टंङछाछे সহিত মিলাইয়া দেখিয়াছি। কৃষ্ণ-সেন উদয়-সেনকে গড়িয় যান নাই। আর দুষ্ট এক পাতা পাইলে নিঃসংশয় হইতে পারা যায়। ঐযুত মহেন্দ্র-সেন বলিয়াছিলেন, তাহার জ্ঞাতি ঐযুত শ্ৰীশচন্দ্র-কবিরাজের ঔষধের একখানা বহি আছে। তাহাতে কিছু থাকিতে পারে। কিন্তু শ্লযুত শ্ৰীশ-সেন মানভূম জেলায় এক গ্রামে কবিরাজি করেন। তিনি বাড়ী না আসিলে বই পাওয়া যাইবে না। গত বৎসর মাঘ মাসে এই কথা হইয়াছিল। ১৭ই ফাল্গুন শ্ৰীযুত মহেন্দ্র-সেন আমাকে লেখেন, তিনি বইখানি তাহার আর এক জ্ঞাতি শ্ৰীযুত হষ্টিধর কবিরাজের নিকট পাইয়াছেন । তিনি গত রাত্রে বাড়ী আসিয়াছেন। সে বইতে "চণ্ডীদাস-চরিতে"র কিয়দংশ আছে। আর, ছাতনার রাজবংশ-লতা আছে । তিনি শলতার নকল পাঠাহয় দেন । পরে গত ৫ই চৈত্র শ্ৰীযুত রামানুজ-করের হাতে বইখানি পাঠাইয় দিয়া ৮ই চৈত্র আমার সহিত সাক্ষাৎ করেন । এই কবিরাজী বহিতে উদয়-সেন-কুত “চাওদাসচরিতামৃতম্” পুখীর এক পাতার নকল, কৃষ্ণ-সেন-রচিত পুখীর প্রথম কয়েক পাতার নকল এবং শক-সম্বলিত রাজবংশ-লতা আছে। আরও বহির অল্পস্বল্প নকল, ভারতী-স্তোত্র ও গীত আছে। পুস্তকের বিবরণ এটি পুর্থ নয়, চম ও বঙ্গ-বদ্ধ বহি। পরিমাণ ৮x ৫। × ১ ইঞ্চি। শেষ পৃষ্ঠাঙ্ক ৩৮৫ । কাগজ আপীতনীল, ফুলিসকেপ। প্রথম গৃষ্ঠে লিখিত আছে, ঐশ্ৰীহরি স্বহায় কবিরাজী হাকিম ডাকতরী চিকিতসার ঔষধের বই # কবিরক্ত ঐরামতারক কবিরাজ সকিম ছাতন! যুরু এই বৈশাখ ১২৭৭ সাল % বহিখানিতে বাস্তবিক নানা রোগের ত্ৰিবিধ মতে ঔষধের যুক্তি কষ-কালিতে লেখা আছে। শেষের দিকে কতকগুলি রোগনিবারণের আঙ্কিক কবচ আছে। শেষে 'শ্ৰমদুযুদন "বিরাজ এই নাম লেখা আছে। শযুত মহেন্দ্রনাথ-সেনের নিকট শুনিলাম ছাতনা গ্রামে i চণ্ডীদাসের দেশ ও কালের লিখিত প্রমাণ ఇavరి কৃষ্ণদাস নামে এক কবিরাজ ছিলেন। তাহার দুই পুত্র, জ্যেষ্ঠ মধুসুদন, কনিষ্ঠ রামতারক। উভয়েই চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু মধুসূদন হরিভক্ত ও সঙ্গীত ন-গায়ক ছিলেন। অনেক সময় গানবাজনায় কাটাহঁতেন। রামতারক অনুমান সন ১২৮০ সালে, এবং মধুসূদন সন ১২৯৭ সালে, পরলোক গমন করিয়াছেন। “চণ্ডীদাস-চরিতে"র কবি কৃষ্ণসেনের চারি পুত্র ছিলেন ( ১ ) গঙ্গানারায়ণ, (২) দর্পনারায়ণ (৩) রঘুনন্দন, ( s ) কালাচরণ । দর্পনারায়ণ, মধুস্থদন ও রামতারকের ভগ্নীপতি, এবং কালীচরণ ছাতনানিবাসী রাধানাথ-দাসের জামাতা ছিলেন। (এই রাধানাথ-দাস “বাসলীর বন্দনা" লিখিয়াছিলেন )। পিতৃবিয়োগের পর মধুসূদন ও রামতারক অনেক সময় লথ্যাশোলে ভগ্নীপতির বাড়ীতে থাকিতেন। সে সময় এই দুই কবিরাজ লখাশোলের সেনদের বাড়ীর পুখীপত্র দেখিতে পাইয়াছিলেন, এবং নিজেদের বহিতে কিছু কিছু লিথিয়া লইয়াছিলেন। তার পর সে বহি দুই হাত ঘুরিয়া এখন ঐযুত শ্ৰীশচন্দ্র কবিরাজের হাতে আসিয়াছে। ইহঁার বয়স ৪৮ বৎসর। ইনি বলেন, বহির প্রায় প্রথমাধ রামতারকের, এবং দ্বিতীয়াধ মধুসূদনের হাতের লেখা। মধ্যে মধ্যে অজ্ঞাত হাতের লেখা আছে । অতএব আমাদের প্রয়োজনীয় অংশ প্রায় ৬০ বৎসর পূর্বে লিখিত হইয়াছিল । অক্ষর ও বানান দৃষ্টেও এই কাল মনে হয়। ( ১ ) উদয়-সেনের পুথীর নকল । বহির ২২০ পৃষ্ঠে “ভারতীস্তোত্র” বাঙ্গাল দীর্ঘরিপদী। ছন্দ ও ভাব দেখিয় মনে হয় এটি কৃষ্ণ-সেনের রচিত। এইরূপ স্তোত্র "চণ্ডীদাস-চরিতে"ও আছে ৷ ২২৫, ২২৬, ২২৭ পৃষ্ঠে উদয়-সেনের পুর্থীর এক পাতার নকল । অশুদ্ধ সংস্কৃত । বৈশাখের “প্রবাসা”তে টীকায় মুদ্রিত হইয়াছে । দেখা যাইবে, সংস্কৃত শ্লোক ধরিয়া কৃষ্ণ-সেন লিথিয়াছেন । কিন্তু কিছুক্ত ছাড়েন নাত, কিম্বা বাড়ান নাই । ( ২ ) “চণ্ডীদাস-চরিতে”র নকল । বহির ২৫৯ পৃষ্ঠে বাসলী বিশ্বজননী’ হইতে ২৯০ পৃষ্ঠে ‘কহিলেন হররাণী : বড় তুষ্ট হইল্প আমি ; যাও বৎস এবে
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।