পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করলে। নন্দ নিড়ান্ত ভালমানুষের মত বললে, “আরে একটু বোস দরোয়ানজী। তোমার একটা ড়ে-বকশিশ পাটুনা আছে ; যাই না ব'লে দেওয়াই ६ नेि ।। ७.tछ:নিয়ে যাও।” এক গাল হেসে দরোয়ান বললে, “হুজুর মা বাপ, আপনাদের পরবস্তিতেই গরীব বেঁচে আছে।” ইত্যাদি বলতে বলতে বৈঠকখানার ঘরের মেঝেয় বসল। প্রথম চেষ্টাতেই এতটা ফল পেয়ে খুশী হয়ে নন্দ তার হাতে একটা পাচ টাকার নোট গুজে দিয়ে বললে, “পরবস্তি আর কি দরোয়ানজী, তোমারই ভরসাতে ত জ্যোৎস্না মাইকে ওখানে রাখা। মাই ভাল আছে ত ”ি “মাইজী ত বাবু ওখানে থাকে না। সে একট। বোর্ডিমে উঠে গেছে।” নন্দ তাড়াতাড়ি সামলে নিয়ে বললে, “আরে হ্যা, সে ত গেছেই । ওখানে পড়াশুনার অন্ধবিধা হয় কি না তাই তাকে অন্য বোডিঙে দিতে বলেছি। আমার আবার কাজকর্শ্বের চাপে যাওয়া হয় না। বাড়ীটার নম্বর ভুলে গেছি, একখানা চিঠি দেব তাও হয় না।” “দেন না, আমাকে দিয়ে দেন, আমি পৌছে দেব।” “না না আজ মাইজী চিঠি দিয়েছে, আজ আর কাজ নেই। ঠিকানাটা এনে দিও, আর ভাল ক’রে দেখাশুনা করে, তোমায় আরও বকশিস করব। পাস করলে দোপাট আর পাগড়ী পাবে।” "হুজুর মা বাপ। কালই আপনাকে ঠিকানা এনে দেব।" “বেশ বেশ। আর দেখ আমি যে ঠিকানা ভুলে গেছি একথা আর কাউকে ব’লো না, এ বড় সরমের বাং । বুড়ো হয়ে কিছু মনে থাকে না, বুঝলে। কাল ঠিকানা এনে, বুঝলে ?” “জি হুজুর” বলে দরোয়ান বারংবার অভিবাদন ক’রে বিদায় নিলে । ঠিকান সংগ্রহ হওয়ার পর থেকে নন্দর আর স্বস্তি রইল না। দুঃসাহসে ভর করে সে যে নারীভবনে জ্যোংস্কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবে তেমন সাহস সে সংগ্রহ করে উঠতে পারে না, অথচ নিত্য সন্ধ্যার অন্ধকারে গা ঢাকা 蟹 বসল । মলাকে দেখে তার নেশা আরও বেড়ে গেল । fদয়ে নারীভবনের আশেপাশে ঘুরে বেড়াবার নেশায় তাকে নারীভবনের একটা জানালায় একদিন মোহগ্ৰস্ত মেহের আলির মত সে যেন নারীভবনের ক্ষুধিত পাযাণের আকর্ষণ থেকে নিজেকে কিছুতেই দূরে রাখতে পারে না। কমলীকে অপহরণ করবার নানা অসম্ভব কল্পনায় সে প্রায় সম্পূর্ণ বাহ্যজ্ঞান হারিয়েছিল ; এবং এমনি ক’রে সে রঙ্গলালের অনুচর নারীভবনের রক্ষীদের শুভদৃষ্টির কোপে পড়ে গেল । প্রত্যহই একটা লোককে সন্দেহজনকভাবে নারীভবনের আশে পাশে ঘুরে বেড়াতে দেখে অনুচরদের একজন আর একজনকে একথা জানালে । ক্রমে রঙ্গলালের কানেও কথাটা উঠল। দু-চার দিন পর্য্যবেক্ষণ করে রঙ্গলালেরও লোকটাকে স্ববিধের মনে হ’ল না। পুলিসের চর যে, সে বিষয়ে তার আর সন্দেহ রইল না । নন্দর উপর তারা কড়া নজর রাখতে লাগল। লোকে নিজের সর্বনাশের পথ নিজেই পরিষ্কার ক’রে থাকে। কমলাকে উদ্ধার করবার কোন উপায় চিন্তা করে উঠতে না পেরে সে মনে মনে অস্থির হয়ে উঠল। এমনই ক’রে রাস্তায় রাস্তায় একটা স্ত্রীলোকের মোহে উন্মাদের মত ঘুরে বেড়ানোর গ্লানিও তার মনে সঞ্চিত হচ্ছিল ; এবং তার নিজের মনকে ও নিজের অজ্ঞাতে মালতীকে কৈফিয়ৎ দেবার উদ্দেশে সে নিজেকে বুঝিয়েছিল, “জ্যোংস্কার অভিভাবক সে, জ্যোৎস্নাকে এমন ক'রে ভেসে যেতে দেবার তার কোন অধিকার নেই ।” জ্যোৎস্নার প্রতি তার চিত্ত লোভাতুর একথা সে মানতে চাইলে না। কোন এক সময়ের মোহের দুৰ্ব্বলতার জন্যে চিরকাল কি সে অমানুষ হয়ে আছে ? কখনই না। এমনি ক’রে নিজেকে বুঝ দিয়ে সে নিজের এবং অপরের কাছে যেন আত্মমর্যাদা বজায় রাখলে। মনে মনে বললে, “জ্যোৎস্ব সম্বন্ধে তার একটা দায়িত্ব৪ ত আছে ? ডাক্তার কে ? কে বলতে পারে তার অতিভদ্রতার আড়ালে অসদুদেগু নেই। এই ত হাসপাতালের ডাক্তাররাই ত কত কি বলে ওর নামে। এমনি কিছু আর বলে না ? হ্যা, অমন সাধুগিরি ঢের দেখেছি। আরে তুই কে রে বাবা, যে জ্যোৎস্নার জন্তে