারার অন্তর্নিহিত দোষগুণের বিচার না করিয়া এই যুক্তি দেখান যে, যেহেতু হিন্দুরা নিজেদের স্বার্থের কথা ভাবিয়া উহার বিরোধিতা করিতেছে, অতএব নিজেদের স্বার্থের দিক হইতে মুসলমানদেরও উহাকে সমর্থন করাই উচিত। সেই জন্ত বাটোয়ারার বিরুদ্ধে হিন্দুরা যে আন্দোলন করিতেছে তাহাতে র্তাহারা যোগদান ত করেনই না, বরং উহাকে মুসলিম স্বার্থের বিরোধী আন্দোলন বলিয়াই মনে করেন। কিন্তু এই যুক্তি ও অজুহাত নিতান্ত ভুল। অপরের আচরণ দেখিয়া কোন বিষয়ের দোষগুণ নিৰ্দ্ধারিত হয় না ; বিষয়টির অস্তর্নিহিত দোষগুণ বিচার করিয়াই তাঁহা সমর্থন বা প্রত্যাখ্যান করা উচিত। এই বাটোয়ারাকেও আমরা সেই ভাবে বিচার করিব। আমাদের মনে হয় হিন্দুদের স্থায় যদি আমরাও সমভাবে বাটোয়ারার বিরোধিতা করি, এবং জাতীয়তার ভিত্তিতে কোন একটা মীমাংসায় আসিতে চেষ্টা করি, তবে তাহা দেশের সকলেরই পক্ষে শুভকর হইবে। যেখানে দেশের আপামর সাধারণ হিন্দুর স্বার্থ, সাধারণ মুসলমানের স্বার্থ इड्रेटङ ७कष्ट्रेe विबिनाश्, बब्र गर्राष्ट्रान्त अक्७ चबि, সেখানে দুই সম্প্রদায়ের জন্ত দুই রূপ বিভিন্ন ব্যবস্থা দেশের পক্ষে অনিষ্টকর হুইবে । বাটোয়ারাকে সমর্থন করিবার সময় জামাদিগকে সব সময় দেখিতে হইবে উহা দেশের সাধারণ স্বার্থের বিরোধী কি না। যদি বিরোধী হয়, তবে মত আহিলাদে আটখানা হইলে চলিবে না। বাটোয়ারার আশ্রয়ে মুসলিম স্বার্থ সংরক্ষিত হইবে বলিয়া যাহারা উল্লসিত হইয়াছেন, তাহাদিগকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করি। র্তাহারা কি মনে করেন যে, বাস্তবিকই মুসলিম স্বার্থের দিকে লক্ষ্য রাখিয়া অথবা মুসলমানদের উদ্ধারের জন্ত উহ্য রচিত হইয়াছে ? তাহারা কি মনে করেন সরকার-বাহাদুর মুসলমানদের এত দরদী বন্ধু ষে তাহাদের প্রেমে গদগদ হইয়া উাহারা এই অপরূপ অমৃতভাগুর মুসলমানদিগকে উপহারস্বরূপ দিয়াছেন ? যদি তাহারা এইরূপ মনে করেন, তবে তাহাদিগকে বাটোয়ারার ধারাগুলি পুনরায় দেখিতে অনুরোধ করি। যদি সেগুলি কেহ নিরপেক্ষভাবে দেখেন তবে বুঝিবেন যে, মুসলিম স্বার্থ-সংরক্ষণের জন্ত উহা রচিত হয় নাই—উহা হইয়াছে সাম্রাজ্যের স্বার্থের জন্ত—সাম্রাজ্যবাদের রথচক্র ঘর্ঘর রবে ভারতের বুকে চালাইবার জন্ত। মুসলিম স্বার্থের সহিত উহার নামগন্ধ সম্বন্ধ নাই। উহা সাম্রাজ্যবাদীদের লৌহ হস্তে ভারতকে দৃঢ়ভাবে বাধিয়া রাখিবার উপায়-বিশেষ। আগামী শাসন-সংস্কারে যাহাতে ব্রিটিশ-স্বার্থ সম্পূর্ণভাবে অক্ষুণ্ণ থাকে তাহার জন্ত নানাদিকে আটঘাট বাধিয়া এমন কতকগুলি রক্ষাকবচ সন্নিবেশিত করা হইয়াছে যে তাহার চাপে এদেশের কোনও সম্প্রদায়ই মাথা তুলিয়া দাড়াইতে পরিবে না । এই রক্ষাকবচ-কন্টকিত শাসনতন্ত্রে ভারতীয়গণ স্বেচ্ছামত নিজেদের অতীন্সিত কোন প্রস্তাবেই বিশেষ মন্ত্রীদের সঙ্কুচিত ক্ষমতা, নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে ঐক্যের অভাব-এইগুলি হইবে নবাগত ব্যবস্থাপক সভার সবচেয়ে মারাত্মক বিষয়। তা ছাড়া দেশবাসীর নির্বাচিত সদস্যদের সব বিষয়ে কোন ক্ষমতা থাকিবে না,—এমন কতকগুলি বিষয় থাকিবে যাহা তাহাজের আলোচনা করিবার কোনই অধিকার থাকিবে না। এই সব বিষয় প্রবাসীতে বহুবার আলোচিত হইয়াছে। এই সব অন্ধবিধা ও ক্ষমতী-সঙ্কোচে বাহা পরিপূর্ণতাহ ষে পদে পদে দেশবাসীকে পর্যুদস্ত করিবে