পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীমাসংক্রান্ত নুতন আইন

  • অশোক চট্টোপাধ্যায়

কয়েক বৎসর পূর্ব হইতে ভারতীয় জীবন ও সাধারণ বীমব্যবসায়ীদিগের মধ্যে বিদেশীয় সমব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতিযোগিতাবশত, ভারতে বীমাকাৰ্য্যসংক্রান্ত আইনকাকুম পরিবর্তন করিবার প্রয়োজনীয়তা সবিশেষ অন্তভুত হয়। এই উদ্দেশ্যে বহু সভাসমিতি, আন্দোলন, আলোচনা প্রভৃতির ফলে গত বৎসর ভারত-গবন্মেন্টের তরফ হইতে এক কমিটি নিযুক্ত হয় ও বর্তমান বংসরের প্রারম্ভে একটি খসড়া আইন এ্যাসেমরীতে উপস্থিত করা হয়। বৰ্ত্তমানে এই বিষয়টি সিলেক্ট কমিটিতে রহিয়াছে। বীমার কায্যে সংশ্লিষ্ট সকল লোকের মতামত যাহাতে উপযুক্তরূপে প্রকাশিত হয় ও সকল দিক্ বিচার করিয়া নূতন আইন প্রণীত হয়, এই জন্য বীমা বলটি বীমা আইনে পরিণত হইবার পূৰ্ব্বে কিছু সময় অতিবাহিত হইতে দেওয়া হইতেছে। এ-বিষয়ে বীম-ব্যবসায়ীগণ যথেষ্টই সজাগ ; কিন্তু জনসাধারণের দৃষ্টি এদিকে ততট। আকৃষ্ট হয় মাই। বীমা, বিশেষ করিয়া জীবনবীমা, বৰ্ত্তমান জগতে জনসাধারণের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার অঙ্গস্বরূপ হইয়া দাড়াইয়াছে । শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকের অনেকেরই সঞ্চিভ অর্থ অল্পাধিক জীবনবীমায় রক্ষিত আছে । এতদ্ব্যতীত বীমার কার্য্যই বহু সহস্ৰ লোকের প্রধান পেশা হইয়া দাড়াইয়াছে । সুতরাং নুতন আইন যাহাতে সৰ্ব্বাঙ্গম্বন্দর হয় তাহার চেষ্টা করা সকলেরই কৰ্ত্তব্য। কয়েকটি বিষয়ে খুবই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। নূতন আইন আমরাই চাহিয়াছি, কিন্তু যাহাতে আমরা যাহা চাহিয়াছি তাহাই যেন ঠিক পাই সেদিকে দৃষ্টি রাখা আমাদের কৰ্ত্তব্য। সকল প্রকার বীমার মধ্যে জীবনবীমার সহিতই ভারতীয় ব্যবসায়ী, কৰ্ম্মী ও জনসাধারণের অধিক সংযোগ, কারণ জীবনবীমা আজকাল বহু লোকে করিয়া থাকেন ও ভজন্য ভারতবর্ষের সর্বত্রই জীবনবীমার এজেণ্ট অথবা দালালের কাজ করিয়া অনেক কৰ্ম্মী জীবনযাত্ৰ নিৰ্ব্বাহ করিয়া থাকেন। বাম-ব্যবসার বুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বহু লোকের মূলধন এই ব্যবসাতে নিযুক্ত হইয়াছে এবং বিভিন্ন বীমপ্রতিষ্ঠানে সহস্ৰ সহস্ৰ লোক নানা কাধ্যে চাকুরীতেও লিপ্ত আছেন। শিক্ষিত জনসম্প্রদায়ের পক্ষে এই ব্যবসায়ের উন্নতি অথবা অবনতি বিশেষ চিন্তার বিষয় হইয়া দাড়াইয়াছে ; কারণ এই ব্যবসাতে তাহীদের যে পরিমাণ মূলধন, সঞ্চিত অর্থ ও পরিশ্রম কেন্দ্রীভূত হইয়াছে, অপর কোন ব্যবসাতে সম্ভবত ততটা হয় নাই । অধুনা দুই শতাধিক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান বীমার কার্য্য করিয়া থাকেন এবং এই সকল প্রতিষ্ঠানের হস্তে প্রায় ত্ৰিশ কোটি টাকার তহবিল মজুত আছে । এই সকল প্রতিষ্ঠানের বাধিক আয় প্রায় ছয়-সাত কোটি টাকা হইবে । বিদেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলির ভারতে অর্জিত তহবিল ও বাৎসরিক আয় দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলির তুলনায় কিছু কম হইলেণ্ড তাহাও প্রভূত। নৃতম বীমা আইন প্রণয়নের একটা উদ্দেশু, এই সকল বিদেশী বীমা প্রতিষ্ঠানের কার্য্যকলাপ ভারতীয় গবন্মেন্টের আয়ত্ত্বাধীন করা। অদ্যাবধি ভারতে, ইংলও, জাপান, সুইংজারল্যাণ্ড, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাৰ্ম্মেণী, গুলাগু, ফ্রান্স, ইতালী, অষ্ট্রিয়, দক্ষিণ আফ্রিকা, মালয়, আমেরিকা প্রভৃতি সকল দেশের প্রতিষ্ঠামই শাখা ব্যবসায় খুলিয়! ইচ্ছামত ভারতীয় অর্ণ অর্জন করিতেছিলেন। বিদেশীয় প্রতিষ্ঠানের ভারতে অর্জিত ও সঞ্চিত অর্থ কোথায় কি ভাবে রক্ষিত হয় তাহ। তাহাদের নিজেদের প্রায় সম্পূর্ণ ইচ্ছাধীন ছিল । ব্যবসায়-প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে তাঙ্গর ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধাচরণ করিলে অর্থবল ও ভারতবাসীর স্বভাবস্থলভ পরমুখাপেক্ষী মনোবৃত্তির সাহায্যে নিজ কাৰ্য্য

সিদ্ধি করিতে পারিত। তাঁহাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগও

শুনা গিয়াছে যে তাঙ্গর প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে অধিক