পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

を N&む প্রবাসী SN98Nరి কুষাণ ও গুপ্তযুগের বহু মুদ্রা, মৃন্ময় মূৰ্বি, ও খোদিত প্রস্তরখণ্ড প্রভৃতি এলাহাবাদ মিউনিসিপাল মিউজিয়মে সযত্বে রক্ষিত আছে। কৌশাম্বী দেখিতে যাইবার পূৰ্ব্বে এলাহাবাদ মিউজিয়মে সে সকল দেখিয় যাওয়া যুক্তিযুক্ত। এলাহাবাদ হইতে কৌশাম্বীর ধ্বংসাবশেষ পৰ্য্যস্ত সুন্দর পাক পথ আছে । মোটর গাড়ীতে দুই ঘণ্টার মধ্যেই পৌছান যায়। কেবল মাঝে পাঁচ-ছয় মাইল পথ বাকী ও বন্ধুর। শ্রাবস্তী ভগবান বুদ্ধের জীবনকালে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসমূহের কোশলরাজ্য সৰ্ব্বাপেক্ষা বৃহৎ ও পরাক্রমশালী ছিল । শ্রাবস্তী কোশলরাজ্যের রাজধানী ছিল । কোশলরাজ প্রসেনজিৎ ভগবান বুদ্ধকে অত্যন্ত ভক্তি করিতেন । মধ্যে শ্রাবস্তী ধ্বংসস্তুপের দৃষ্ঠ রাজন্যবর্গের মধ্যে প্রসেনজিং বুদ্ধদেবের সর্বাপেক্ষ প্রিয় শিষ্য ছিলেন। ভগবান বুদ্ধ বহুবার শ্রাবস্তীতে আসিয়া “বর্ষাবাস করিয়াছেন। অনাথপিণ্ডিক নামে শ্রাবস্তীর জনৈক ধৰ্ম্মপ্রাণ শ্রেষ্ঠ নগরপ্রাস্তে এক বৃহৎ বিহার ও আরাম নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন । যে বনভূমির উপর উহ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল তাহ রাজা প্রসেনজিতের কনিষ্ঠ পুত্র ‘জেত’-এর অধিকারে ছিল । তিনি তাহ বিহার-নিৰ্ম্মাণের জন্য দান করেন । এই জন্য বিহারের নাম হইয়াছে 'জেভবন-বিহার’ । ভিক্ষুদের বাসের জন্য যে আরাম নিৰ্ম্মিত হয় তাহার নাম রাখা হইল অনাথপিণ্ডিকারাম’। কথিত আছে, বিনয়পিটকের অধিকাংশ স্বত্র ভগবান বুদ্ধ এই জেতবন-বিহারে অবস্থানকালে আদেশ করিয়াছিলেন । আজকাল শ্রাবস্তীর ধ্বংসাবশেষ যুক্তপ্রদেশে গোণ্ডা ও বাহরাইচ জেলার প্রাস্তে জবস্থিত সাহেৎ-মাহেত নামক স্থান বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে। সাহেৎ-মাহেতের কিছু কিছু অংশ দুই জেলাতেই পড়িয়ছে। সেখানে প্রাচীন নগরীর বহু ধ্বংসস্তূপ দেখিতে পাওয়া যায়। বহু ইষ্টক ও প্রস্তরমূর্তি এখনও পড়িয়া আছে। ১৯০৭ সালে ভারত-সরকারের প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগ সাহেৎ-মাহেতে কিছু খননকাৰ্য্যও আরম্ভ করিয়াছিলেন । দুই বৎসর কার্য্যের পর তাহ বন্ধ হইয়া যায়। খননকালে দুইটি খোদিত লিপি পাওয়৷ গিয়াছে যঞ্জর সাহেৎ-মাহতের ধ্বংসস্তুপ প্রাচীন শ্রাবস্তী বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে ( J. R. A S., 1947 ) । ইহার পূৰ্ব্বে কানিংহাম সাহেৎ-মাহেৎই প্রাচীন শ্রাবস্তী বলিয়৷ অনুমান করিয়া গিয়াছিলেন, কিন্তু কোন অকাট্য প্রমাণ দিতে পারেন নাই। তহ উল্লেখযোগ্য যে পণ্ডিতপ্রবর কানিংহাম হিউয়েনসাঙের ভ্রমণবৃত্তাস্তকে ভিত্তি করিয়া কেবল ভৌগোলিক প্রমাণ, প্রাচীন প্রবাদ ও পালি এবং সংস্কৃত গ্রন্থে উল্লিখিত প্রমাণের সামঞ্জস্য করিয়া যে-সব প্রাচীন নগরের স্থান নির্দিষ্ট করিয়া গিয়াছেন, আজকাল প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগের খননকার্য্যের ফলে শিলালেখ বা তা - শাসনের দ্বারা তাহ অকাট্যভাবে প্রমাণিত হইতেছে । মহাবোধি সোসাইটির রুপায় শ্রাবস্তীর লুপ গৌরবের কিছু কিছু পুনরুদ্ধার হইয়াছে। জেতবন-বিহার কিছুকাল হইল পুননিৰ্ম্মিত হইয়াছে। সেখানে এক জন বৌদ্ধ ভিক্ষু ও জন-কয়েক শ্রমণ বাস করেন । বি. এন. ডব্লু রেল লাইনে বলরামপুর পর্য্যস্ত গিয়া তথা হইতে মোটরবাসে অতি সহজেই সাহেৎ-মাহেতে যাওয়া যায়। ফৈজাবাদের রাস্তায় অযোধ্যাতে সরযু পার হইয়৷ গোগু হইতেও সাহেৎ-মাহেৎ ধাওয়া যায় | সাকেত সাকেত কোশলরাজ প্রসেনজিতের দ্বিতীয় রাজধানী ছিল । পালিগ্রন্থে পাওয়া যায় প্রসেনজিৎ শ্রাবস্তী হইতে সাকেতে প্রায়ই যাওয়া-আসা করিতেন এবং ইহাকে তাহার দ্বিতীয় রাজধানী রূপে ব্যবহার করিতেন । কোন কোন পণ্ডিতের মতে সাকেত রাজা দশরথের রাজধানী অযোধ্যার পরবর্তী