পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

чах чч

    • -Ҹ 1-т.

عب۔ cs مہ۔ sچے নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ইহাতে পর্য্যবেক্ষণের বিশেষ সুবিধা হইয়া থাকে । ৪ । মিশ্র যন্ত্ৰ—ইহা সম্রাট-যশ্নের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় এক শত হস্ত দূরে অবস্থিত। একটি ভিত্তিতে চারিটি বিভিন্ন যন্ত্রের সমাবেশ হইয়াছে বলিয়৷ এই যন্ত্রের এইরূপ নামকরণ হইয়াছে। এই চারিটি যন্ত্রের মধ্যে নিযুতচক্র কেন্দ্রস্থলে স্থাপিত এবং প্রতিপাশ্বে দুইটি অস্ক-চিহ্নিত বৃত্তাদ্ধের সহিত একটি শঙ্কু নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। নিযুত-যন্ত্রের প্রত্যেক দিকে এবং ইহার সহিত সংলগ্নভাবে একটি অৰ্দ্ধশঙ্কপট গঠিত রহিয়াছে । ইহার গঠন বৃহৎ সম্রাট-যন্ত্রের গঠনপ্রণালীর অনুরূপ । ভিত্তির পশ্চিম পাশ্বে একটি বুন্তপাদ ( quadrant ) স্থাপিত হইয়াছে । ইহার মুখদেশ অক্ষদণ্ডের সহিত সমান্তরাল ন হইয়া ক্ষিতিজের সহিত সমতলে স্থাপিত , ইহা আগ্রা-যঞ্জ নামে পরিচিত। ভিত্তির পূৰ্ব্ব প্রাচীরের একটি অঙ্ক-চিঙ্গিত বৃত্তীৰ্দ্ধ নিৰ্ম্মিত রহিয়াছে, ইহার নাম দক্ষিণবুদ্ভি যশ্ব । ইহা উন্নতাংশ বাহির করিতে ব্যবহৃত হইত। মিশ্ৰ-যশ্নের উত্তর প্রাচীর উল্লম্ব-রেখার ( vertical ) fzv a fesîl ata: ( inclined ), ăzit s একটি বৃহৎ অঙ্কচিহ্নিত রক্ত সংলগ্ন রহিয়াছে । ইহা কৰ্কট রাশিবলয় বা কর্কটবৃত্ত নামে অভিহিত । পূৰ্ব্বোল্লিখিত যক্ষগুলি ব্যতীত আরও যে-কয়েকটি যন্ত্র এই মানমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহার নিদর্শন রহিয়াছে । দ্বার দিয়া প্রবেশ করিলেই সম্মুখে ও দক্ষিণ-পশ্চিমে পুরাতন যন্ত্রের ভগ্নাবশেষ-স্বরূপ একটি ভিত্তি ও দুইটি স্তস্থ দুষ্ট হইয় থাকে ; মাঝে মাঝে বৃক্ষ জন্মিয় দুই-একটি যন্ত্রকে ঈষৎ আচ্ছাদিত করিয়া রাখিয়াছে । সমগ্র বেধালয়টি একটি বৃহৎ মৃন্ময়-প্রাচীরে বেষ্টিত। ইহার পশ্চিম দিকে প্রবেশ-দ্বার রহিয়াছে । মহারাজ জয়সিংহ সৰ্ব্বপ্রথম দিল্লীর মানমন্দিরটিই নিৰ্ম্মিত করিয়াছিলেন । এইখানেই মহারাজ জয়সিংহ তাহার প্রধান প্রধান পর্য্যবেক্ষণকাৰ্য্য সমাধ৷ করিয়া জীজ, মহম্মদশাহী নামক নির্ঘণ্ট-পুস্তক রচনা ( tropic of caneer ) করিয়াছিলেন । জয়সিংহ লিখিয়াছেন যে, প্রথমে তিনি দিল্লীতে পিত্তল-নিৰ্ম্মিত যন্ত্র স্থাপিত করিয়াছিলেন, কিন্তু পরে উহা তাহার মনোনীত না হওয়ায়, তিনি সম্রাট-যন্ত্র, জয়প্রকাশ, রাম-যন্ত্র প্রভৃতি নূতন নূতন যন্থ উদ্ভাবিত করিয়া সুদৃঢ় সংলগ্ন করিবার জন্য প্রস্তর ও চুণ দিয়া ভিত্তি নিৰ্ম্মাণ করেন। মিশ্র-যন্থটি জয়সিংহের পুত্ৰ মধুসিংহ প্রস্তুত করিয়াছিলেন। তিনিও পিতৃতুল্য বিজ্ঞানোৎসাহী ছিলেন । দিল্লীর এই মানমন্দিরটি অতি সুন্দরভাবে নিৰ্ম্মিত । বর্তমান সময়ে ইহা ভারতের নূতন রাজধানীর শোভা-স্বরূপ হইয়াছে। বাহির হইতে ইহার রাম-যন্ত্রের বৃত্তাকার প্রাচীর ও তৎসংলগ্ন তুল্য ব্যবধানে অবস্থিত প্রাচীর-অংশের প্রশস্ততাকুযায়ী ৩৯টি করিয়া উপরি-উপরি তিন সারি বাধা বাতায়ন এক অপরূপ সৌন্দয্য বিস্তার করিয়াছে। মনে হয়, ধেন রোমনগরীর প্রাচীন কলোসীয়ম দুষ্ট হইতেছে । ইহা একটি প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত আটালিকাবিশেষ । ভারতের এই প্রাচীন মানমন্দিরটির বিষম আলোচনা করিলে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, তত এক ক্ষণজন্ম মণীষীর রামযথ, দিল্লা-মানমন্দির - উত্তর দিকের গৃহ অদ্ভুত কীর্ঘি এবং ভারতীয় জ্যোতিযালোচনার ধারাবাহিক ইতিহাসে ইহার একটি বিশিষ্ট স্থান ছিল। জ্ঞানপ্রচারের দিক দিয়াও ইহার উপযোগিতা অল্প ছিল না ; কারণ এতগুলি পৰ্য্যবেক্ষণোপযোগী উপযুক্ত যন্ত্র একসঙ্গে কোন বেধালয়ে ছিল কি ন সন্দেহ। মহারাজ জয়সিংহের সময়ে দেশের অবস্থা