পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

**● পালী । পালীতে পুরানো ইটে প্রস্তুত ঘর দেখা যায়। পালীর অল্প দূরেই কোসম। গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ী মুসলমানী আমলের ইটের প্রস্তুত । ইহাতে মনে হয় কৌশাম্বী মুসলমানের হাতে আসিবামাত্র বিধ্বস্ত হয় নাই ; হইলে ধ্বংসস্তুপের ইটেই ঘরবাড়ি নিৰ্ম্মিত হইত। কোসম হইতে প্রায় এক মাইল দূরে যমুনার তটে প্রাচীন কৌশাম্বীর গড়ের অবশেষ গঢ়ব নামে প্যাত । ছুর্গ-প্রাকার আজও দূর হইতে ছোট পাহাড়ের মত দেখা যায়। নিকটেই এক জৈন মন্দির। তাহার পাশেই অতি স্বন্দর পদ্ম-প্রভুর ভগ্ন মূৰ্ত্তি আছে। জৈন মন্দিরের উত্তরে অল্পদুরে বিশাল অশোকস্তম্ভ । এই স্তম্ভ কোন স্থানের প্রসিদ্ধির জন্য স্থাপিত বলা যায় না। ঘোষিতারাম, বদরিকারাম আদি বৌদ্ধ-সংঘ প্রদত্ত তিনটি আরামই তো নগরী হইতে দূরে ছিল। বোধ হয় ইহা সেই স্থানের স্মৃতি রক্ষা করিতেছে যেখানে ভগবান বুদ্ধের শ্রদ্ধাবতী উপাসিক উদয়ন-রাজমহিষী শুীমাবতী তাহার সপত্নী মাগন্দীর চক্রাস্তে সখীজনসহ অগ্নিসমপিতা হইয়াছিলেন। শুামাবতী বুদ্ধের অশীতি জন প্রসিদ্ধ শিষ্য-শিষ্যার অন্যতমা। অগ্নিদগ্ধ হইবার সময় তাহার • cको টক নাম। * N. ... প্রবাসী >N38NS ধৈৰ্য্য অপূৰ্ব্ব ও অটুট ছিল বলিয়া কথিত। প্রাসাদমধ্যেই তিনি বহ্নি-নিক্ষিপ্ত হইয়াছিলেন। সুতরাং সম্ভবতঃ এইস্থানে রাজকুল-বাসস্থান ছিল । কনৌজের মত এখানেও এক মুসলমান আমায় শাহ সাহেব সম্বোধন করিলেন। পরে সন্ধ্যার সময় সরায়-আকিলে আর একজন সেলামালেকুম্ নিবেদন করেন। সরায়-আকিলের ধৰ্ম্মশালা অপেক্ষ মন্দিরদালান পরিষ্কার দেখিয়া সেখানে রাত্রি যাপনের জন্য শয্যা বিছাইয়া দিলাম। আরতির পর দেবতাকে দণ্ডবং করি নাই, এই অপরাধে পূজারাজী ক্রুদ্ধ হইয়া নাস্তিক বলিলেন । তাতে আর দুঃখ কি ? যাহা হোক আকিলের সরাইয়ে ১৯২৮ অব্দ সমাপ্ত ट्झेठ् । ১লা জানুয়ারি, ১৯২৯, সকালেই বাসযোগে মনৌরী ও এলাহাবাদ যাত্রা করিলাম। বাসে সহযাত্রী সরকারী কৰ্ম্মচারী হিন্দু বাবুও আমায় মুসলমান ঠাওরাইলেন । আমি ভাবিয়া পাইলাম না যে পনর হইতে কুড়ি দিনের দীর্ঘ কেশ ভিন্ন আমাতে মুসলমানী বৈশিষ্ট্য কি আছে। যাহা হউক, এই সজ্জনের কেহই জানিতেন না, আমি রাম বা খুদাহ, দুই হইতেই কত যোজন দূরে আছি । ক্রমশঃ পরলোকে ডাক্তার আন্সারী দিল্লীর স্বপ্রসিদ্ধ নাগরিকভাক্তার আন্সারীর গত ৯ই মের শেষ রাত্রে রেলওয়ে ট্রেনে হঠাৎ মৃত্যু হইয়াছে। র্তাহার বয়স ৫৬ বৎসর মাত্র হইয়াছিল । তিনি এক চিকিৎসক-বংশে জন্মগ্রহণ করেন এবং স্বয়ং বিচক্ষণ চিকিৎসক ছিলেন। রাজচিকিৎসক রূপে তিনি রামপুর, আলোয়ার ও ভূপাল রাজ্য হইতে নিয়মিত বৃত্তি পাইতেন। চিকিৎসা বিষয়ে তিনি খুব ব্যান্য ছিলেন। অনেকের শুধু যে বিনা দক্ষিণায় চিকিৎসা করিতেন তাহা নহে, তাহাদিগকে নিজ ব্যয়ে ঔষধ-পথ্যও দিতেন। র্তাহার বাড়ি হাসপাতালের মত ছিল। তিনি অনেক ছাত্রের বাসস্থান ও আহারের ব্যয়নিৰ্ব্বাহ করিতেন। জাতিধৰ্ম্মনির্বিশেষে মুক্তহস্তে তিনি দান করিতেন। তাহার গৃহ সৰ্ব্বদা অতিথিপূর্ণ থাকিত।