পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

CङTछे ওগুরি-হাঙ্গওয়ান S్చనపా দেখুন আমার গুদামে আছে মোটমাট তিন হাজার চব্বিশ রকম মাল ! কোথায় কোথায় গিয়েছি যদি জিজ্ঞাস করেন ত বলতে পারি যে আমি এ পর্য্যস্ত তিন বার গিয়েছি ভারতবর্ষে, তিনবার গিয়েছি চীনদেশে আর জাপানের এদিকে আসছি এই সপ্তমবার !” সমস্ত শুনিয়া হাঙ্গওয়ান সওদাগরকে প্রশ্ন করেন—“তুমি ত অনেক ঘুরেছ, বহু দেশ দেখেছ, আমার পত্নী হবার যোগ্য কোনো যুবতী কন্যার সন্ধান রাখো ?” সায়েমোন বলিল—“আমাদের পশ্চিমে সাগামী-প্রদেশ । সেখানে এক ধনী বাস করেন, তার নাম য়োকোয়াম চোজী— তার আট ছেলে । মেয়ে না থাকায় অনেকদিন ছিল তার দুঃখ, একটি কন্যালাভের জন্য আদিত্যদেবের কাছে বহুকাল তিনি মানত করেন। তার ফলে একটি মেয়ে দেবতার রুপায় তিনি লাভ করলেন । মেয়েটির জন্মের পর পিতামাতার মনে হ’ল তাকে নিজেদের চেয়ে উচ্চ মধ্যাদা দেওয়া উচিত, কারণ তার জন্ম আদিত্যদেবের অনুগ্রহে ; তাই তার মেয়ের জন্তে তৈরি করিয়ে দিলেন পৃথক বাসভবন । যথার্থক্ট, মেসেটির সঙ্গে অন্যান্য জাপানী স্ত্রীলোকের তুলনা চলে না । তিনি সৰ্ব্বাংশে আপনার উপযুক্ত, আর কোনে মেয়ের কথা ত আমার মনে পড়ে না ।” বিবরণ শুনিয়া কানেউজি আনন্দিত মনে সায়েমোনকে তার বিবাহের ঘটকালি করিতে অকুরোধ করিলেন । সায়েমোন যথাসাধ্য চেষ্টা করিবে বলিয়া প্রতিশ্রুতি দিল । তথন কনেউজি কালি-ঘষা পাথর ও লেখার তুলি চাহিলেন, তার পর একখানি প্রণয়লিপি রচনা করিয়ু তাহ প্রেম-পত্রের মত ভাজ করিয়া দিলেন । লিপিখানি মহিলাটির হাতে দিবার জন্য সওদাগরকে অকুরোধ করিয়া পারিশ্রমিক হিসাবে তাহাকে দিলেন এক-শ সোনার মোহর । বিস্মিত ও আনন্দিত সায়েমোন বার বার আভুমি প্রণত হইয়। ধন্যবাদ জানাইল । তার পর চিঠিখানি বাক্সের মধ্যে রাখিয়া পিঠের উপর বাষ্ম তুলিয়া লইয়া ওমরাহ-নন্দনের কাছে বিদায় লইল । হিতাচি হইতে সাগামী সাত দিনের পথ, কিন্তু সওদাগর দনরাত অবিরাম চলিয়া তৃতীয় দিন দুপুরে সেখানে পৌছিল। তার পর সে গেল সেই ভবনে যার নাম ইকুই-নো-গোণ্ডে । ধনী য়োকোয়াম সেই ভবন তার আদরিণী কন্য। তেরীতেহিমের জন্য তৈরি করান সাগামী প্রদেশের সোব জেলায় । ভবনে প্রবেশের অমুমতি সে চাহিল । প্রহরীদল ভারি কড়া, তারা তাহাকে ইকাইয়ু দিল । কহিল, প্রসিদ্ধ চোজা য়োকোয়ামার কন্যা তেরুতে-হিমের সেই ভবন—পুরুষজাতীয় কোনো ব্যক্তির প্রবেশ সেখানে নিষিদ্ধ ? অারও জানাইল, প্রাসাদ রক্ষার স্থব্যবস্থা আছে— দিনে দশ জন রাতে দশ জন প্রহরী, এবং তাহারা সতর্কতা ও কঠোরতার জন্য প্রখ্যাত । কিন্তু সওদাগর দমিবার পাত্র নহে। সে কহিল, তার নাম গোতে সায়েমোন, নিবাস কিওতে। শহরের মুরোমাচি রাস্তায় ; সেখানকার সে একজন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী, লোকে তাহাকে সেন্দান্য বলিয়া ডাকে ; সে করিয়াছে তিন বার ভারত ভ্রমণ, তিনবার চীন ভ্রমণ, আর আপাতত ‘উদীয়মান স্থধ্যের দেশে এই তার সপ্তম পরিক্রম ! সে আরও বলিল—“এই প্রাসাদ ছাড়া নিহোনের ( জাপানের ) আর সমস্ত প্রসাদেক আমার গতিবিধি অবাধ ; এথানেও তোমরা আমাকে প্রবেশের অনুমতি দিলে বিশেষ বাধিত হব !” অত:পর সে থান থান রকমারি রঙীন রেশম বাহির করিয়া প্রহরীদের হাতে তুলিয়া দিল । এইরূপে লোভান্ধ প্রহরীদের আপত্তি খণ্ডন করিয়া সওদাগর সানন্দে প্রাসাদে প্রবেশ করিল । বাহিরের বিশাল তোরণ অতিক্রম করিয়া একটি পুল পার হইয়া সে গিয়া পৌছিল সখীমহলে। সমুচ্চ কণ্ঠে সে ভাকিয় বলিল—“আমুন মহিলার! আমুন, আপনার যা চান তাই পাবেন আমার কাছে ! হরেক রকমের জিনিষ —চিরুণী আছে, ছুচি আছে, সন্না আছে ! তাতেগামি পাবেন, ক্লপোর চিরুণী পাবেন, নাগাসাকির কামোজি পাবেন, আর পাবেন রকমারি চীনা আয়না ।” শুনিয়া মেয়ের বিবিধ সৌধীন জিনিষ দেখার আগ্রহে ও আনন্দে সওদাগরকে কক্ষমধ্যে আহবান করিল । দেখিতে দেখিতে ঘরখানি নারীপ্রসাধনসম্ভার-বিপণিতে পরিণত হইল । দরদস্তুর ও বিক্রির কথা অতি দ্রুত চলিতেছে, সায়েমোন