পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δεπτό ওগুরি-হাঙ্গওয়ান ఇరిక তখন কোহাগী অত্যন্ত বিচলিত হইলেন। বলিলেন— “আপনাকে পুনর্জীবিত দেখে বড়ই আনন্দিত হলুম। এখন আমার সমস্ত কাহিনী সানন্দে বলবো। কিন্তু আমার এই আশা প্রভু, যেখান থেকে আপনি ফিরেছেন, প্রেতলোকের কথা কিছু আমাকে বলবেন, কারণ সেখানেই আমার পতি এখন বাস করছেন। আমি জন্মাই ( পূৰ্ব্ব কথা বলতে বুক ফেটে যায় । ) যেকোয়াম-চোজীর একমাত্র কন্যা হয়ে । তিনি সাগামা-প্রদেশ সোব-জেলায় বাস করতেন । আমার নাম ছিল তেরীতে-হিমে ! বেশ মনে পড়ে, তিন বছর আগে আমার বিবাহ হয় এক প্রসিদ্ধ ও সম্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে । তার নাম ছিল ওগুরিহাঙ্গওয়ান কামেউজি, তিনি বাস করতেন হি৩াচি-প্রদেশে । কিন্তু আমার পতিকে, আমার পিতা তার তৃতীয় পুত্ৰ সাবুরোর প্ররোচনায় বিযপ্রয়োগে হত্য করেন । তিনি আমাকেও সাগামী-সমুদ্রে ডুবিয়ে মারার আদেশ দেন । আমি যে এথনে সশরীরে বর্তমান, তা কেবল পিতার বিশ্বস্ত তৃত্যদ্বয় ওলিয়ে ও ওনিজির দয়ায় ।” সকলে চমৎকৃত হইয়া দেখিল সামস্থরাজ আসল ছাড়িয়া সেই অপরিচ্ছন্ন দাসীর সন্মুখে গিয় দাড়াইলেন। তিনি বলিতে লাগিলেন— “তোমার সামনে এখানে থাকে দেখছ, তেরীতে, সে তোমারই পতি কানেউজি ! আমার অতুচরদের সঙ্গে নিহত হ’লেও ইহজগতে আরও অনেক বছর আমার পরমায়ু । ফুজিসাওয়া-মন্দিরের শাস্ত্রজ্ঞ পুরোহিতের কপায়ু আমি রক্ষা পাই । তিনি একথানি টানাগড়ীতে আমায় বসিয়ে দেন, অনেক সহৃদয় ব্যক্তি আমাকে কুমানোর উষ্ণ-প্রস্রবণ পৰ্য্যন্ত টেনে নিয়ে যান। সেখানে আমি পূৰ্ব্বেকার স্বাস্থ্য ও আকৃতি ফিরে পাই । এখন আমি তিনটি প্রদেশের সমস্তরাজ ও শাসকের পদে অধিষ্ঠিত, এখন আমার অপ্রাপ্য কিছু নেই ।” তেক্লতে ভাবিতেছিলেন, এ কি সত্য না স্বপ্ন ! আনন্দের আতিশয্যে তিনি কঁাদিয়া ফেলিলেন। ক্ষণকাল পরে তিনি বলিলেন—“তোমাকে শেষ দেখার পর কত কষ্টই না সহ করেছি। সাত দিম সাত রাত একথানা ডিঙির মধ্যে সমুদ্রে হাবুডুবু খেয়েছি, তার পর নাওয়ে-উপসাগরে বিষম বিপদে সেই পড়ি, মুরাকামি-দায়ু নামে এক সহৃদয় ব্যক্তি আমায় রক্ষা করেন। তার পর পচাত্তর বার আমি বিক্রীত ও ক্রীত হই ; শেষবার আমাকে এখানে নিয়ে আসে। গণিকাবৃত্তি গ্রহণ করতে অস্বীকার করি বলে আমাকে সকল রকমের কষ্ট সহ করতে হয় ! তাই আমার এমন দুর্দশ !” অমানুষ চোবেইয়ের নিষ্ঠুর আচরণের কথা শুনিয়া কাণেউজি বিষম ক্রোধে তাহাকে তদণ্ডে নিধন করিতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন । কিন্তু তেক্লতে পতির কাছে লোকটার প্রাণ ভিক্ষা করিয়া লইয়া চোবেইয়ের কাছে বহুদিন আগে যে প্রতিশ্রুতি করিয়াছিলেন তাহ রক্ষণ করিলেন । প্রাণরক্ষা হওয়ায় চোবেই যে কৃতজ্ঞ হইল সেকথা বলাই বাহুল্য । ক্ষতিপূরণ স্বরূপ সে হাঙ্গওয়ানকে তার অশ্বশালার শত অশ্ব উপহার দিল আর তেরুতেকে দিল তার সংসারের ৮fলশ জন তৃত্যকে । অতঃপর তেক্লতে-হিমে রাজরাণীর মত বসনে ভূষণে সজ্জিত হইয়া আনন্দপূর্ণ হৃদয়ে সামস্তরাজ কনেউজির সঙ্গে সাগামী অভিমুখে যাত্র মুরু করিলেন ।

সাগামী-প্রদেশে এই সেই সেবা জেলা -- -তেকুতের জন্মভূমি। এই স্থানের সঙ্গে তাদের জীবনের কত তিক্তমধুর স্মৃতি জড়িত । আর এখানেই বাস করে য়োকোয়ামা ও তার পুত্র, ধে বিষপ্রয়োগে কুমার ওগুরিকে হত্যা করিয়াছিল। য়োকোয়ামার সেই তৃতীয় পুত্র সবুরোকে তোত্মক-নোহার নামক প্রাস্তরে প্রাণ দিতে হইল । কিন্তু য়োকোয়ামা-চোজ। অপরাধী হইলেও নিযুতি পাইল । কারণ পিতামাত, হাজার মন্দ হউক, সস্তানের কাছে সৰ্ব্বদাই *যjচন্দ্রের মতন ! এই সদয় আদেশ শুনিয়া য়োকোয়াম তার কুতকম্মের জন্য আস্তরিক অতুতপ্ত হইল । দুই ভাই, ওনিয়ে এবং ৪নিজি, সাগামী-সমুদ্রের উপকূলে তেরুতের প্রাণ রক্ষণ করার জন্য প্রভূত পুরস্কার পাইল । এইরূপে সাধুর হইল উন্নতি এবং অসাধুর হইল পতন ! প্রসন্নভাগ্য ওগুরি-সামী ও তেরুতে-হিমে একত্রে মিয়াকোতে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন এবং তাদের মিলন হুইল বসন্তের পুষ্পবিকাশের মত অপরূপ স্বন্দর!