टंङTछे "একবার ভাবলুম আমাদেরই সন্দেহ করছে বুঝি। তার পরে দেখলুম না, তা নয় । হিন্দুদের ওসব সন্দেহ তার বড় একটা করে না। বলছিল তোমাদের মত সকালসকাল বিয়ে হয়ে যাওয়াই ভাল। ওতে অস্তত: সামাজিক দুনীতি অতটা প্রশ্রয় পায় না ।” “উঃ কি দুঃসাহস তোমার ! যদি ধরা পড়তে ? কি ভয়ানক উদ্বেগের মধ্যেই না তোমাকে দিন কাটাতে হয়েছে ।” “হ্যা, উদ্বেগ ছিল বটে, তবে ধরা পড়ার নয় । ডাক্তার আপনার প্রাণের আশঙ্কা করছিল।” ব'লে সে চুপ করে তার দৃষ্টিকে ফিরিয়ে অতীতের স্মৃতির মধ্যে নিয়ে গেল এবং গভীর কৃতজ্ঞতায় শচীন্দ্রনাথ নিঃশব্দে পাৰ্ব্বতীর একটা হাত নিজের দুটো হাতের মধ্যে সমেহে তুলে নিলে। এই সমাদরটুকুর মেহরসে পরিতৃপ্ত হয়ে পাৰ্ব্বতী একটু হেসে বললে, “ধরা ত পড়ি নি। সে যাই হোকৃ, এদিকে বুড়ীকে এক রকম চোখঠার দিয়েছিলুম কিন্তু আপনাকে কি বলি ? বললুম তোমার দিদি।” চোখ মুখ কুঁচকে আপনি গেড়িয়ে গেড়িয়ে বললেন, 'ননসেন্স, ইউ লুক্ ইয়ং এনাফ টু বি মাই ডটর’ ভাবলুম, উঃ ছেলেগুলো কি জ্যাঠা, মরতে বসেও পাকামে ছাড়ে না । কিন্তু, ঐ দেখুন আপনার পেয়াদ এসে হাজির হয়েছে ।” বলতে বলতে একটি দীর্ঘায়ত বলিষ্ঠ বৃদ্ধ এসে উপস্থিত হ’ল । শচীন্দ্র বললে, “কি ভোলাদ ?” “পিসীম পাঠিয়ে দিলেন । বললেন, বেলা হ’য়ে গেছে, রান্না জুড়িয়ে যাচ্ছে, চান-টান--”
- আচ্ছা আচ্ছা যাচ্ছি—যাও দশ মিনিটের মধ্যেই যাচ্ছি, পিসীমাকে গিয়ে বল ।”
ভোলানাথ চলে যাওয়ার পর পাৰ্ব্বতী বললে, “শচীন বাবু আপনার এই লোকটিকে কিন্তু আমি চাই। আপনার নারীকল্যাণকে আপনি যে রকম বনবাস দেবার ব্যবস্থা করছেন তাতে এমনি একটি লক্ষণ-প্রহরীর নিতান্তই প্রয়োজন । কি আশ্চৰ্য্য দেহের বাধন এই বয়সে ; কোথাও যেন টেলি খায় নি। পাকা চুল যেন ওর মাথায় পরচুলার মত মনে হয়। ভারী ভাল লেগেছে ওকে আমার ।" মানুষের মন AAAAAA AAAASAAAAMMMMMS SSMMM SAMS MMAAA SAAAAAAASAAAAJMSJHAMEMSMS
- ... ,... ,rxبرۃ ، ج 4 م - ۔
SNet শচীন বললে, “সত্যিই চমৎকার শরীর। আমাদের ও তল্লাটে ওর চেয়ে ভাল লাঠিয়াল আর তীরন্দাজ এখনও নেই ; কিন্তু সব চেয়ে চমৎকার ওর লয়্যালটি ; কি ভালই বাসে । আমাকে মানুষ করেছিল ছেলেবেলায়, আমার বাবাকেও করেছিল বলতে পারি। কিন্তু পুরনো চাকরবকর যেমন বেয়াড়াপনা করে, মনিবদের উপর আবদার করে, এডভ্যানটেজ নেবার চেষ্টা করে, ও কখনও তা করে নি। এক বিলেতে বখন ছিলুম তখন ছাড়া ও কখনও আমার কাছ-ছাড়া হয়েছে ব'লেও আমার মনে পড়ে না ।” “সত্যি খুব আশ্চৰ্য্য। আপনার কপাল ভাল বলতে হবে । ওকে পেলেন কোথায় বলুন তো?”
- ওর বাব ছিল আমার ঠাকুরদার খাস থানসামী । খুব ছেলেবেলায় তাকে দেখেছি। এখনও মনে পড়ে, সোনার বোতাম দেওয়া ধবধবে সাদা চাপকাল পরা, তক্ম-অাট তার দীর্ঘ মৰ্ভিখান ছেলেবেলায় আমার খুব একট আকর্ষণের বস্তু ছিল । মনে আছে চাকর ব’লে কখনও তাকে হেনস্থা করবার সাধ্য আমাদের ছিল না । ঠাকুর্দার সঙ্গে সেবকের চেয়েও বন্ধুর সম্পর্কই যেন বেশী ছিল । ভোলাদাই তার একমাত্র সস্তান । শুনেছি ছেলেবেলায় ভারী ডানপিটে ছিল ও । বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া ছেলেবেলায় ওর প্রায় একটা রোগের মত ছিল । বারো-তেরো বছর বয়সের সময় থেকে সে পালাতে মুরু করে । শিকারের ভীষণ নেশা ছিল বলে শিকারের দলে জুটে পড়বার স্থযোগ পেলেই সে পালাত। শুনেছি ঐটুকু বয়সেই তার অসাধারণ সাহস আর ক্ষিপ্রতার জন্যে ঐসব দলে তার খাতিরও কম ছিল না। আশ্চয্য হাত ছিল ওর তীর-ছোড়ায় । বুড়ে বয়সে, যখন এক রকম সব ছেড়েই দিয়েছে,--তখনও দেখেছি পশ্চিমের বাগানে উচু বোম্বাইগাছের অগম্য শাখা থেকে আম পেড়ে দিতে।”
“এখনও পারে ?” পাৰ্ব্বতী স্থান কাল ভুলে গিয়ে একেবারে শিশুর মত কৌতুহলে তার গল্প শুনছিল । নিতান্তু ভীরু দুৰ্ব্বল এই ধারণাই তার বাবার কাছ থেকে তার মনে বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছিল । তাই আজ ভোলানাথের কৃতিত্বের কাহিনী তার কাছে রূপকথার মত চিত্তাকর্ষক বাংলা দেশটার লোক যে