পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 6 سون ... * আসরে আসিয়া যেন মহা লজ্জায় পড়িয়া গিয়াছে । কোন রকমে মালকোছ খুলিয়া দাড়াইল। আর জমিদার শঙ্কু মুখুজোও তাহাকে আসরে বসাইয়া দিয়া বলিলেন, নইলে গান স্থক হতে পারছে না দীপু, কিছুক্ষণ চালা, ইমস্ত হয়ত এরই মধ্যে এসে যাবে। দীপু ওরফে দীপক তখন বলিল, ভাল জালাতনে ফেললেন আপনি মেসোমশাই, তবলা কি আমি বাজাতে জানি, না ছাই ! এজন্তে আসতে হবে জানলে একটা কিছু গায়ে দিয়েই না-হয় আসতাম। যাই, বাড়ীর ভিতর থেকে একটা কিছু গায়ে দিয়েই আসি। জমিদার শছু মুখুজো সঙ্গে সঙ্গে বলিলেন, লোক পাঠিয়ে আমি তা আনিয়ে দিচ্ছি, তুই বায়-ভবল টেনে নিয়ে বসত। দীপক তাহাতে যেন একটু ক্ষুণ্ণ হইয়াই বলিল, ই্য, ধায়া-তবলা টেনে নিয়ে বসি, আর শ্ৰীমন্ত পৈলান এসে তাই দেখুক । সকলের একান্ত অনুরোধে শেষ পৰ্য্যন্ত দীপক নিজের কাছেই বায়া-তবলা টানিয় নিয়া বসিল । দুই জনের বয়স প্রায় সমান হওয়ায় উভয়ের মধ্যে বনিবন হওয়া বিশেষ কষ্টসাধ্য হইল না। একটা সহজ বনিবন করিয়া লইয়া গান ধরিলাম,— জাগো ফুলদল রজনী উতল পদধ্বনি মোর শুনি – দেখিতে দেখিতে গান বেশ জমিয়া উঠিল । দীপক সঙ্গে চমৎকার তবলা বাজাইয়া চলিয়াছিল। আমি নিজে কোন অন্ধবিধা বোধ করিতেছিলাম না। দীপকের লজ্জাও ক্রমে কাটিয়া আসিল, সে সহজ ভাবেই বাজাইতে লাগিল । দ্বিতীয় গান স্বরু করার আগেই আসরের এক পাশ হইতে স্বাধিজলের লোকের মন্তব্য শুনিলাম, ছেলেটি খাসা গায় ত । अङाख श्रोच्छ्रथनांण षष्ट्रख्द कब्रिघ्र जगtदर्द दिउँौग्न *ांन ধরিলাম। কিন্তু এক চরণ গাহিয়া শেষ করিতেই সহসা আসরের চতুর্দিকে একটা সাড়া পড়িয়া গেল। বুঝিলাম, শ্ৰীমন্ত পৈলান আসিয়া গিয়াছে। সাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই शेषक शीं बाब-उक्ण dनिम्न प्रत्न गाहेब दिल्ला अक् গাঙ্কে জাগঞ্জের বাহিরে গিয়া ছাড়াইল। আমিও বাধ্য হইরা গান বর্জ করিলাম। প্রবাসা RN9gN9 জমিদার শঙ্কু মুখুজো স্বয়ং বন-চাতকীর ভ্রমস্ত পৈলানকে এক প্রকার জড়াইয়। ধরিয়া আসরে লইয়া আসিলেন এবং তাহাদের পিছনে একটি চাকরের হাতে দেখিলাম, একজোড়া বায়া-তবলা। দেখিয়াই বুঝিলাম, নিশ্চয়, ইহা শ্ৰীমন্ত পৈলানের নিজস্ব সম্পত্তি যেখানে যায়—সঙ্গে লইয়া যায়। মুহূৰ্বে ভাল করিয়া দেখিয়া লইলাম একবার বনচাতকীর শ্ৰীমন্ত পৈলানকে। তবলচীর উপযুক্ত চেহারাই বটে। সারা দেহে মাংসের কোন বালাই নাই, হাড়-সৰ্ব্বস্ব + চোখ-মুখের ভাব কেমন যেন তিরিক্ষি ও রুক্ষ, মাথার দুই পাশে বেশ টাক পড়িয়াছে, তাহাতে আবার পাতলা চুল ও পিছনের দিক খানিকট তুলিয়া ঘাড়-কামানোগোছ করিয়া রাখিয়াছে। আসরের সকলের প্রতি একটা চোখ যেন, একটু কুঁচকাইয়া চাহিয়া আছে। দেখিলেই মনে হয়, লোকটা যেন কাহারও প্রতি খুলী নয়। জমিদার শছু মুখুজ্যে সযত্নে প্রমন্ত পৈলানকে আসরে স্থান করিয়া বসাইয়া দিয়া বলিলেন, এসে আমার মুখ রক্ষে করেছ শ্ৰীমন্ত । শ্ৰীমন্ত পৈলান আসরের চতুদিকে একবার ভাল করিয়া দৃষ্টিপাত করিয়া বলিল, আমাদের বাড়ুজ্যে-মশাই কই ? তাকে যে দেখছি না ? জমিদার শঙ্কু মুখুজ্যে বলিলেন, বাড়ুজ্যে-মশাইয়ের হঠাৎ দু-দিন ধরে জর, আজ আবার জরটা বেড়েছে একটু, তাই আসতে পারেন নি। তবে বলে পাঠিয়েছেন, ‘শ্ৰীমন্ত পৈলান এসে গেলে আমাকে যেন একটা খবর দেওয়া হয়। তা খবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সঙ্গে সজেই। শ্ৰীমন্ত পৈলান বলিল, তা হলে খবর পাঠান ত ঠিক হয় নি। ঐ জর নিয়েই না আবার এসে হাজির হন। গুণী লোক, ওঁদের কি বিশ্বাস করতে আছে মুখুজ্যে মশাই! তার পরে সহসা আমার দিকে ফিরিয়া শ্ৰীমন্ত পৈলান বলিল, বাইরে থেকেই একটা টান শুনলাম বটে, বেশ মিষ্টিগলাই ত সঙ্গে তবলা বাজাচ্ছিলেন বুঝি দীপকবাবু, তিনি গেলেন কোথায় ? জমিদার শঙ্কু মুখুজ্যে বলিলেন, সে কি আর থাকে, পালিয়েছে কোথাও নিশ্চয় । স্ট্রমন্ড গৈলান বলিল, আমাকে ওনার বড় ভয়, কিন্তু,