পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে ন্যায় অন্যায় অপেক্ষা কে কত সাহায্য করিতে বা কষ্ট দিতে পারে, তাঁহাই অধিক বিবেচিত হইয়া . থাকে। তাহার পর মিঃ ফজলল হকের নিজের কৃষকপ্রজfদল আছে । তাহাদিগকেও ত কিঞ্চিৎ দিতে হইবে, একান্ত বঞ্চিত করিলে চলিবে না । হিন্দুর মন্ত্রীর পদ কয়টি পাইবেন, তাহার স্থিরতা নাই । কিন্তু “অবনত” শ্রেণীর নেতার না-কি দুটি পদ চাহিতেছেন । ত্রিশটি আসনের অধিকারী তফসিলভুক্ত জাতিরা যদি দুটি পান, ভাহা হইলে ৫০টি আসনের অধিকারী অন্য হিন্দুর অন্ততঃ ৩টি পাইবার দাবী করিতে পারেন । ত-ছাড়া এই ৫০টি ব্যতীত হিন্দুরা বাণিজ্যিক, শ্রমিক এবং জমিদারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আসনগুলিরও কয়েকটি পাইয়াছেন। স্থতরাং অন্ত হিন্দুদিগকে তফসিলভুক্ত জাতিদের চেয়ে কমসংখ্যক মন্ত্রিপদ দেওয়া অসুবিধাজনক হইবে । এই বিষয়ের আলোচনায় আমর। ন্যায় অন্যায়ের কথা তুলিতেছি না। কারণ, অন্যায়মুষ্টি সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার ভিত্তির উপর নিৰ্ম্মিত শাসনবিধিটার মধ্যে স্থায় খুজিয়া বাহির করা কঠিন । বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার উচ্চ কক্ষে মুসলমান সদস্য বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার উচ্চ কক্ষের ২৭ জন সদস্য নিম্ন কক্ষের সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হইবে, নিয়ম এইরূপ । মুসলমানেরা এইরূপ আশা করিয়াছিলেন, যে, নিম্ন কক্ষের মুসলমান সদস্যেরা উচ্চ কক্ষের এই সাতাইশটি আসনের প্রার্থীদের মধ্যে মুসলমানদিগকেই ভোট দিবেন। কিন্তু তাহার কেহ কেহ কোন কোন হিন্দুপ্রার্থীকেও ভোট দিয়াছেন। ফলে, নিম্ন কক্ষে মুসলমান সদস্যদের যেরূপ সংখ্যাধিক্য হইয়াছে, উচ্চ কক্ষে সেরূপ হয় নাই। মুসলমানেরা ইহাতে সস্তুষ্ট নহেন । তাহারী উচ্চ কক্ষেও নিম্ন কক্ষের মত সংখ্যাধিক্য চান ৷ শুনা যায়, তাহীর জন্য র্তাহার। বঙ্গের লাটসাহেবকে এই অনুরোধ করিবেন, যে, তিনি যেন উপযুক্তসংখ্যক মুসলমানকে উচ্চ কক্ষের সদস্ত মনোনয়ন করেন। ছয় হইতে আটজনকে উচ্চ কক্ষের সদস্ত মনোনয়ন করিবার ক্ষমতা লাটসাহেবের আছে । নিম কক্ষের কোন কোন মুসলমান সদস্ত কোন কোন হিন্দু প্রার্থীকে কেন ভোট দিলেন, তাহার কারণ প্রকাশ পায় নাই, পাইবেও না। হইতে পারে, যে, তাহারা কোন কোন হিন্দু প্রার্থীকেই কোন মুসলমান প্রার্থী অপেক্ষ যোগ্যতর মনে করিয়াছিলেন ; কিংবা অন্য কারণও থাকিতে পারে । এইরূপ ভোট যাহারা দিয়াছেন ও পাইয়াছেন, তাহারা প্রকৃত তথ্য জানেন । যাহা হউক, মুসলমান সদস্যেরা ক্ষমতা থাকিতেও যখন মুসলমান সমাজের বাঞ্চাশুরূপ যথেষ্টসংখ্যক মুসলমান সদস্যকে নির্বাচিত করেন নাই, তখন তাহাদের বিবেচনায় যাহা ঘাটতি তাহ পূরণ করিতে লাটসাহেবকে বল অশোভন ও অযৌক্তিক হইবে। বঙ্গীয় উচ্চ কক্ষে তফসিলভুক্ত জাতির সদস্য বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার নিম্ন কক্ষের মুসলমান সদস্যেরা যেমন ক্ষমতা থাকিতেও মুসলমান সমাজের বাস্থলম্বরূপ যথেষ্টসংখ্যক মুসলমানকে উচ্চ কক্ষের সদস্য নিৰ্ব্বাচন করেন নাই, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার নিম্ন কঙ্গের তফসিলভুক্ত জাতিদের সদস্যেরাও সেইরূপ নিজ শ্রেণীর যত জলকে উচ্চ কক্ষের সদস্ত পদের জন্য ভোট দিতে পারিতেন, তাহা দেন নাই ; তাহাৰ পরিবর্তে কোন কোন “উচ্চ” জাতির হিন্দুকে ভো দিয়াছেন । ফলে তফসিলভুক্ত জাতির লোকদের মধ্যেx অসন্তোষ দেখা দিয়াছে শুনা যায় । তাহারাও নাৰি গবর্ণরকে কয়েক জন তফসিলভুক্ত জাতির লোককে উt কক্ষের সদস্য মনোনয়ন করিতে অকুরোধ করিবেন। বক্ত বাহুল্য, এরূপ অঙ্গুরোধ কয়িলে তাহা অশোভন । অযৌক্তিক হইবে। নিম্ন কক্ষের তফসিলভুক্ত জাতিদের কোন কোন সর উচ্চ কক্ষের সদস্যপদপ্রার্থী কোন কোন “উচ্চ” জাতি হিন্দুকে কেন ভোট দিয়াছেন, তাহা প্রকাশ পায় নাই তাহাদের যোগ্যতরতার জন্য দিয়াছেন, না অন্য কাৰু দিয়াছেন, তাহ ভোটদাতারা জানেন, এবং র্যাহারা ত্বে পাইয়াছেন, তাহারাও জানেন ।