পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిపి శ్రీ প্রবাসী SNS)8N○ উদেখে লিখিত রচনায় প্রায়ই দোষের একটু বেশী উল্লেখ থাকে। স্বতরাং এই সকল পুস্তকের বিবরণের উপর নির্ভর করিয়া সে-যুগের নব্য কলিকাতা সমাজে লাম্পট্য ও নেশীভাঙে আসক্তি ভিন্ন আর কিছু ছিল না মনে করিলে অন্যায় হইবে। పి এতক্ষণ পধ্যস্ত যে-বাবুদের কথা বলা হইল, তাহাদের গৃহলক্ষ্মীরা কি-ভাবে দিন কাটাইতেন তাহা জানিবার আগ্রহ অনেকেরই হইতে পারে। সুতরাং সে-যুগের সামাজিক চিত্র হইতে উহাদিগকে বাদ দিলে বলিবে না। মেয়েদের জীবনযাত্রা সম্বন্ধে তথ্য ও বিবরণ পুরুষদের অপেক্ষা পরিমাণে অনেক কম। তবে যেটুকু পাওয়া যায় তাহা হইতে বুঝা যায় যে সন্ত্রাস্ত ঘরের মেয়েদের জীবন অনেক সময়েই বেশভূষা, মজলিশ, যাত্রা, গানশোনা ও চিরপ্রচলিত ধৰ্ম্মকৰ্ম্মেই কাটিত । বড় ঘরের মেয়েদের মজলিশের একটি বিবরণ আমরা "দূতী বিলাসে পাই । সেটি এইরূপ :– ভোজনস্তে সকলে বসিল সম্ভ করি | তাকিয়! লাগয় তার: লুইচু! পরিহরি ॥ গোপী দাসী সাজি আনি দিল পান দান । কত মত ভুকুটি করিয়া পান থান । কাহারে আল্‌বোল এলে। কার গুড়গুড়ি । সকলে তামুক খায় নবীন। কি বুড়ি । এ সব হইলে পরে রাত্রি কিছু ছিল। প্রেমিকার প্রমাল্লার খেল; আরম্ভিল । যাও থাক এই শব্দ কেহ কেহ কহে । কেহ মৌরেস্ত ডাকে কেহ তই সহে ॥ সাব সি কাগজ বলে কোন রসবতী । শুনিয়া কাগজ ফেলে পেলুড়ি যুবতী । ( পৃ. ৭৯ ) এই যুবতীদের অঙ্গে প্রায়ই অলঙ্কারের বাহুল্য ও বস্ত্রের স্বল্পতা দেখা যাইত। যে-বাড়ির মেয়ে-মজলিশের বর্ণনা এইমাত্র দেওয়া হইল, তাহারই যুবতী-গৃহিণীর সাজসজ্জার নিম্নলিখিত রূপ বর্ণনা পাওয়া যায় :– কুটিল কুন্তল কাল কপাল উপর । সৌদামিনী জিনি সিতি আতি শোভাকর । কণবালা কর্ণফুল কৰ্ণেতে পরেছে । মনোহর মুক্ত লচ্ছ। তাহতে দিয়েছে । মুক্তায় মুণ্ডিত লত নাসার দুলিছে । মঞ্জনে মার্জিত দত্ত দামিনী থসিছে। মুক্তালচ্ছ গলদেশে সাজে সতিনরি। চৗরাপান্ন ধুকধুকি আছে শোভ করি । বহুতে পরেছে বাজু হীরাতে জড়াও । পরেছে তাবিজ কোলে করিয়৷ মেলাও ৷ ধানি মুড়কি মরদtলি পৈছে আছে হাতে নবরত্ব অঙ্গুরীয় শোভা করে তাতে ॥ হীরার ফুলেতে স্বর্ণবালা মুশোভিত। কটাতে কলক চন্দ্রহীর মনোনীত । চাবিশিকি তাহে পুন দিয়েছে ঝুলীয়ে। পদাঙ্কুলে আছে চুটুকি ছাল্লাতে মিশায়ে । সুবর্ণের গোল মল পরিয়াছে পায় । পরেছে ঢাকাই সাড়ী অঙ্গ দেখা যায় । ( পৃ ৪৯-৫ • ) আবার,-— পরিয়াছে খাসী সউ ক{শ সাড়ী তlর । কথমে রঙ্গন ভাল বড় আঁচ লাদার ! মেতিতেল দিয় মাথ ঠf(চড়িয়া বাদে । দিয়েছে দিন্দুর ভালে যেন রবি চাদে ॥ কালি দিয়ে উল্কি পরেছে ভরুমাজে । তদুপরি সুবর্ণের টিক ভাল সাজে । বিন! কর্ণফুলে কাণে ঝুমুক দোলtয় । সোণীর ঠে |সের লং আছে নাসিকায় ॥ টপকলি স্বর্ণমাল! ই{সলি রূপায় । গলায় দিয়াছে সব শোভা ক ও ত{স ॥ ল।উটা পৈইছ লৌহ রূপ•ে বন্ধন । রূপার মাদুলি হাতে রোমে পান । বড় মোট লকমল পরিয়াছে পায় । অfর অলঙ্কার ঢাক নাহি দেখা ন}য় {* ( পু ৭৫ ৷ বলা বাহুল্য পল্লীগ্রামে কলিকাতার পুরুষদের মত কলিকাতার মেয়েদেরও বিশেষ দুনাম ছিল। এই অপবাদ সম্ভবতঃ পল্লীগ্রামবাসীদের উত্তেজিত কল্পনাপ্রস্থত। তবে । কলিকাতার মেয়েরা যে কোন-কোন বিষয়ে একটু স্বাধীনতা দেখাইতেন তাহার আভাসও আমরা পাই । ‘দূতীবিলাসে" দেখিতে পাই, কলিকাতার মেয়ের পল্লীগ্রামের মেয়েদের পরাধীনতার সম্বন্ধে ধিক্কার দিতেছেন :– তlম{ল! দেখিতে যদি কোন মেয়ে চয় । ভ}তারের মত লৈলে মে?ে নাহি পায় । আপন খুলিতে কেহ দেখিবার অরে। ঘে যtয় তাহাকে স্বামী ঝর্ণটাপিট করে ॥ শুনে নাকে হাত দিয়ে কহে নারীগণ । হেন যার সহে ধিক্ তাদের জীবন । ( পৃ. ৭৬ )

  • ‘নববাবুবিলাসেও অনেক রকমের গহন ও শাড়ীর উল্লেখ পাওয়

যায়। যেমন, “কাশবাল, টেড়ি ঝুমকে, বীরবেলি" (পৃ. ৩৬) প্রভূতি গহন ও “শান্তিপুর অম্বিক বাদাগাছি ঢাক চন্দ্রকোণ খাস বাগান বরাহনগর প্রভৃতি নান স্থানের শাট শালপেড়ে কাকড়পেড়ে লালপেড়ে নীলপেড়ে তাবিজপেড়ে বঙ্গানগুরে ডুরে” (পৃ. ৩৭ )। + 'সংবাদপত্রে সেকালের কথা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৮২ জষ্টব্য।