ਲੋਚੋਏ জীবনয়ন 曼仓● —না, কালই যাব । —আচ্ছা, পূজোর ছুটিতে দিল্লীতে এস । —ন, আমি স্থার আসব না, আমি আর আসতে চাই না । —কি পাগল ছেলে, কি সেটিমেণ্টাল তুমি । উমা হাসিয়া উঠিল । --বেশ, আমি সেণ্টিমেণ্টাল, তা নিয়ে তুমি রঙ্গ করতে পার, তোমার ব্যঙ্গ আর আমি সষ্টব না । --অরুণ, লক্ষ্মীটি, কিছু মনে ক’রো না ভাই, আজ আমি বড় ক্লাস্ত উমার দিকে চাহিয়া অরুণের চোথে জল আসিল । কেন সে উমাকে এমন গভীর ভাবে ভালবাসে । সে ভালবাসা আর সে সহিতে পারিতেছে না, সে ভালবাসার ভারে তাহার হৃদয় যে ভাঙিয়া পড়ে । বুঝি চলিয়া যাওয়াই ভাল । না আমি কিছু মনে করি নি উমা, তুমি আমাকে ক্ষম কর । যাও শুতে যাও, গুড়, নাইট। –তুমিও শুতে বাও । তুমি কি বারান্দায় ষ্টা ক'রে বসে থাকবে—ঠাণ্ড রতি । ভাঞ্জরাত্রির আকাশে কালে মেঘজালের আনাগোনার অঙ্গ নাই । অরুণের মাথায় বিদায়বেলায় উমার কথাগুলি সমুদ্রগামী পার্থীর ঝণকের মত ঘুরিয়া বেড়ায়। তুলিতে হইবে উমার কথা, ভুলিতে হইবে । ছাড়িবার সময় উমা বলিয়াছিল, বলিয়াছিল গুড়, বাই । উমা বিবাহ করিবে না, উম সেণ্টিমেণ্টকে ঘৃণা করে । ভালবাসাকে উমা ব্যঙ্গ করে । উমা বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখিতে চায়, কমরেড হইতে চায় ] কিন্তু অরুণ চায় প্রেম, অরুণ চায় প্রেমিক, অরুণ খোজে লীলাসঙ্গিনী । যে-প্রেম দেহমনকে স্বধারসে স্নিগ্ধ করিবে, যে-প্রেম সকল কামনা অস্তরের সকল তৃষা মিটাইয়া দিবে, সে-প্রেম যদি না মিলিল, কেন সে মরীচিকার মত আলেয়ার মত উমার সন্ধানে ফিরিবে ? সিমলা au revoir, NH4 সিমলা হইতে কলিকাতায় ফিরিয়া আসিয়া অরুণ স্থির করিল, উমার সহিত সে আর কোন সম্বন্ধ রাখিবে না । অস্তরের গভীর প্রেম দিয়া উমার যে কনকপ্রতিমা গড়িয়া তুলিয়াছিল সে মানসী মূৰ্ত্তি সে ভাঙিয়া ফেলিল । প্রেম-প্রতিমা বিসর্জন দিতে হইবে । বোধ হয় উমার কথাই সত্য। হয়ত সে শুধু যৌবনবেদনায় কবি-মনের কল্পনায় রঙীন স্বপুজাল রচনা করিয়া ভাবিয়াছে, এই প্রেম, এই সত্য । সে স্বপ্নজাল ছিন্ন হউক। প্রথম-যৌবন-স্বপ্ন টুটিয়া যাকৃ, রাত্রির সজল অন্ধকারের মত মিলাইয়া যাক্ । ষ্টেশনে বিদায়ের সময় সে উমাকে বলিতে চাহিয়াছিল, The play is finished on cool &##| cols, বিদায় ! কিন্তু উমার মনে ব্যথা দিয়া সে কিছু বলিতে পারিল কেন বলিতে পারে না ? অন্ধকার গলির দিকে চাহিয়া অরুণ ভাবিতে লাগিল, উমা, তুমি যদি কোনদিন জীবনে কাউকে ভালবাস, তখন তুমি বুঝতে পারবে, তুমি আমার হৃদয়ে কি গভীর বেদনা નાં দিয়েছ। সে বেদনার জন্ত আমি কৃতজ্ঞ, সে বেদনায়ু আমি ধন্য, সে বেদনা আমাকে নবজীবনের দ্বারে পৌছে দিল । অরুণ আপন মনে হাসিয়া উঠিল, সত্য সে বড় সেণ্টি মেণ্টাল । বাড়ির পূর্বাংশে চাহিয়৷ তাঙ্গর চোখ জলিতে লাগিল । পূৰ্ব্বপুরুষদের প্রাচীন প্রিয় উদ্যান আর নাই । শিবপ্রসাদের সকল ঋণ শোধ করিবার জন্য বাগান ও পুকুর বেচিয়া দিতে হইয়াছে । ব্যারিষ্টার সেন বলিয়াছিলেন, কেবলমাত্র বাড়ির বাগানের অংশ বেচিলেই মর্টগেজের দেন। শোধ হইতে পারে । অরুণ কিন্তু মৃত কাকার সকল দেনাই শোধ দিতে চায়। সেজন্য পুকুরের অংশও বেচিতে হইল । এখন বাগানে আর বৃহৎ প্রাচীন বৃক্ষগুলি নাই ; নূতন বাড়ি তৈরি হইতেছে, ভারার বঁাশগুলি সঙ্গীনের মত আকাশের দিকে উচু হইয়া আছে। ইটের স্তুপের দিকে চাহিয়া অরুণ আর বরাদায় দাড়াইয়া
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।