পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ छ्न्त्र >Nー) নীতির ময্যাদার রক্ষা হয়। বোধ হয়, কালে তা হবেণ্ড । পূৰ্ব্বে দু-বার স্বইটজারলাণ্ডের মধ্য দিয়ে ট্রেনে ক'রে গিয়েছি, অসটিয়ার এই অংশ দেখে, খালি সুইটজারলাগুকেই মনে হতে লাগল। সেই ঢালু পাহাড়ের গায়ে ঘাসের মধ্যে সাদা নীল হলদে ফুলের ঘট, সেই ঢালু-ছাত দক্ষিণ জর্মান ছাদের বাড়ী, সেই দূরে উচু পাহাড়ের শ্রেণী, সেই ছোটে। ছোটাে পাহাড়ে নদীর ফেনিল সাদা জল তীর বেগে কুলু-কুলু রবে প্রবাহিত । দেশটাকে এরা এমন চমৎকার ক’রে রেখেছে, যে কথায় কি আর বলবো। এপানে বসতি বেশী, কিন্তু দেশের সম্বন্ধে, তার বাহ রূপ সম্বন্ধে, সাধারণ লোকেরও মমতাবোধ খুব । বসতি যে বেশী তা মাঝে মাঝে এই পাহাড়ে পল্লীগ্রাম অঞ্চলে নানা জিনিসের যে-সব কারখানা স্থাপিত হয়েছে, তা থেকে বোঝা যায়। যতই ভিয়েনার দিকে অগ্রসর হচ্ছি, ততই লোকের বাস বেশী বলে মনে হচ্ছে। লোকের বাস অর্থাৎ ঘরবাড়ী যত, তার চেয়ে বেশী যেন রকমারি কারখান| বিঘার পর বিঘা জুড়ে বিরাট বিরাট এই-সব কারখানার ইমারত। লাল টালির ছাত, উচু উচু চিমনি । শহরতলী অংশের villa বা বসবাটার শ্রেণী—রাস্তায় ট্রাম-শেষে বেলা নটার পরে ভিয়েনা ষ্টেশনে আমাদের ট্রেন থামূল। ইউরোপের— ইউরোপের কেন পুথিবীর-আধুনিক সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র, লণ্ডন পারিস বেৰ্লিন রোমের সঙ্গে এক যার নাম করতে হয় সেই শিল্প-বিজ্ঞান-সঙ্গীতের পীঠস্থান, প্রাকৃতিক সৌনয্যে আর সুরমা হৰ্ম্মাবলী মূৰ্ত্তি ইত্যাদি সাংস্কৃতিক অলঙ্করণে অতুলনীছ, বহুদিন ধরে দর্শনের জন্য আকাঙ্কিত ভিয়েল নগরীতে অবশেষে উপস্থিত হওয়া গেল। দ্বন্দু শ্ৰীমুশীল জানা পুষ্টিট বড় জোরেই নামিয়ছিল। বৃষ্টি আরম্ভ হইবার বল পর্ক্সেষ্ট উমেশ কবিরাজের বাড়ি গিয়াছে । তার পর বজ্ৰাঘাত ও ঝড়-ঝাপটার সহিত প্রবল বেগে বৃষ্টি নামায় বধু মণিমালার উদ্বেগের অন্ত ছিল না। সাবিীরও যে উদ্বেগ ছিল না, এমন নয় তবে তাহার উদ্বেগ ও ব্যাকুলতাটা একটু অন্য ধরণের । সে চঞ্চল মনে প্রতীক্ষ করিতেছিল, কতক্ষণে উমেশ ফিরিবে এবং অসুস্থ মেয়েটার মুখে শুষদ পড়িবে । বৈকাল হইতেই যে মেয়েট ঝিমাইয়। পড়িয়াছে ! সন্ধ্যার অল্প ক্ষণ পরেই উমেশ ফিরিল । বধু অন্তযোগ করিল— ষ্ট্যাগো-তোমার কি ভয়-ডর একটু নেই ! এই ঝড়-জলে আজ না এলেই ত পারতে— ক’বরেজের বাড়িতে রয়ে গেলেই পারতে! কাল খুব সকাল সকাল উঠেই নহয় আসতে। ধন্য সাহস বটে...চন্দ্র-লায়েবের কথা কি ভুলে গেলে, না গৌরার লাঠির ধ। ভুলে গেলে ?. উমেশ পেশল দেহ গ'মছ দিয়া মুছিয়া সেটা বহুর মুখের উপরে ছুড়িয়া দিয়া হাসিয়া বলিল—ভূলব কেন, গেীরাও ভোলে নি আর আমিও ভুলি নি । সে ব্যাট এখন ঘানি টানছে তা জান ? তার পর চন্দ্র হালদার-ওকি বাঘ ম ভালুক যে ওর ভয়ে ঘর থেকে বেরব না । -- ঙ আর কি বলেছিল সে তুমিষ্ট ভাল জান । —জানি বইকি। গৌধুকে দিয়ে আমার মাথা ফাটিয়েছিল, কি হয়ত খুন করত— সে সব জানি । কিন্তু সেই গৌরচন্দ্র জেলে । আরে একি মগের মুল্লক ! রজার আইন নেই ? সে আর কেউ নয় আমার দাদা অধর মল্লিক . মুক্তরাষ্ট চোক আর ঘাই হোক--প্রত্যেকটি আইন যার নখ-দপণে । এবার চন্দ্রকে যদি একবার জড়াতে পারি তাহ'লে বাছাধনকে একদম বারটি বছর. উমেশ দাতে গত চাপিয়া বলিল, মধু যুগী-গরিব মানুষ, তার সর্বস্ব মারবার ফনী ! যেমনকে তেমন, জমিদারের কাছে আমার