পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার আংশিক ব্যর্থতা সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারীর একটা উদ্দেশু, ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগকে ও “উচ্চ” ও “নিম্ন জাতির হিন্দুদিগকে নিজেদের গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ রাখা এবং ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ুনিরপেক্ষ ও জাভিনিরপেক্ষ দল গঠনে বাধা দেওয়া । কিন্তু ব্রিটিশ পালেমেণ্টের বুদ্ধিতে এই উদেশ্বসাধনের যত রকম ফন্দী আসিয়াছে, তাহ অবলম্বন সত্ত্বেও, হিন্দু মুসলমানের নির্বাচনে সহায়তা করিয়াছে, এবং মুসলমান হিন্দুকে ও তফসিলভুক্ত হিন্দু ও অন্য হিন্দুকে ভোট দিয়াছে । অস্তুতঃ কোন কোণ ক্ষেত্রে হয়ত যোগ্যতা ও সামাজিক প্রভাবের জন্ম হুইয়াছে । অন্য কারণের যে ইঙ্গিত মুসলমান কাগজেষ্ট দেখা যায়, তাহা সত্য হইলে, কবি বায়রনের নারীদের প্রতি অবিচারিত অবজ্ঞাসূচক পংক্তি দুটার একটা শৰী বদলাইয়! কোন কোন রকম সদস্যদের সম্বন্ধে বল যাইতে পারে— “Asembers, like moths, are ever caught isy glare. A nil Manmon wins his way whore serapiis lilight despair.” ংগ্রেস-কমিটি দ্বারা অকংগ্রেসী প্রার্থী মনোনয়ন উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচিত হইবার ধোগ্য বলিয়৷ যাহাদের নামের তালিকা কংগ্রেস-কমিটি বাহির করিয়াছিলেন, তাহাতে কংগ্রেগওয়াল মহেন এরূপ লোকদের স্থানপ্রাপ্তিতে নানাবিধ সমালোচনা হইয়াছে । ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় তাহার স্পষ্ট'স্পষ্ট জবাবও দিয়াছেন। এরূপ জবাব এক দিক দিয়া উপভোগ্য হইলেও, তাহাতে কংগ্রেসের শুধু প্রতিপত্তিষ্ট বাড়িয়াছে মনে হয় না । যাহা হউক, কংগ্রেসওয়ালারা যে কোন কোন স্থলে নিজেদের দলের বাহিরের লোকদিগকেও মনোনীত করিয়াছেন, তাহার ভাল দিকটির উল্লেখ করা আবখ্যক । জন্ম ও বংশগত জাতিভেদ আছে, নিরক্ষর ও লিখনপঠনক্ষম এই দুই জাতি আছে, বাংলানবিস ও ইংরেজীনবিস এই দুই জাতি আছে, ধনী ও দরিত্র দুই জাতি আছে, ধৰ্ম্মগত জাতিভেদ আছে, পেশাগত জাতিভেদ আছে—তাহার উপর নূতন এক প্রকার জাতিভেদের আবির্ভাব হইয়াছে রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে মতভেদ লইয়া। এবং এই মতভেদ যে একান্ত ও ভিত্তিগত তাহাও নহে । অতএব প্রত্যেক দলের লোক অন্ত সব দলের যোগ্য লোকদের যোগ্যতা মানিয়া এই জাতিভেদ ভাঙিয়া দিলে তাহার প্রশংসা করা আবশ্বকৰ্ত্তব্য । স্বাধীনভালিপস বাঞ্ছনীয়, কিন্তু তাহা দল-বিশেষেরই একচেটিয়া সম্পত্তি, এরূপ লোকদেখানে ভঙ্গিমা ( pose ) বাঞ্ছনীয় নহে। * মহাত্মা গান্ধীর “স্বাধীনতা” দক্ষিণ-আফ্রিকায় মহাত্মা গান্ধীর শিষ্য ও সহকৰ্ম্মী অধুনা লণ্ডননিবাসী সলিসিটার মি: পোলাক গান্ধী মহাশয়কে জিজ্ঞাস করেন, তিনি যে স্বাধীনত চান, সে কি রকম ? যখন গোলটেবিল কনফারেন্সের বৈঠকে গান্ধীজী লণ্ডন গিয়া&িলেম, তখন তিনি ধাহা বলিয়াছিলেন, এখনও কি তাহার মত সেইরূপ প্রশ্নের উত্তরে গান্ধীজী বলেন, তখন তিনি বলিয়াছিলেন, স্বাধীনতার স'র অংশ পাইলে সম্বষ্ট হইবেন, এখনও তিনি স্বাধীনতার সার অংশ পাইলে সন্তুষ্ট হইবেন । তাঙ্গর মতে ওয়েষ্টমিন্স টার ষ্ট্যাটু্যট নামক আইল অনুযায়ী ডোনীনিয়নত্ব পাইলে স্বাধীনতার সার অংশ পাওয়! যাইবে। কানাড, দক্ষিণআফ্রিক, অষ্ট্রেলিয়া প্রভৃতি ডোমানিয়নগুলি নিজ নিজ দেশের আভ্যন্তরীণ সব ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বাধীন। ইংলণ্ড তাহাদিগকে তাহীদের মতের বিরুদ্ধে অদ্য দেশের সহিত যুদ্ধে যোগ দিতে বা তাঙ্গদের সৈন্যদলকে অন্য দেশের সহিত যুদ্ধে লাগাইতে পারে না । অপশু, তাহারাও ইংলণ্ডের অমতে অন্য দেশের সহিত যুদ্ধ করিতে পারে মা, কিংবা ইংলণ্ডের সহিত যুদ্ধে ব্যাপুত কোন দেশের সহিত মিত্রতামূলক সন্ধি করিতে পারে না । কিন্তু তাহার স্বাধীনভাবে বিদেশের সহিত বাণিজ্যিক সন্ধি করিতে ও ভথায় বাণিয়েদুত রাখতে পারে। ওয়েষ্টমিন্স টার ষ্ট্যাটু্যট অনুসারে ডোমীনিয়নগুলি আবশ্যক হইলে ও ইচ্ছা হইলে ইংলও হইতে সম্পূর্ণ পৃথক হইয়া, ইংলণ্ডের সহিত সম্পর্ক ত্যাগ করিয়া, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বাহিরে চলিয়া যাইতে পারে । গান্ধীজী বিশেষ করিয়া এই অধিকারটির উল্লেখ করিয়া বলিয়াছেন, যে, তিনি ওয়েষ্টমিন্স টার ষ্ট্যাটু্যট অনুযায়ী এই অধিকার সমেত ডোমীনিয়নত্ব পাইলে সন্তুষ্ট হইবেন। আমরা তাহার মনের ভাব বুঝিতে আছে ?