পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ দিল্লীর প্রাচীন মানমন্দির Sb-so সময় হইতে যে-পর্য্যস্ত না ঐ নক্ষত্র ( যাহার ভুজাংশ বাহির করিতে হইবে ) আকাশে স্বম্পষ্ট উদিত দৃষ্ট হয়, সেই পৰ্য্যস্ত যে সময় তাহা স্থির করিতে হইবে। পরে এই সময় মাধ্যাহিক হইতে সূর্য্যের নতঘটিকাতে যোগ করিতে হইবে । এই রূপে প্রাপ্ত সময়ই সেই সময়ের মাধ্যাহিক হইতে স্থয্যের r ছেদাংশ, জয়প্রকাশ, দিল্লী-মানমন্দির -REr" | Els sētai "faic: ( enlminating point of the ecliptio ) বিষুবাংশ প্রাপ্ত হওয়া যাধ। এক্ষণে যম্বের সাহায্যে নক্ষত্রের নতঘটিকা বাহির করিয়া মধ্যলগ্নের বিষুবাংশে যোগ বা বিয়োগ করিতে হইবে । তাহ হইলে নক্ষত্রের অবিশুক ভুজাংশ পাওয়া যাইবে । পূৰ্ব্ব গোলে নক্ষত্র থাকিলে যোগ করিতে হইবে, আর পশ্চিম গোলে নক্ষত্র থাকিলে বিয়োগ করিতে হইবে । ১ । জয়প্রকাশ - ইহাকে জগন্নাথ সৰ্ব্বযক্ষ্মশিরোমণি আখ্যা দিয়াছেন । ইহা দুইটি অৰ্দ্ধগোলক লইয়া গঠিত। অবশ্য একটি অৰ্দ্ধগোলকই যথেষ্ট হইত, কিন্তু পর্য্যবেক্ষণের সুবিধার জন্য একটি পূর্ণগোলক নিৰ্ম্মিত করিয়া উহাকে আৰ্দ্ধভাবে কর্তিত করা হইয়াছে। পূৰ্ব্বে অৰ্দ্ধগোলক দুইটির উপর সোজাসুজি দুইটি তার থাকিত। একটি উত্তর হইতে দক্ষিণে, আর একটি পূৰ্ব্ব হইতে পশ্চিমে, এইরূপ ভাবে বিস্তৃত থাকিত। এই তার দুইটির ছেদকবিন্দুর ছায়া স্বর্ঘ্যের অবস্থিতি নির্দেশ করিভ । ঐ অৰ্দ্ধগোলকের উপরিভাগে coff, Woffo (azimuth circle), tissiog (altitude circle ), বিষুববৃত্ত, ক্রান্তিবৃত্ত প্রভৃতি অঙ্কিত রহিয়াছে ; সুতরাং সূর্য্যের অবস্থিতি অল্পায়াসেই জ্ঞাত হওয়া যায়। উহাতে ক্রাস্তিবৃত্ত্বের দ্বাদশ চিহ্ন খোদিত থাকায়, কোন বিশেষ সময়ে সূর্য্যের ছায়ার অবস্থানের দ্বারা মাধ্যাহিকের উপর কোন চিহ্ন রহিয়াছে, তাহা অবগত হইতে পারা যায়। স্বৰ্য্য ভিন্ন অপর জ্যোতিষ্কের অবস্থিতিও এই যন্ত্রের সাহায্যে অবগত হইবার উপায় আছে ; কারণ উপরিলিখিত তার দুইটির ছেদকবিন্দু কথন জ্যোতিষ্কটি অতিক্রম করে, ইহা পৰ্য্যবেক্ষণ করিলেই উহার অবস্থান অবগত হওয়া গেল । ৩। রাম-যন্ত্র-এই যন্ত্র মহারাজ জয়সিংহের পূর্বপুরুষ রামসিংহের নামে পরিচিত । ইহা জয়প্রকাশ-যন্ত্রের ঠিক দক্ষিণ দিকে অবস্থিত । দুইটি বৃহৎ বুক্তাকার ভিত্তি ইহার সহিত সংলগ্ন , প্রত্যেক ভিল্লির একটি বৃত্তাকার প্রাচীর গঠিত হইয়াছে এবং মধ্যস্থলে একটি স্তম্ভ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। অঙ্গ-চিহ্নিত ভূমিতল হইতে প্রাচীর ও স্তম্ভটির উচ্চতা ভিত্তির অভ্যন্তরিক ব্যাসাৰ্দ্ধ অর্থাৎ স্বস্তুপরিধি হইতে প্রাচীরের ব্যবধান পৰ্য্যস্ত পরিমাণের সমান এবং মোট ২৪ ফুট ৬ ইঞ্চি, স্তম্ভের ব্যাস ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি । কোটি-অগ্র ( azimuth ) ও উন্নতাংশ ( altitude ) অবগত হইবার নিমিত প্রাচীর ও ভিত্তিতলে অঙ্কচিহ্ন থোদিত রহিয়াছে পৰ্য্যবেক্ষণের সুবিধার জন্য ভিত্তিল ৩০টি বুত্ৰখণ্ডে বিভক্ত হইয়াছে ; প্রত্যেকটির ছেদাংশ, জয়প্রকাশ, দিল্লী-মানমন্দির ৬ ডিগ্ৰী ব্যবধান। ঐ অঙ্কচিঙ্গিত বৃত্তপণ্ডগুলি তিন ফুট উচ্চ স্তম্ভের উপর সংস্থিত, ইহতে পর্য্যবেক্ষণকারী যত্নের যে-কোন স্থানে চক্ষু স্থাপন করিতে পারেন । এইরূপে অঙ্কচিহ্নিত প্রাচীরগুলির মধ্যে মধ্যে ছিদ্র করা রহিয়াছে, প্রত্যেকটির পাশ্বে পর্য্যবেক্ষণ-দণ্ড রাখিবার জন্য অপ্রশস্ত পথ