পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఎb~ সেই শি-তেনে দেবের আট সন্তানের একটিকে গোপনে সরিয়ে ফেলেছি। সেই শিশুকে তোমার প্রভুর বংশধর হতে পাঠাবো!” এই কথা বলিয়। ঠাকুর মন্দিরের গর্ভগৃহে অস্তহিত হইলেন। তখন ইকেনোসোজি তার বাস্তব স্বপ্নভঙ্গে ঠাকুরের সম্মুখে সাষ্টাঙ্গে নয় বার প্রণত হইয়া প্রভূর গৃহাভিমুখে দ্রুতগতি যাত্রা করিল। অনতিকাল পরে তাকাকুরা-পত্নীর হইল গর্ভসঞ্চার । আশা আনন্দে দশ মাস কাটাইয়া বিনা যন্ত্রণায় তিনি এক পুত্র প্রসব করিলেন । সকলে আশ্চৰ্য্য হইয়া লক্ষ্য করিল শিশুর ললাটে স্বাভাবিকভাবে ‘অশ্ল'-বোধক চীনা হরফটি অঙ্কিত ! আরও আশ্চৰ্য্য, তার চোখের মধ্যে চতুবুদ্ধের প্রতিবিম্ব ! ইকেনোসোজি ও শিশুর পিতামাতার তানন্দের আর অবধি নাই। জন্মের পর তৃতীয় দিনে শিশুর নামকরণ হইল আরি-ওয়াক আরি-আরি পাহাড়ের নামের অনুকরণে ।

শিশু দ্রুত বাড়িতে লাগিল । বয়স যখন হুইল পনর তখন সম্রাট তাহাকে ‘ওগুরি-হাঙ্গওয়াম কামেউজি এই নাম ও উপাধি দান করিলেন। যথাকলে যৌবনে পদার্পণ করিলে পিতা মনস্থ করিলেন পুত্রের বিবাহ দিবেন। রাজসচিব ও সন্ধান্ত পরিবারের অনেক কন্য দেখিলেন বটে, কিন্তু কাহাকেও কৰ্ত্তার পছন্দ হইল না। ওদিকে যুবক হাঙ্গওয়ান যখন জানিতে পারিলেন ধে তামোন-ভেন ঠাকুরের রুপায় পিতামাতা তাঙ্গকে লাভ করিয়াছেন, তখন তিনিও সঙ্কল্প করিলেন, সেই ঠাকুরের কাছেই পত্নী ভিক্ষা করিবেন। এইরূপ মনস্থ করিয়া ইকেনোসোজিকে সঙ্গে লইয়া তিনি দ্রুতগতি দেবমন্দিরে যাত্র করিলেন। সেখানে পৌছিয়া শুচিশুদ্ধ হইয় পূজর্চনায় তিন রাত্রি অনিদ্রায় অতিবাহিত করিলেন । ক্রমে নিঃসঙ্গতা পীড়াদায়ক হইয়া উঠিল, ওমরাত-পুত্র কি আর করেন, সময় কাটাইবার জন্য বঁশের বঁশিতে ফু দিলেন । প্রবণসী ゞジ8い○ সেই মন্দিরের সরোবরে বাস করিত এক অজগরবাঁশির মধুর মরে মুগ্ধ হইয়। সে মন্দিরের দ্বারে আসিমু; দাড়াইল রাজসভার রূপসী পরিচারিকার রূপ ধরিয়া। সে তন্ময় হইয়' বঁাশি শুনিতে লাগিল । তাহাকে দেখিয়া যুবক কানেউজির মনে হইল তাহারই জন্ত তিনি এত দূরে আসিয়াছিলেন-ঠাকুর তাহার প্রার্থন শুনিয়া সেই কন্যাকেই তাহার বধুরূপে মনোনীত করিয়াছেন! সুতরাং সুন্দরীকে পাঙ্গীতে চাপাইয়া তিনি যথাকলে গুহপ্রত্যাবর্তন করিলেন। উক্ত ঘটনার অব্যবহিত পরেই রাজধানীতে উঠিল প্রচণ্ড ঝড়, তার পশ্চাতে আসিল প্রবল বন্যা । সাত দিম সাত রাত তার অবসান হুঙ্কল না । এইসব অশুভ লক্ষণ দেখিয়া সম্রাট বিষম উদ্বিগ্ন হইলেন ; জ্যোতিষীর তলব হইল দুর্য্যোগের কারণ নিৰ্দ্ধারণের জন্ত । পত্নীহাৱা অজগরের ক্রোধের ফলেই দুযোগের উৎপত্তি —অজগর প্রতিশোধ চাহে –কানেউজি যে-রূপসাকে সঙ্গে আনিয়াছে সে-ই সপিণী, সে মানবী নয় । ইহাং জ্যোতিশীল সিদ্ধান্ত । শুনিয়া হিতাচি-প্রদেশে সপিনাকে তার সলিল-নিবাসে প্রতাপণ করে; ! রাজাদেশে দেশত্যাগে বাধ্য হঠয়া কাnেউজি ততাচিপ্রদেশে যাত্রা করিল, রহিল বিশ্বস্ত আল্পচর হকেনোসোজি । সমাট বলিলেন, ব:ট ? তবে কামেউজিবে নিৰ্ব্বাসিত করে। আর মানবীর রূপে সঙ্গে vo কানেডজির নির্বাসনের অল্পকাল পরেই এক সওদাগর তার পণ্যসম্ভার লইয়া হিতাচিতে নিৰ্ব্বাসিত ওমরাহ-পুত্রের ভবনে আসিয়া উপস্থিত। হাঙ্গণ্ডয়ানের প্রশ্নের উত্তরে সে কহিল— “আমার নিবাস বিওতো শহরে মুরোমাচি নামক রাস্তায় । আমার নাম গোতে! সায়েমেনি। আমার গুদামে আচে এক হাজার আটরকম মাল যা পাঠাই চীনদেশে ; এক হাজার আটরকম মাল যা পাঠাই ভারতবর্ষে ; আরও এক হাজার আটরকম মাল আছে যা কেবল জাপানে বিক্রি করি। তবেই