পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

... 3". হইবে । এই ব্যাপারে এক্ষণে যে সকল চেষ্টা আমাদের দেশে আরম্ভ হইয়াছে তাহার বিষয় অল্পবিস্তর অনেকেই অবগত আছেন। দেখা যায়, এবিষয়ে গবশ্নেণ্ট কর্তৃপক্ষ প্রথমে অবহিত হইয়া যে চেষ্টা গত তিন-চারি বৎসর যাবৎ আরম্ভ করিয়াছেন তাহা কার্ধ্যকরী হইয়াছে এবং স্বফলও উৎপাদন করিতে আরম্ভ করিয়াছে। ১৯৩২ সালের জানুয়ারী মাসে কৃষি ও শিল্প বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মহাশয় প্রথম ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশনে সভাদিগকে যুবক বেকাররা যাহাতে বিভিন্ন কার্ধ্যে নিযুক্ত হইতে পারে তজন্ত বন্ধ ব্যয়সাপেক্ষ না-হয় এরূপ কোন উপায় দ্বারা গবন্মেণ্ট তাহাদিগের শিক্ষার ব্যবস্থা করিতে পারেন তাহার ষ্টীম উদ্ভাবন করিতে আহবান করেন। ঐযুক্ত নরেন্দ্রকুমার বন্ধ মহাশয় উক্ত আহবানে সাড়া দিয়া ষে স্বীম সভায় উপস্থিত করেন তাহাই কিছু কিছু সংশোধন করিয়া গবন্মেণ্ট গ্রহণ করেন ও কার্ধ্যে পরিণত করেন। গবন্মেন্টের শিল্পবিভাগ অনেক দিন হইতেই পরীক্ষা ও বিবেচনা করিতেছিলেন কি ভাবে দেশের ক্ষুত্র ক্ষুদ্র শিল্পগুলির উন্নতি সাধন করা যায়। ইহার জন্ত কর্তৃপক্ষ দেখেন যে আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে ও উৎপন্ন ফ্রব্যগুলি যাহাতে অল্প ব্যয়ে হয়—ইহার দ্বারাই উহা সম্ভব। ইহাতে দেখা যায় যে, এই সকল শিল্পের উক্ত উন্নত প্রণালীর সাহায্যে উন্নতি করিতে হইলে আধুনিক প্রণালীতে শিক্ষিত যুবকদের কৰ্ম্মলাভের স্বযোগ হইতে পারে। কারণ, দেশে যে-সকল বড় বড় কলকারখানা আছে তাহাতে যত যুবক নিযুক্ত হইতে পারে এই সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্পে তাহা অপেক্ষা অনেক অধিক যুবকের কৰ্ম্মলাভেয় সম্ভাবণ, যেহেতু এই ক্ষুত্র শিল্পগুলির প্রসার ও বৃদ্ধির যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। এই সকল শিল্প স্থানীয় ও ইহার উৎপন্ন ফ্রব্যগুলি যোল আন স্বদেশী, এবং এগুলি জনসাধারণের অর্থনীতিক জীবনের সহিত পুরুষপরম্পরা যোগযুক্ত হওয়ায় লোকের নিকট ইহার যে আদর আছে তাহাই ইহার রক্ষাকবচ । কিন্তু এতকাল এই শিল্পগুলি যে উপায়ের দ্বারা চালিত হইয়া আসিয়াছে তাহার আধুনিক উপায়ে উন্নতি হইলে ইহাতে শিক্ষাপ্রাপ্ত ভয় যুবকদের কর্ণপ্রাপ্তির সম্ভাবনা অধিক হয়। এই জন্ত গবন্মেন্টের শিল্পবিভাগ এক্ষণে ভস্ত্র যুবকদের নানা কুটার শিল্পে আধুনিক শিক্ষা দিয়া থাকেন। গবয়েষ্ট টেকনিক্যাল স্কুলগুলিতে ও বিভিন্ন কেঞ্জে উপযুক্ত শিক্ষক পাঠাইয়া নানা রূপ শিল্প শিক্ষার ব্যবস্থা করা হইয়াছে। এই কাৰ্য্য ব্যপদেশে গবন্মেণ্ট প্রথম বৎসরে এক লক্ষ টাকা ব্যয় মঞ্জুর করেন। যাহাতে গবন্মেন্টের উক্ত কাৰ্য্য ঠিক ভাবে চলিতে পারে ও লোকের বিশ্বাস উৎপাদন হয় তাহার জন্ত প্রত্যেক জেলায় তন্ত্রত্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের লইয়া শিল্প-সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে এবং এ-বিষয়ে সাহায্য করিবার জন্ত ডিষ্ট্রক্ট বোর্ডগুলিও আহূত হইয়াছে। উক্ত শিক্ষার দ্বারা ইতিমধ্যেই স্বফল দেখা দিয়াছে। শিক্ষাপ্রাপ্ত যুবকেরা ভিন্ন ভিন্ন ফ্যাক্টরীতে কাৰ্য্য লাভ করিতেছে, আবার নিজেরাও ছোট ছোট কারখানা খুলিয়াছে। এই কারখানাগুলিতে আবার অনুরূপ শিক্ষাপ্রাপ্ত যুবকের কার্ষ্য লাভ করিতেছে। . যাহাতে উক্তরূপ শিক্ষাপ্রাপ্ত যুবকেরা অধিকতর সংখ্যায় কলকারখানা খুলিয়া জীবনে প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে তাহার জন্ত মূলধন সরবরাহেরও এক পরিকল্পনা গবন্মেষ্ট করিয়াছেন। বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার শেষ অধিবেশনে কৃষি ও শিল্প বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মহাশয় লোকের জ্ঞাতার্থে উক্ত পরিকল্পনার এক বিস্তু ও বিবরণ দান করেন। গবন্মেষ্ট স্থির করিয়াছেন উক্তরূপ ঋণদানের জন্ত একটি লিমিটেড সোসাইট স্থাপন করিবেন যাহার গ্যারাটি-স্বরূপ গবন্মেণ্ট অনেক টাকা দান করিবেন। ইহার দ্বারা যুববেকারসমস্তার কিছু সমাধান হইতে পারে। দেশের উক্ত সমস্তায় কেবল ষে গৰষ্মেন্টরই সকল দায়িত্ব আছে একথা ভাবা ভুল হইবে । ধে বিশ্ববিদ্যালয় দেশের এত যুবকের শিক্ষাদাতা ও অভিভাবকস্বরূপ কাৰ্য্য করেন wटांझांग्नe cष cकदल fअचक निम्ना नरश्, शांशंर७ फेख लिचकপ্রাপ্ত যুবকের কৰ্ম্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে তাহার ব্যবস্থা বা উপায় উদ্ভাবন করারও এক দায়িত্ব আছে } মুখের বিষয় তাহার ব্যবস্থা এক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ করিতে আরম্ভ করিয়াছেন । এ-বিষয়ে প্রথম যুক্তপ্রদেশের গবয়েণ্ট যে সপ্র-অনুসন্ধান-কমিটি নিযুক্ত করেন তাহার ৰূপারিশ মত এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় নানা উপায় অবলম্বন করিতে আরম্ভ করিয়াছেন। এখানে ইহার বিষ্কৃত আলোচনার জাবস্তকতা নাই। তবে ইহা লক্ষ্যের বিষয়