পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S.co প্রবাসী >\こBいご সেই স্বযোগে বাক্স থেকে প্রেমপত্ৰখানি বাহির করিয়া মহিলাদের উদ্দেশে বলিল— “এই চিঠিখনি, যতদূর মনে পড়ে, হিতাচির কোনো নগরে আমি কুডিয়ে পাই, এথানি গ্রহণ করলে বড়ষ্ট আনন্দিত হব। লেখা যদি সুন্দর হয়, আদর্শরূপে ব্যবহার করতে পারেন ; বিশ্ৰী হ’লে বিন্দ্রপ করবেন।” তখন প্রধান সখী চিঠিখানি লইয়া থামের উপরের লেখা পড়ার চেষ্টা করিতে লাগিল—“ৎসুকি নি হোশি-আমে নি আরারে গা—কোরি কানা,”— যার অর্থ—“শশী ও তারা—বুষ্টি ও শিলা— বরফ করে !” কিন্তু সে এই রহস্যময় কথাগুলির হেঁয়ালি উদ্ধার করিতে পারিল না। অপর মহিলারাও কথার অর্থ অনুমান করিতে অক্ষম হইয়া হাসিতে সুরু করিল। তীব্র হাসির শব্দ শুনিয়! ওমরাহ-নন্দিনী সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । তিনি সুসজ্জিত। কিন্তু তার রালির মত কালো চুল গুণ্ঠনাবুত । তেকতে শুধাইলেন—“এত হাসি কেন ? কি এমন মজার কথা ? আমাকে বলবে না ?” সর্থীরা কহিল—“আমরা হাসছিলুম একথান চিঠি পড়তে না পেরে । রাজধানী থেকে এই সদাগর এসেছে, বলে কি না চিঠিথানা পথে কুড়িয়ে পেয়েছে !" বলিয়া চিঠিথানি লাল টকটকে একখানি খোলা পাথার উপর রাথিয়া যথারীতি ওমরাহ-মন্দিনীর দিকে আগাইয়া দিল । সেখানি লইয়া লেখার সৌন্দয্যের তারিফ করিয়া তিনি বলিলেন-- “কী সুন্দর । এমন খাস লেখা কখনো দেখি নি ! ঠিক যেন কোবোদাইশির বা মোঞ্জ বোসাংস্কর লেখা ! হয়ত লেখক ইচিজে, নিজে বা সানজে পরিবারের কোনো ওমরাহ-পুত্ৰ— র্তারা সকলেই ওস্তাদ লিপিকার । কিম্ব, যদি আমার এই অনুমান ভ্রান্ত হয়, তাহলে আমার বিশ্বাস এই শব্দগুলি নিশ্চয়ই লিখেছেন ওগুরি-হাঙ্গওয়ান কানেউজি—যিনি হিতাচি-প্রদেশে এখন স্বনামধন্য। --চিঠিখান তোমাদের পড়ে শোনাই!” খামখানি খোলা হইল। প্রথম বাক্যাংশ তিনি পড়িলেন ফুজি নে য়্যামা ( ফুজি পৰ্ব্বত ).তিনি অর্থ করিলেন--উল্লাহ পদমর্য্যাদা বুঝায়। তারপর তিনি বাক্যাংশগুলি পড়িতে লাগিলেন--- কিয়োমিদূজু কোসাক ( জায়গার নাম ) ; আরারে নি ওজাসা ( বঁাশপাতার উপর শিলাবৃষ্টি ) ; ইতায় নি আরারে (কাঠের ছাতের উপর শিলাবর্ষণ ) ; তামোতে নি কোরি (অস্তিনের মধ্যে বরফ ) ; নোনাক নি শিমিদূজু ( প্রাস্তরের মাঝে প্রবাহিত নিৰ্ম্মল জলধারা) কোইকে নি মাকোমো ( ছোট পুকুরে উলুথড় ) ; ইনোবা নি ৎস্বয়ু ( তারে গাছের পাতায় শিশির ) ; শকুনাগ ওবি ( অতি দীর্ঘ কটিবন্ধ ) : শিকা নি মোমিজি ( মৃগ ও মেপল’-গাছ ) ; ফুতামাতা-গাওয়া ( আঁকাবঁকা নদী ) ; গোসে। তামিগাওয়ানি মারুকিবাশি ( গোলাকার কাঠের কুঁদে ছোট স্রোতস্বতীর উপর পুলের মত স্থাপিত ) ; বস্তরনাশি য়ুমি নি হান্তকে দেরি ( জ্যাহীন ধর্ম ও পক্ষহীন পার্থী ) ! তখন তিনি শব্দগুলির তাৎপৰ্য্য বুঝিলেন— ‘মাইরেবা আউ–তাহদের দেখা হইবে, কারণ সে গর কাছে আসিবে । ‘আয়ারে নাই” –তথম আর তাঙ্গাদের বিচ্ছেদ হইবে না ! কেরোধি আউ--তাঙ্গর একত্রে শয়ন করিবে ! অবশিষ্ট অংশের অর্থ এইরূপ-- “এই পত্র অস্তিনের মধ্যে থেলা দরকার, যাহাতে আপরে ইহার সম্বন্ধে কিছুই না জানিতে পারে । নিজের বুকের মধ্যে গুপ্ত কথা রাখিয় দিয়ে ! “বাতাসের মুখে উলুঘাস যেমন ণত হয় তোমাকেও আমার কাছে তেমনি হইতে ইষ্টবে ! সকল বিষয়ে আমি তোমার সেবা করিতে স্তিরসঙ্কল্প । “যে-কোনে কারণে সুরুতে আমাদের মধ্যে ব্যবধান থাকিলেও শেষ পর্য্যস্ত আমরা মিলিত হইবই ! আমি তোমাকে কামনা করি শরতে হরিণ যেরূপে হরিণীকে কামনা করে ! “দীর্ঘকাল দূরে দূরে থাকিলেও আমরা মিলিত হইব, যেমন করিয়া নদীর দুই-শথিায় বিভক্ত জলধারা অস্তে মিলিত হয় !