পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਟੋਢੋਲੋ আর্থিক ব্যাপারে কতট পরস্পর নির্ভরশীল। এক প্রদেশ হইতে কৰ্ম্মোপলক্ষে অঙ্ক প্রদেশে গিয়া অধিবাস করিলে বেকার সমস্তার কতকটা সমাধান হয় । এই সব ক্ষেত্রে প্রাদেশিকতার প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নছে। ইহা ভারতের জাতীয়ত-বোধের বুদ্ধির পথে একটি বাধ । অধ্যাপক মহাশয় স্থায়সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত কথাই বলিয়াছেন জমীর ক্ষয় * * কলিকাতা সাহিত্য সম্মেলনে যে-সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আলোচনা হইয়াছিল, জমীর ক্ষয় (Soil erosion) তাহার মধ্যে একটি। ঐযুক্ত নগেন্দ্রনাথ ঘোষ এই বিষয়ে একটি প্রবন্ধ পাঠ A করেন। তাহাতে তিনি দেখান, বৃষ্টির জলে পশ্চিম বঙ্গে ভূমির উপরের অংশ ধৌত হইয়া নদীর বন্যায় জমা হইতে অন্যত্র নীত হয় । এই ধৌত মটর স্তরের কিছু অংশ নদীগর্ভে পলি পড়িয় তাহাকে ক্রমশ: উচু করিতে থাকে এবং অনেক অংশ সাগরে গিয়া পড়ে। মাটীর এই উপরের স্তরের ক্ষয়ে ভূমির উৎপাদিক শক্তি ক্রমশঃ হ্রাস পাইতেছে। অথচ ইহা নিবারণের কোন চেষ্ট হইতেছে না। ইহা কেবলমাত্র পশ্চিম বঙ্গের সমস্যা নহে, বঙ্গের ও ভারতবর্ষের অন্যত্রও এইরূপ অনিষ্টকর ভূমিক্ষয় চলিতেছে । অন্য অনেক দেশেও এই সমস্ত বিদ্যমান । এই সমস্তার সমাধান কি প্রকারে হয় তাহ জানিতে হইলে আমাদের যুবকদিগকে রাশিয়া ও আমেরিক যাইতে হইবে, লেখক বলিয়াছেন । এই অনিষ্ঠের প্রতিকারার্থ আমেরিকায়, আমাদের দৃষ্টিতে, প্রভূত চেষ্ট হইতেছে—যদিও আমেরিকার অনেক লোক তাহাতে সস্তুষ্ট নহে। তথায় একটি ভূমি সংরক্ষণ বিভাগ (The United States Soil Conservation Service ) আছে । মিঃ হিউ বেনেট তাহার ডিরেক্টর। র্তাহার হিসাবে ভূমিক্ষয় দ্বারা য়ুনাইটেড ষ্টেটুসের বার্ষিক চল্লিশ কোটি ডলার অর্থাৎ মোটামুটি ১২০ কোটি টাকা ক্ষতি হইতেছে । ইহা নিবারণের জন্য তথাকার গবন্মেণ্ট একটি আইন প্রণয়ন করিয়াছেন, এবং ভূমি সংরক্ষণ বিভাগ ভূমিক্ষয়ের বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম চালাইতেছে। ক্ষয়নিয়ন্ত্রণমূলক পূৰ্ত্তকার্যের জন্য তথাকার পূর্তবিভাগ চল্লিশটি প্রজেক্ট বা পরিকল্পনা স্থির করিয়াছে । ভজন্তু বার্ষিক বরাদ হইয়াছে এক কোটি চল্লিশ লক্ষ ডলার অর্থাং মোটামুটি ৪,২০,০০,০০০ টাকা । ভারতবর্ষের ইস্পীরিয়াল কেন্সিল অব এগ্রিকালচার্যাল রিসার্চ কিংব বঙ্গের কৃষি-বিভাগ এই প্রকার বিষয়ে মাথা ঘামান কি ? বীরভূম বাকুড়া প্রভৃতি জেলায় যে ঘন ঘন দুর্ভিক্ষ হয় ভূমিক্ষয়ের সহিত তাহার সম্পর্ক আছে। (32--רסי বিবিধ প্রসঙ্গ—মহিলাদিগকে ব্যঙ্গবিদ্রুপ ఇనెగి মহিলাদিগকে ব্যঙ্গবিদ্রুপ “সঞ্জীবনী” লিথিয়াছেন – তালতল পাবলিক লাইব্রেরীর উদ্যোগে যে সাহিত্য সম্মেলন হইল্পী গেল, তাঁহাতে এক দিন শ্ৰীমতী নীলিম। দেবী সভানেত্রী ছিলেন । কয়েকটি মহিলার প্রবন্ধ পঠিত হইবার পরে খ্ৰীযুক্ত প্রভাতকিরণ বস্থ ‘নারীধৰ্ম্ম নামে প্রবন্ধ পাঠ করেন। প্রবন্ধে তিনি নারীদের প্রতি যথেষ্ট বিদ্রুপ অসংযত ভাষায় বড় ঘরের ও গরিব মেয়েদের ও মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েদের উচ্ছ,খল জীবন-যাত্রার কথা বর্ণনা করেন। সভার উপস্থিত পুরুষগণ তাহা শ্রবণ করিয়া হাস্ত ও করতালি দিয়া লেখককে সমর্থন করিতে থাকেন। সভাগুলে বিখ্যাত অধ্যাপকগণ, হাইকোর্টের উকিল ও কর্পোরেশনের কাউন্সিলর প্রভূতি ছিলেন । কোনও পুরুধ এই সকল হীন উক্তির প্রতিবাদ করেন নাই । মহিলাদের পক্ষে দুই জন মহিলা শ্ৰীযুক্ত বীণ রায় ও পুষ্প দে সভানেত্রীর অনুমতি লইয়া এরূপ প্রবন্ধ পাঠ করা উচিত কি ন জিজ্ঞাস করেন। সভানেত্রী প্রবন্ধ পাঠ করিতে, ও পরে অালোচন হুইবে বলেন । প্রবন্ধপাঠ হইলে সভানেত্রী বলেন, প্রবন্ধের স্থানে স্থানে ভাষা অসংযত হইলেও কবির অত্যুক্তি ও উচ্ছ,সি নারীদের ক্ষমার যোগ্য। সম্মেলনের মূল সভাপতি অধ্যাপক খ্ৰীজয়গোপাল বন্ধ্যোপাধ্যায় বক্তৃত দিতে উঠিয়া মহিলাদিগকে বলেন, নারীগণ যখন পুরুষদের সহিত সমান অধিকারের দাবি করিতেছেন, তখন পুরুষদের সভায় আসিয়৷ বিচলিত হইলে চলিবে না। যাহীদের সাধন নাই, সারবান পদার্থ নাই, যাহার। অশিক্ষিত ও নিৰ্ব্বেধ তাহারাই বিচলিত হয় । তাহার এই শ্লেষপূর্ণ বাক্যে মহিলাদের মবে ক্ষোভের উদয় হয় । কয়েক জন যুবক মহিলাদের মর্যাদাহানি হইয়াছে বলেন এবং আরও বলেন যে এরূপ স্থলে মহিলাদের আর থাক উচিত নহে, তাহাদিগকে প্রচুর অপমান করা হইয়াছে । মহিলাগণ সম্ভ হইতে বাহির হইতে আরম্ভ BBB BDD BBBS BBB BSBB BBB BBS BB BB BBBBB সমর্থনকারী যুবকদিগকে প্রায় ধাক্ক দিয় সভার বাহির করিয়া দেন । অবশেষে আমেরিকার দাসদের যখন স্বাধীনতা দেওয়ার ব্যবস্থা হইল তখন তাহার স্বাধীনত চাহি না বলিয়া যেমন কলরব তুলিয়াছিল, সেইরূপ মহিলাগণই অধ্যাপক জয়গোপাল বানাজির নিকট ক্ষম: প্রার্থন করেন । “সঞ্জীবনী” যদি ঠিকৃ সংবাদ পাইয়া থাকেন, তাহা হইলে সাহিত্য-সম্মেলনের এই দিনের অধিবেশনে নিন্দনীয় কিছু হইয়াছিল বলিতে হইবে । যেহেতু মহিলারা আজকাল পুরুষদের সহিত একই সভায় উপস্থিত থাকেন, অতএব পুষদের কথাবাৰ্ত্ত বক্তৃতা তৎসত্ত্বেও অসংযত থাকিয় গেলেও মহিলাদের তাহাতে বিচলিত হইবার কারণ ঘটে না এবং তাহারা বিচলিত হইলে আসার অশিক্ষিত সাধনাহীন ও নির্বোধ বিবেচিত হইবার যোগ্য, আমরা এরূপ মনে করি না । “সঞ্জীবনী” যদি ঠিকৃ সংবাদ না পাইয়া থাকেন, তাহা হইলে তদ্বিষয়ক প্রতিবাদ দেই কাগজেই হওয়া উচিত। তাহাতে প্রতিবাদ না করিয়া আমাদিগকে প্রতিবাদ পাঠাইলে আমরা ছাপিতে বাধ্য থাকিব না।