জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমের মাত্রী S&ναι দেবনাগরী আর বোমান অক্ষরে নকল করি, আর তার একটা ইংরেঞ্জী অনুবাদও ক'রে ফেলি ; সবটা ভাল হাতে লিখে, তলায় নাম সই ক’রে সঙ্গে ক’রে নিয়ে আসি-“মধাযুগের বৈষ্ণব আচায্যের উক্তিময় শ্লোক—আচাৰ্য্য সিগমুণ্ড, ফ্রয় ড-এর নিকটে ভেট ।” শ্লোকটা পড়লুম, ইংরেজী অতুবাদ বা ব্যাখ্যাটাও শোনালুম— আনন্দ-চিন্ময়-রসাত্মতয় মন:স্ত্র ধ: প্রাণিনাং প্রতিফলন স্মরতামুপেত্য। লীলায়িতেন ভুবননি জয়তাঞ্জগু; গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজমি। SBBBS BBS BBBB BBSBBB BBBB BB SBBB ggg DStS ভাব আশ্রয় পুৰ্ব্বক সমস্ত প্রাশিগণের চিত্তে আপনাকে প্রতিফলিত করিয়া, আপনার এই লীলা-দ্বার অজস্র-ভাবে সমগ্র ভুবন সমূহে বিজয়ী হইয় আছেন, সেই আদি-পুরুষ গোবিন্দকে .মি ভক্তন করি।” শুনে, ফ্র ড়, একটু গম্ভীর ভাবে ব’ল্লেন “হু ।" আমি ব’ল্লুম–“এই ধে স্মরত, তা আদি-পুরুষ গোবিন্দেরই লালা। একথা বলছেন আমাদের দেশের ভক্ত বৈষ্ণব সাধক । আপনি কি বলেন ?--- আপনাকে একটা সোজ। কথা জিজ্ঞাসা করি : জগতের সার বস্তু অক্ষয় বস্তু কি ? সেই সার বস্তুর সঙ্গে, অক্ষয় বস্তুর সঙ্গে মানবজীবনের কি সম্বন্ধ ? আপনার বিচারে কি শেষ সিদ্ধান্ত আপনি ক’রেছেন ?” আমার শুনে ফ্রয় ড্র, লাগলেন ; ব’ল্লেন, “দ্যাথো, আমি যতটা বিচার ক’রে দেখেছি, তাতে কথা হাসতে কোনও অক্ষয় বস্থর সঙ্গে মানুষের জীবনের যোগ আমি পাহ নি। এইখানেই, এই পৃথিবীতে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সমস্ত শেষ।” আমি বললুম, “তা হ’লে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে যখন পঞ্চভূতের বিলয় ঘটে, তখন মানুষের সব-কিছুরও অবসান ঘটে ? নিত্য বস্তু কিছুই কি নেই ? আপনি এই যে সমস্ত শিল্প-সৌন্দর্য্যের মধ্যে ডুবে রয়েছেন- তার থেকে কোনও কিছুর আভাস পান না কি ?” তিনি বললেন--“না ; আমার শক্তির অবসান হয়ে আসছে , আস্তে আস্তে সব শেষ হবে ।”-“তা হ’লে কবরের ওপারে কিছু থাকা সম্ভব মনে করেন না ?”—“না— এইখানেই সব শেষ।” আমি তখন ব’ল্লুম,—“দেখুন, আমর, অর্থাৎ আধুনিক যুগের বেশীর ভাগ শিক্ষিত লোকে, যখন মাথা ঘামিয়ে জীবনের অর্থ বা'র করবার চেষ্টা করি, তখন কিছু হুদিস পাচ না,--ভব-সাগর একেবারে অথষ্ট লাগে, ফুলকিনারাও পাওয়া যায় না ; চিস্তা করতে বসলে, প্রায়ই আমরা অজ্ঞেয়-বাদী হয়ে দাড়াই ; আর যখন আমরা হৃদয় দিয়ে দেখি, অমৃভূতির দিকে ঝুঁকি, তখন নানা রকমের ভাবলহর চিত্তকে মথিত করে, আমরা তখন হই ভাবুক, মরমী, রসিক, বিশ্বাসী। আপনি এদিকে শিল্পরস-রসিক ; ওদিকে আপনি অজ্ঞেয়-বাদী-না নাস্তিক-বাদকেই ধ্রুব সত্য বলে মনে করেন ?” ফ্ৰয়ড ব’ল্লেন–“শিল্প, রস, আনন্দ,—এ সমস্ত দেতকে আশ্রয় করে ; আমার স্থির সিদ্ধান্ত, দেহাস্তে কিছুই থাকে না ।”-“আচ্ছ, যার বড় গলায় বলেন, যে তার পরমবস্তুর বা অক্ষয়-সত্যের সন্ধান পেয়েছেন , আমাদের দেশের ঋষিরা, সাধকেরা,--ধেমন উপনিষদের ঋষিরা, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মতল সাধকের – তারা ব'লেছেন— শুধুস্তু বিশ্বে আমৃত্যু পুত্র; অ, যে ধামালি দিব্যানি তস্থঃ । বেদtহমেতং পুরুষং মহাস্তম্ আদিত্যবর্ণং তমস: পৰ্ব্বগুণ২ - যারা স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন—“আমি দেখেছি, আমি দেখেছি—তাদের কথার মধ্যে এমন একটা নিষ্কপটতা আছে, যা শুনে তাদের বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় , অনেক সময়ে বিশ্বাস ন ক’রে পারা যায় না ; সে সম্বন্ধে আপনি কি বলেন ?” ফয়ড, ব’ল্লেন--”সব পুঠ হৈ ; এ সমস্ত হচ্ছে ভাবপ্রবণ, কল্পনা-সৰ্ব্বস্ব লোকের আত্ম-প্রবঞ্চন মাত্র । তুমি একটু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবে যে এসব কিছু বিশ্বাস ক’রে নেবার মত কথা নয় ।" আমি বললুম - কিন্তু আমি আপনার কথায় নিঃসন্ধেই হতে পারছি না ; আপনি দৃঢ়-মত হয়েছেন, কিছুই নেই, অথচ আপনি শিল্পের মধ্যে আনন্দ পাচ্ছেন,—আর a great peace, একটা বিরাট শাস্তি-ভাব আপনার মনে এসেছে বলে মনে হয়—আপনি আপনার অজ্ঞাতসারে যেন একজন mystic হ’য়েই আছেন –আচ্ছ, আইনষ্টাইন এ সম্বন্ধে যে মত পোষণ করেন তা জানেন ? আমার মনে হয় আইনষ্টাইনও এক জন lnyshie " ",
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।