পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

오이 কোহাগী তখন কালির শিলা ও লেখার তুলি সংগ্ৰহ করিতে গেলেন । অনতিকাল পরে গাকি-আমি'র বুকে ঝোলানো কাষ্ঠফলকে যে লেখা ছিল তার তলায় তিনি লিখিলেন— “পুনর্জীবন লাভ করে যখন স্বদেশে ফিরতে পারবেন, তখন দয়া করে’ একবার হিতাচির কোহাগীর সঙ্গে দেখা করবেন কি ? কোহাগী মিনে-প্রদেশের ওবাকানগরের য়োরোদজুয়া চোবেই নামক ব্যক্তির পরিচারিকা! যার জন্তে আমি বহুকষ্টে পাঁচ দিনের মুক্তি ভিক্ষা করে নিই এবং সেই পাঁচ দিনের মধ্যে তিন দিনে যার গাড়ী এখানে টেনে আনি, আবার তার দর্শন পেলে খুব আনন্দিত হব।” পরে গাকি-আমিকে বিদায়-সম্ভাষণ করিয়া তিনি দ্রুতগতি গৃহাভিমুখে ধাবিত হইলেন, যদিও গাড়ীখন নিঃসঙ্গ ফেলিয়৷ যাইতে তার বড়ই ক্লেশ বোধ হইয়াছিল। o অবশেষে, কুমানো-গোঙ্গেন নামক প্রখ্যাত মন্দিরের উষ্ণ-প্রস্রবণে একদিন ‘গাকি-আমি আনীত ইষ্টল এবং তাহার দুরবস্থায় যারা অনুকম্প বোধ করিতেন তাদের অনুগ্রহে সেই উষ্ণ-প্রস্রবণে তাহার স্বানের ব্যবস্থা হইল । মাত্র এক সপ্তাহ পরে, মানের ফলে নাক, চোখ, কান, এবং মুখ দেখা দিল ; দুই সপ্তাহ পরে সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সম্পূর্ণভাবে আবার গড়িয়া উঠিল; তারপর একুশ দিন পরে সেঙ্গ অনাম জড়পিণ্ড আসল ওগুরি-হাঙ্গওয়ান কনেউজির পূর্ণ রূপ পরিগ্রহ করিল-অতীতে তিনি যেমন নিখুত সুন্দর ছিলেন ঠিক তেমনি । এই আশ্চৰ্য্য পরিবর্তন ঘটার পর কানেউজি চারদিকে চাহিয়া চাহিয়া কথন ও কিরূপে সেই অচেনা স্থানে আসিয়া পৌছিলেন সে-কথা স্মরণ করার বৃথা চেষ্টা করিতে লাগিলেন । যাই হোক, শেষ পর্যাপ্ত কুমানের ঠাকুরের কৃপায় পুনজীবিত কুমার নিরাপদে কিওতোর নিজে অঞ্চলে পিতৃভবনে ফিরিলেন। র্তাহাকে পাইয়া পিতামাতার আনন্দের অবধি রহিল না । ওদিকে মহামহিম সম্রাট, সমস্ত শুনিয়, তাহারই একজন ත. প্রবাসী SN○8N○ প্রজা তিন বৎসর পূৰ্ব্বে মরিয়া পুনর্জীবন লাভ করিয়াছে ভাবিয়া চমৎকৃত হইলেন। যে-অপরাধের জন্য হাঙ্গওয়ান নিৰ্ব্বাসিত হইয়াছিলেন শুধু তাঁহাই যে তিনি সাননে মার্জন করিলেন তা নয়, অধিকন্তু তিনি তাহাকে হিতাচি, সাগামী এবং মিনে এই তিন প্রদেশের শাসক ও সামস্তরাজ পদে অধিষ্ঠিত করিলেন। XX একদিন ওগুরি-ইঙ্গিওয়াম রাজ্য পরিদর্শনে বাহির হইলেন । মিনে প্রদেশে পৌছিয়া তিনি হিতাfচর কোহাগীর সঙ্গে দেখা করার সঙ্কল্প করিলেন । উদ্দেশু, তাহার অতুলনীয় দয়ার জন্য নিজমুখে ধন্যবাদ জানাইবেন । য়োরোদজুয়-ভবনে তাহার বাসস্থান নির্দিষ্ট হইয়াছে । ভবনের সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট অতিথি-কক্ষে তিনি নীত হইলেন । সে-কক্ষ সোনার পূর্দায়, চীন কাপেটে ও অন্যান্য বহুমূল্য দুষ্প্রাপ্য আসবাবে সজ্জিত । সামন্তরাঞ্জ হিতাচির আদেশ দিলেন । সকলের লাগিল, সে একজন সামাণ্য দ{সা , এমন অপরিচ্ছন্ন যে তার সম্মুখে আসার উপযুক্ত নহে । সামগুরজ সে কথায় কর্ণপাত করিলেন না । পুনরায় আদেশ করিলেন এখনি তাহাকে আসিতে হইবে, ধে-অবস্থায় থাকুক না কেন ! সুতরাং, অনিচ্ছাসত্ত্বেও,কোহাগী রাজসকাশে আসিতে বাধ্য হইলেন । জালির মাঝ দিয়া রাজার উপর দৃষ্টি পড়িতেই তিনি চমকিয়া উঠিলেন। রাজার সঙ্গে হাঙ্গওয়ানের কী আশ্চৰ্য্য সাদৃশু! ওগুরি তখন তার যথার্থ নাম জিজ্ঞাসা করিলেন । কিন্তু কোহাগী রাজি হইলেন না । বলিলেন—“আমার যথার্থ নাম না বললে যদি আপনাকে স্বর পরিবেশন করতে না পারি, তাহলে এখান থেকে বিদায় হওয়া ছাড়া তামার উপায় নাই ।” গমনোদ্যত হইলে হাঙ্গওয়ান তীহাকে ডাকিয়া বলিলেন— “ণ, ন, যেয়ে না, একটু থাম ! তোমার নাম জিজ্ঞাসা করার বিশেষ কারণ আছে—গত বছর তুমি দয়া করে যাকে গাড়িতে ওৎস্ব পর্য্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিলে, যথার্থ আমিই সেই ‘গাকি-আমি' । এই বলিয়া কোহাগীর লিখিত কাঠের ফলকখানি তিনি বাহির করিলেন । কোহীগাঁকে আহবান করার চক্ষুস্থির । তাহার বলিতে