পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় কঠিন জ্ঞান করিতেন । এবংসরে সেই সকল বাড়ীতে ইতর লোকের স্ত্রীলোকেরাও স্বচ্ছলো প্রতিমার সম্মুখে দণ্ডায়মান হইয়৷ দেখিতে পায় এবং বাইজীর গলী গলী বেড়াইয়াছেন তত্ৰাপি কেহ জিজ্ঞাসা করে নাই । অনেকে এবৎসর পূজাই করেন নাই এবং যাঠীরদের বাড়ীতে পাঁচ সাত তরফ বাই থাকিত এবংসর কোন বাড়ীতে বৈঠকি গানের তালেই মান রছিয়াছ, কোন স্থলে চণ্ডীর ધાન ও যাবার স্বারাই রাত্রি কাটাইয়াছেন দুর্গোৎসবে প্রায় বাড়ীতে এমত আমোদ নাই যে লোকের দেখিয় সন্তুষ্ট হইতে পারে এব: যtষ্ঠীর অtল করিয়া কাল বিনাশ করিতেন তাহারীও প্রায় এতদ্বর্ষে বাতীর স্বtশ্রয় করিয়াছেন। অতএব দুগোৎসবে যে আমোদ প্রমোদ পূৰ্ব্বে ছিল এবংসরে তাহার অনেক $1স হইয়াছে। ইহান্তে অনেকে সন্ধ্যাপ্রদীপ Nごかこつ> কহেন যে এতদেশীয় লোকেরদের ধন শুম্ভহওয়াতেই এরূপ ঘটিয়াছে... । ( ১৩ অক্টোবর ১৮৩২ তারিখের সমীচীর দৃপণে উদ্ধত) এই সকল সংবাদ হইতে বাংলা দেশে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘাত ও সংস্পশের পরিচয় পাওয়া যায়। এই সংস্পৰ্শ ১৮১৭ সনে হিন্দুকলেজ প্রতিষ্ঠিত হইবার পর আরও নিবিড় হইয় উঠে ও নুতন রূপ ধারণ করে। এই পরিবর্তনের আলোচনা ভবিষ্যতে করিব । সন্ধ্যাপ্রদীপ শ্ৰীসাবিত্রীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় তুলে ধর সর্থী, সন্ধ্য-প্রদীপ দেখি আজ ভাল ক'রে অবগুষ্টিত ও রূপ-মাধুরী কতখানি শোভা ধরে । লক্তিত অাখি কেন মুদে আসে ?—নামে সন্ধ্যার মায়, রুপ-শিখা কঁপে, র্কাপে দীপশিখ, পঁপিছে তাহার ছায়া । অঞ্চল দিয়ে টেকে না প্রদীপ, স্নিগ্ধ আলোকে তার অাখির ঝালরে দেখি ঝলমল আশ্রমুক্ত ধার ! মাটির প্রদীপ রচনা করিয়া জেলেছে সোনার হাতে, যদি নিশিভোর জলিয়া জলিয়া সেনা হয়ে থাকে প্রাতে, প্রভাতী-গানের প্রথম চরণে বন্দিবে তারে পার্থী লীলায়িত তব কর-পল্লবে পরাইব রাঙা রাখী ! প্রদীপ জালিলে আজি সন্ধ্যায় কাহারে স্মরণ করি সন্ধ্যামালতী বরণ করিয়া নিলে অঞ্জলি ভরি অনাগত কোন প্রিয়ের সকাশে পথচাওয়া বারে বারে, আজি সন্ধ্যায় কাহার মায়ায় ফিরাইয়া দিবে কারে ? কাছে সরে এস তোমার আলোকে তোমারে দেখিব প্রিয় কোন রহস্তে রমণী হয়েছে বিশ্বের রমণীয়া । তযুদেইখানি রেখেছ ঢাকিয় রঙীন পট্টবাসে অবগুষ্টিভ কুষ্ঠার মাঝে মনের মাধুরী হাসে। ওগো সুন্দরী, সন্তু তবাসে তুমি হুন্দরী রম রমণীয় তুমি, কমনীয় তুমি কামিনী তিলোত্তম, নৃপতি-মুকুট চরণে লুটায় ধ্যানের অর্ঘ্যভার মহাতপ মুনি উজাড় করিয়া ঢালিল পায়ে তোমার। বিমোহিনী নারী দাড়াইয়া হাসে, কৌতুকে নাচে অথি, নতজান্ত বীর ভুবনবিজয়ী, হাতে পরাইবে রাধী । তব পায়ে পায়ে নপুরের মত বাজে জীবনের গান তব মালিকার ছিন্ন স্থমে যৌবন লভে প্রাণ। এত কাছে আছ তবু জানি আমি, জানি আমি ভাল ক'রে মম জীবনের আয়ু ত তোমারে রাখিতে পারে না ধরে ; এই যে তোমারে নয়ন ভরিয়া দেখিতেছি স্থদরী দুইটি নয়নে অতথানি আলো কেমনে রাখিব ধরি— তবু কাছে এস, ওগো জীবনের মূর্ব অফুট বাণী সন্ধ্যাপ্রদীপ জালাইয়া রাখ, এ মোর সন্ধারণ