পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী SNలిgue স্বগীয় কৃষ্ণলাল দত্ত তিনি মহীশূর গবষ্মেন্টের রাজস্ববিষয়ক বিশেষ কৰ্ম্মচারীর কাজ করিয়াছিলেন । ১৯১৯ সালে বিলাতে মুদ্রাবিষয়ক রাজকীয় কমিশনে সাক্ষ্য দিবার জন্য র্তাহাকে বিশেষ করিয়া প্রেরণ করা হয় । তিনি কিছুকাল কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের কাজ করিয়াছিলেন। সমুদয় পদের কাজই তিনি বিশেষ যোগ্যতার সহিত সম্পাদন করিয়াছিলেন । ইহা লক্ষ্য করিবার বিষয়, যে, যদিও কৃষ্ণলাল দত্ত মহাশয় গবষ্মেন্টের খুব শক্ত শক্ত কাজ করিয়া দিয়াছিলেন এবং উচ্চপদও র্তাহার হইয়াছিল, তথাপি সরকার তাহাকে কোন উপাধি দেন নাই। এরূপ অনুমান করা যাইতে পারে, যে, তাহার বুদ্ধি, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সাহায্য সরকারকে অগত্যা লইতে হইয়াছিল, কিন্তু স্বাধীনচিত্ততার জন্ত তিনি উপরওয়ালাদের প্রিয়পুত্রে হইতে পারেন নাই। বিজয়কৃষ্ণ বস্তু চিড়িয়াখানা নামে পরিচিত আলিপুরের জীবনিবাসের ভূতপূৰ্ব্ব স্বপারিস্টেণ্ডেণ্ট রান্ধবাহাদুর বিজয়কৃষ্ণ বন্ধ মহাশয়ের সম্প্রতি মৃত্যু হইয়াছে। তাহার কস্তাই তাহার একমাত্র সন্তান। তাহার এই কস্তা ও জামাত তাহার মৃত্যুকালে ইলেণ্ডে থাকায় তাহাঁদের সহিত দেখা হয় নাই । তিনি পশুচিকিৎসা প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষা ও উপাধি লাভের পর সেই সকল বিষয়ে কিছু গবেষণা করিয়াছিলেন। পরে আলিপুর জীবনিবাসে তত্ত্বাবধায়কের পদে নিযুক্ত হন । এই কাজ তিনি বিশেষ দক্ষতার সহিত নিৰ্ব্বাহ করিয়া অবসর গ্রহণ করেন। তিনি শাস্ত ও ধীর প্রকৃতির সদাপ্রফুল্পচিত্ত মানুষ ছিলেন । র্তাহার এইরূপ স্বভাবের প্রভাব পশুপক্ষীরাও অনুভব করিত। তাহার দক্ষতার জন্য র্তাহার অভিজ্ঞতা বুদ্ধির উদ্দেশুে তাহাকে ইউরোপের অনেকগুলি জীবনিবাস (Zoological Gardens) দেখিতে পাঠান হইয়াছিল। জামেনীর হাম্বুর্গের জীবনিবাস-উদ্যানের অধ্যক্ষ তাহার প্রতি শ্ৰদ্ধা ও অঙ্গরাগের চিহ্নস্বরূপ র্তাহাকে একটি মূল্যবান