পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS3 প্রবাসা SN9gN9 জ্ঞাপনীতে বলা হয়, যে, তাহার ভাতা মঞ্জুর হইয়াছিল! হাইকোটে এই বিষয়টির শুনানীর সময় বিচারপতি কানলিফ সরকারী কীেস্থলিকে প্রশ্ন করেন যে ভাতার টাকা কখন পাঠান হইয়াছিল। কৌস্বলি বলেন র্তাহারা তাহ জানেন না ! ডাকঘরে ত সরকারী বেসরকারী সব মনি অর্ডারেরই তারিখ থাকে। এক্ষেত্রে তাহা না জানিবার কারণ কি ? বিনাবিচারে-বন্দীদের ভাতা উক্ত বিষয়টির শুনানীর সময় বিনাবিচারে-বন্দীদিগকে ভাতা দেওয়া না-দেওয়া সম্বন্ধে সরকারী রীতি প্রকাশ পায়, এবং তাহ ষে আইনসঙ্গত নহে বিচারপতি হেণ্ডারসন এই মত প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে শুনানীর রিপোর্টের আবশ্যক অংশ নীচে উদ্ধত করিতেছি । “Mr. Khundkur (the Deputy Legal Remeinbrancer) suid thnt the policy of Government with regard to allowance wits this. When a person was dependent upon another person, when a minor dependent on his parents and guardians was ordered to be interned with the parents or guardians, Government did not order an allowance, but when n person dependent upon another had been ordered to be interned elsewhere, then an allowance was given. “Mr. Justice TTenderson remarked that this was opposed to the Act surely. That was the legal position. “Mr. Khundkar suid that he was staiing certain facts.” ইহার তাৎপৰ্য্য এই, যে, ডেপুটী লিগ্যাল রিমেম্বান্সার মিঃ খুন্দকার বলেন, ভাতা সম্বন্ধে সরকারী নীতি এই, যে, কাহারও পোষ্য কাহাকেও তাহার পোষকের বাড়ীতে, নাবালককে তাহার পিতামাতা বা অন্ত অভিভাবকের বাড়ীতে অন্তরীণ করিলে তাহার জন্য ভাত দেওয়া হয় না ; ইত্যাদি। তাহাতে বিচারপতি হেণ্ডারসন বলেন, ইহা নিশ্চয়ই আইনবিরুদ্ধ। ইহাতে মিঃ খুন্দকার কোন তর্ক না করিয়া বলেন, তিনি কতকগুলি তথ্য বলিতেছেন মাত্র। যে-ষে স্থলে গবষ্মেণ্ট হাইকোর্টের মতে আইনবিরুদ্ধ এই নীতির অনুসরণ করিতেছেন, তাহা হাইকোর্টের ও সৰ্ব্বসাধারণের গোচর করা কৰ্ত্তব্য । ভাতায় বঞ্চিত নাবালক অন্তরীণদের পিতামাতা বা অন্ত অভিভাবকেরা এবং বঙ্গীয় সিবিল লিবার্টিজ যুনিয়ন এই কাজটি করিতে পারেন। বিশ্বরাজনীতি-ক্ষেত্রে বাঙালীর স্থান প্রায় আটাশ বৎসর পুৰ্ব্বে অর্থাৎ বঙ্গে স্বদেশী আন্দোলনের যুগে, যুবা বয়সে শ্ৰীযুক্ত তারকনাথ দাস স্বদেশ ছাড়িয়া যান। তখন হইতে তিনি বিদেশে—প্রধানতঃ আমেরিকায়—বাস করিতেছেন । সেখানে তিনি দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হইতে এম্-এ এবং পিএইচ-ডি উপাধি লাভ করিয়াছেন, এবং “কাথলিক য়ুনিভাসিটি অব আমেরিকা” নামক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বদূর প্রাচ্যদেশ সম্বন্ধে অধ্যাপকতা করিয়াছেন । তথাকার শ্রমিক ও তদ্বিধ অক্সান্ত দলে তাহার প্রতিপত্তি আছে । জামানীর মুনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে প্রতিবৎসর মুনিখ ডয়েটশে আকাডেমী কর্তৃক বহু ভারতীয় ছাত্রকে বৃত্তি দেওয়া হয়, তাহা অনেকটা তাহার চেষ্টার ফল । তিনি মুনিখের ঐ বিদ্বৎপরিষদের এক জন সম্মানিত সদস্য, এবং ভারতীয় ছাত্রদের জন্য অভিপ্রেত উহার একটি বৃত্তি র্তাহার নামে দেওয়া হয়। তিনি রোমের মধ্য ও স্বদূর প্রাচ্য সমিতির সম্মানিত সদস্য। ইংরেজীতে তিনি কয়েকখানি পুস্তক রচনা করিয়াছেন। স্বাধীন দেশে বাস করেন বলিয়া তিনি সব দেশের সমসাময়িক রাষ্ট্রনীতি সম্বন্ধে যেরূপ জ্ঞান লাভ করিতে সমর্থ, আমরা চেষ্টা করিলেও তাহা করিবার সুযোগ পাই না। কারণ, ভিন্ন ভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রনীতি বুঝিতে হইলে যে-সকল খবর জানা এবং কাগজপত্র পড়া আবশ্বক, তাহার অনেকগুলি এদেশে পৌঁছেই না, পৌছিলেও প্রকাশিত হয় না বা সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়। বিদেশবাসী ভারতীয়দের মধ্যে ডক্টর তারকনাথ দাস সকল দেশের পররাষ্ট্রনীতি সম্বন্ধে এক জন বিশেষজ্ঞ এবং প্রামাণিক লেখক । এ বিষয়ে তাহার ইংরেজী বহি আছে। সম্প্রতি এই বিষয়ে “বিশ্বরাজনীতির কথা” নামক তাহার একখানি বাংলা বহি সরস্বতী লাইব্রেরী প্রকাশ করিয়াছেন। ইহা পাঠ করিলে বাঙালী পাঠকেরা অল্প আয়াসে পাশ্চাত্য ও জাপানী রাষ্ট্রনীতির অনেক নিগূঢ় কথা সহজে বুঝিতে পারিবেন। সে বিষয়ে আমরা প্রবাসীর পরবর্তী কোন সংখ্যায় কিছু