পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৃমুণ্ডে তোরে মানাত না মা, মহেশ যদি না থাকিত রাঙ্গা ছুটি পায়ের তলে ; সে কথা কি ভাবি কালী—শ্নশান-পাবাণী । সে গান যেন আর থামিতে চাহে না, স্বরে স্বরে সে যেন ইন্দ্ৰজাল রচিত হইয়া গেল। সমস্ত অন্তর আমার পরিতৃপ্তির শেষ সীমায় পৌঁছিয়া যেন কঁাপিতে লাগিল । গান যখন থামিল তখন আসরের সকলেই বিস্ময়-স্তম্ভিত, কথা বলিয়া কেহ আর আনন্দ প্রকাশের ঔদ্ধত্য জানাইতে नांश्लौ ट्झेल ना । নন্দ বাড়ুজ্যে সহসা বালাপোর্য আবার অঙ্গে টানিয়া জড়াইয়া দিয়া উঠিয়া দাড়াইতে দাড়াইতে বলিলেন, শক্তিতে আর দিচ্ছে না পৈলান, আজকের মত উঠি। জর বোধ হয় বেড়েই গেল। তোমার মত গুণী লোককে যদি বা পেলাম ত আপশোষ মিটিয়ে গাইতে পারলাম না। তার পরে অনাদির দিকে ফিরিয়া বলিলেন, ধর ত বাবা অনাদি, একটা হাত ধরে তুলে ধর দিকি, গায়ে আর জোর পাচ্ছি নে । অনাদি এবং দীপক একসঙ্গেই আসিয়া নন্দ বাড়ুজ্যেকে ধরিতে গেল। বাড়ুজ্যে-মশাই দ্বীপকের হাতে তানপুরাট দিয়া অনাদির হাত ধরিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন। বাড়ুজ্যে-মশাইকে উঠিয়া দাড়াইতে দেখিয়া শ্ৰীমন্ত পৈলান বলিল, আন্ধন তবে বাড়ুজ্যে-মশাই, আমিও ওঠার জোগাড় দেখি। কাজের বাড়ী, মুখুজ্যে-মশাই আবার গেলেন কোথায় কে জানে । বাড়ুজ্যে-মশাই চলিয়া যাওয়ার একটু পরেই ঠিক বাড়ীর ভিতর হইতে খবর আসিল, বিবাহের আয়োজন সব ঠিক, লগ্নও সমাগত। বিবাহের আসরে আমাদের সবার উপস্থিতির জন্য আহবান লইয়া লোক আসিল । একে একে সকলেই বাড়ীর ভিতরে চলিয়া গেল। আসরে শুধু রছিলাম আমি আর বন-চাতকীর ভ্রমন্ত পৈলান। শ্ৰীমন্ত পৈলানের মত এতবড় গুণী আর কোথাও কখনও দেখিতে পাইব কিনা জানি না। তাহাকে ছাড়িয়া যাইতে ८क्न छनि एछांज जाठिण नों । আশ্চৰ্য্য ! শ্ৰীমন্ত পৈলান গভীর হইয়া বসিয়া রহিল। একটা কথাও কছিল না। আমিও কোন কথা কহিয়া তাহার" নীরবতা ভাঙিয়া দিতে সাহসী হইলাম না। অনেক রাত হইয়া গেল ; তবু সেখান হইতে আমি না পারিলাম উঠিয়া যাইতে, না পারিলাম এমভ পৈলানের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে। তার পরে জমিদার শঙ্কু মুখুজ্যে এক জন চাকর সঙ্গে লইয়া বহির্বাটীতে আসিলেন এবং শ্ৰীমন্ত পৈলানকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, শ্ৰীমন্ত, লোকজন সব কাজে ব্যস্ত, একটা লোক পাচ্ছিলাম না যে তোমার সঙ্গে পাঠাই । আহারাদি ত কোথাও করবেন যখন, তখন আর তোমার দেরি করিয়ে দিয়ে লাভ নেই। পরে চাকরের দিকে ফিরিয়া বলিলেন, একটা লণ্ঠন সঙ্গে নিয়ে পৈলানকে তার বাড়ী পৌছে দিয়ে আয় । শ্ৰীমন্ত পৈলান চলিয়া গেল। জমিদার শঙ্কু মুখুজ্যে খানিকটা পথ তাহাকে আগাইয়া দিয়া আসিলেন। আমি এতক্ষণ যে অকারণ বহিৰ্ব্বাটীতে বসিয়াছিলাম সেজন্ত মনে মনে ছখই হইল। জমিদার শঙ্কু মুখুজ্যে বন-চাতকীর ভ্রমন্ত পৈলানকে পথে আগাইয়া দিয়া ফিরিয়া আসিয়া বলিলেন, আপনি যে এখানে এক একা বসে আছেন, ভেতরে চলুন। জমিদার শঙ্কু মুখুজ্যের সঙ্গে বিবাহের আসরে সমাগত বরষাত্রীদের মধ্যে গিয়া বসিলাম। কিন্তু মন আমার শ্ৰীমন্ত পৈলানের কথাই ভাবিতে লাগিল। লোকটা অদ্ভূত সন্দেহ নাই, কিন্তু অসাধারণ একজন গুণীও ষে সে-কথাও ত অস্বীকার করিবার উপায় নাই। আঁখিজল হইতে বাবুইডাজ ফিরিয়া আসিয়া কিছুতেই আর কোন জিনিষে মন দিতে পারিতেছিলাম না । বন-চাতকীর ক্রমস্ত পৈলান যেন আমাকে গ্রাস করিয়া বসিয়াছিল। শ্ৰীমন্ত পৈলানের কাছে বায়া-তবলা জামাকে শিখিতেই হইবে। আর তাহা যদি না শিখিতে श्रोब्रि ऊ शांन-बाछन। ८१थांब्र ८कान यांटनहे झछ ना । অত বড় এক জন গুণীর সামান্ত অনুগ্রহ পাইলেও জীবন আমার ধন্ত হইয়া বাইবে। অষ্টপ্রহর সেই ভাবনাই আমাকে কেমন পাইয়া বসিল । - শেষে কাহাকেও কিছু না বলিয়া একদিন বন-চাতকীর