পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগষণঢ় কিছু অভাব থাকাই ভাল, অভ্যস্ত হওয়া চাই স্বল্পতায় । অনায়াসে প্রয়োজন জোগানোর দ্বারা ছেলেদের মনটাকে আদুরে করে তোলা তাদের নষ্ট করা। সহজেই তারা যে এত কিছু চায় তা নয়। আমরাই বয়স্ক লোকের চাওয়াটা কেবলই তাদের উপর চাপিয়ে তাদেরকে বস্তুর নেশায় দীক্ষিত ক’রে তুলি। শরীর মনের শক্তির সম্যক চর্চা সেখানেই ভাল ক’রে সম্ভব, যেখানে বাইরের সহায়তা অনতিশয় । সেথানে মানুষের আপনার স্বষ্টিউদ্যম আপনি জাগে । যাদের না জাগে, প্রকৃতি তাদেরকে আবর্জনার মত বেটিয়ে ফেলে দেয়। আত্মকর্তৃত্বের প্রধান লক্ষণ স্বষ্টিকর্তৃত্ব । সেই মাহমই যথার্থ স্বরাট, আপনার রাজ্য যে আপনি সৃষ্টি করে । আমাদের দেশে অতিলালিত ছেলের সেই স্বচেষ্টতার চর্চা থেকে প্রথম হতেই বঞ্চিত । তাই আমরা অন্যদের শক্ত হাতের চাপে পরের নিদিষ্ট নমুনা মত রূপ নেবার জন্যে কর্দমাক্ত ভাবে 2ग्लंड । এই উপলক্ষ্যে আর একটা কথা বলবার আছে । গ্ৰীষ্মপ্রধান দেশে শরীরতন্তুর শৈথিল্য বা অন্য যে কারণেই হোক আমাদের মানস প্রকৃতিতে ঔৎসুক্যের অত্যন্ত অভাব । একবার আমেরিকা থেকে জলতোলা বায়ুচক্ৰ আনিয়েছিলুম। আশা ছিল, প্রকাও এই যন্ত্রটার ঘূর্ণিপাথার চালনা দেখতে ছেলেদের আগ্রহ হবে। কিন্তু দেখলুম অতি অল্প ছেলেই ভাল ক'রে ওটার দিকে তাকালে । ওরা নিতাস্তই আলগা ভাবে ধরে নিলে ওটা যা হোক একটা জিনিষ, জিজ্ঞাসার অযোগ্য । নিরেীং সুকাই আস্তরিক নিজীবত: । আজকের দিনে ধে-সব জাতি পৃথিবীর উপর প্রভাব বিস্তার করেছে, সমস্ত পৃথিবীর সব কিছুরই পরে তাদের অপ্রতিহত ঔৎসুক্য । এমন দেশ নেই, এমন কাল নেই, এমন বিষয় নেই, যার প্রতি তাদের মন ধাবিত না হচ্ছে । তাদের এই সজীব চিত্তশক্তি জয়ী হ’ল সৰ্ব্বজগতে । পূৰ্ব্বেই আভাস দিয়েছি, আশ্রমের শিক্ষা পরিপূর্ণভাবে বেঁচে থাকবার শিক্ষা । মরা মন নিয়েও পরীক্ষায় প্রথম আশশুমের শিক্ষ। N9్సn শ্রেণীর উদ্ধৃশিখরে ওঠা যায়, আমাদের দেশে প্রত্যহ তাঁর পরিচয় পাই । দেখা যায় অতি ভাল কলেজি ছেলেরা পদবী অধিকার করে, বিশ্ব অধিকার করে না। প্রথম থেকেই আমার সঙ্কল্প ছিল, আশ্রমের ছেলেরা চার দিকের অল্যবহিত সম্পর্ক লাভে উৎসুক হয়ে থাকবে । সন্ধান করবে, পরীক্ষা করবে, সংগ্রহ করবে। এখানে এমন সকল শিক্ষক সমবেত হবেন যাদের দৃষ্টি বইয়ের সীমানা পেরিয়ে ; র্যারা চক্ষুষ্মান, র্যার সন্ধানী, যারা বিশ্বকুতুহলী, যাদের আনন্দ প্রত্যক্ষ জ্ঞানে । সবশেষে বলব যেটাকে সব চেয়ে বড় মনে করি এবং যেটা সব চেয়ে দুলভ। তারাই শিক্ষক হবার উপযুক্ত যারা ধৈর্য্যবান । ছেলেদের প্রতি স্বভাবতই র্যাদের স্নেহ আছে ধৈর্য্য তাদেরষ্ট স্বাভাবিক। শিক্ষকদের নিজের চরিত্র সম্বন্ধে গুরুতর বিপদের কথা এই যে, যাদের সঙ্গে তাদের ব্যবহার তার ক্ষমতায় তাদের সমকক্ষ লয় । তাদের প্রতি সামান্য কারণে বা কাল্পনিক কারণে অসহিষ্ণু হওয়া, তাদের বিদ্রুপ করা, অপমান করা, শাস্তি দেওয়া অনায়াসেই সম্ভব । দুৰ্ব্বল পরজাতিকে শাসন করাই যাদের কাজ, তার! যেমন নিজের অগোচরেও সহজেই অন্যায়প্রবণ হয়ে ওঠে এও তেমনি । ক্ষমতা ব্যবহারের স্বাভাবিক যোগ্যতা যাদের নেই, অক্ষমের প্রতি অবিচার করতে কেবল যে তাদের বাধ থাকে না তা নয় তাতে তাদের আনন্দ । ছেলেরi অবোধ হয়ে, দুৰ্ব্বল হয়েই মায়ের কোলে আসে, এই জন্যে তাদের রক্ষার প্রধান উপায় মায়ের মনে অপৰ্য্যাপ্ত স্নেহ । তৎসত্ত্বেও অসহিষ্ণুতা ও শক্তির অভিমান স্নেহকে অতিক্রম করেও ছেলেদের পরে অস্থায় অত্যাচারে প্রবৃত্ত করে, ঘরে ঘরে তার ছেলেদের কঠিন দণ্ড ও চরম দণ্ড দেবার দৃষ্টাস্ত যেখানে দেখা যায়, প্রায়ই সেখানে মূলত: শিক্ষকেরাই দায়ী। তারা দুৰ্ব্বলমনা বলেই কঠোরতা দ্বারা নিজের কৰ্ত্তব্যকে সহজ করতে চান । রাষ্ট্ৰতন্ত্রেই হোকু আর শিক্ষাতন্ত্রেই হোক, কঠোর শাসননীতি শাসয়িতারই অযোগ্যতার প্রমাণ । শক্তস্ত ভূষণং ক্ষম । ক্ষমা যেখানে ক্ষীণ সেখানে শক্তিরই ক্ষীণতা। કરું পাই । (2) ""لي مم.