পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ छ्न्ट्र Տն মণিমালার জান ছিল না। সাবিত্রী জানিত বলিয়াই প্রতিজ্ঞ করাইয়া লইয়াছিল। উমেশ যখন মাতেীয়ারা হইয়া ফিরিল তথন সবিস্ত্রী নিজের ঘরে দরজা দিয়া শুইয়া পডিয়াছে । এই অস্বাভাবিক ব্যবহারটা সে অতান্ত দুঃখে ও ক্রুদ্ধ হঠয়াই করিয়ছিল । উমেশকে অনুসন্ধান করায় মণিমালা যখন হিংস্রতার আনন্দে বলিয়া ফেলিয়াছিল, আথড়ায় গেছে,-তখন সাবিত্রীর দুঃখের অস্ত ছিল না। মণিমালার সহিত কলহ করিতে ইচ্ছ হইয়াছিল বটে, কিন্তু কিছু ন বলিয়াই সোজ সে নিজের ঘরে গিয়া পিল দিয়াছিল । উমেশ আসিয়াই দাওয়ায় লম্বা হঠয়া শুচল এবং উচংকণ্ঠে জানাইল, প্রথমে তাহাংে বৌদিব পায়ের ধূল না আনিয় দিলে সেখান হঠতে সে নড়িবে না—নড়েও নাই । . মণিমালা সাবিীর নিকটে ক্ষমা চাহিয়! বলিয়াছিল, আমাকে ক্ষম কর দিদি--- আমি এসব জানতুম না । উমেশকেও পুনরায় প্রতিজ্ঞ করিতে হইয়াছিল । ইহার পর হইতেষ্ট হয়ত সমস্ত বিসংবাদ মিটিয়; যাঠত, কিন্তু মণিমালা মনে মনে একটা কথাই ভাবিতে লাগিল, কিছুতেই সে হটিয় যাহলে না । ইটিলও মা । অস্তরে অস্তবে দ্বন্দুটা রহিয়া গেল । উমেশ অত বুঝে মা—বুঝিলে বা জানিতে পারিলে ইতাদের দুই জনকে সামলান হয়ত ভাঙ্গর অসম্ভব হইয় উঠিত । কারণ এক জন চাৎ,−সে ' বৗদি’ ‘লৌদি বলিয় তাহার সমস্ত অভাব-অভিযোগ ছেলেবেলার মত দস্তিপনা করিয়া ও আকারের সহিত কড়ীয়-গ ধায় বুঝিয় নিক এবং আর এক জন ভাবে—ভাল-মন্দ বুঝিবার ভার এখন ত তাহারই উপরে, সেখানে অপরের হস্তক্ষেপ করার কোন অধিকার নাই। তাই একের সীমান্য সার্থকস্তায় আপরে জলিয়া-পুড়িয়া মরে । মণিমালার মনের ভাব সবিী আক্ত সম্পূর্ণই বুঝিতে পারিয়ছে । ময়নাকে সে কেবল মৌখিক ভাবেই ভালবাসে, অস্তরে অস্তরে শয় ছাড়া আর কেহ নয়। ভালবাসিলে উমেশকে সে সহজভাবেই ধাক্টতে দিত, এ পস্থা কেবল তাহাকে জবা করিবার জন্য। উমেশও যেন কি-সাবিীর অভিমান হইল, উমেশ মাঞ্জ পর হইয়া গিয়াছে । তাহার ভাগ্যটাই মন । যদিও উমেশ বলিয়াছিল, শিঙ্কুরও এমন হাল হয় নি। এখন যাই, না ঘরে বসে থাকি । সাবিত্রীর মনে পড়িল, ঠিক এই কথাটাই উমেশ আর একদিন বলিয়াছিল । সেদিন উমেশের যেন সীমানা একটু শরীর খারাপ হইয়াছিল । মণিমাল সমস্ত দিমট পা৭ে পাশেই ছিল । ইঙ্গ দেন সাবিত্রীর সহ হয় নাই-বলিয়ু ছিল, ঠ্যারে, একটা বড় কিছু হ’লে কি করতিস বল ত ? উমেশকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, আজ কি পাবি উমা ? ফল কিছু অনাই—কেমন ? মণিমালা প্রতিবাদ করিয়াছিল, উহু, শুধু একটু সাৰু দিও বড়দি তৈরি ক'রে । উমেশ বলিয়ছিল, মা না বেদি, ফল খাব । লেবু আনাও আর.ও সাবু আমি খাব না । উৎফুল্ল কণ্ঠে বলিয়াছিল, আমার কি ভাল লাগে না-লাগে বৌদি সব জানে । মণিমালার ইঙ্গাতেই অভিমান হষ্টয়াছিল, কথায় কথায় সাবিত্রীকে যেন একটা কড় কথাও শুনাইতে ছাড়ে নাই । দলে উমেশ রহিল উপবাসী, সাবু লইয়া মণিমালাওঁ আসিল ম; আর সাবিয়াও মণিমালার কটু কথায় ফল আনিতে লোক পাঠায় নাই । সেদিন ক্ষুধিত উমেশ চীংকার করিয়া বলিয়াছিল, ত্রিশঙ্কুর তযু মাথ গোজবার একটু ঠাই ছিল, কিন্তু আমার কপালে তাও নেই দেখছি । এমন ঘরে আগুন লাগিয়ে দিতে ইচ্ছে করে । উমেশ ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল, হঠাৎ মণিমালার চাপ কণ্ঠস্বরে নিদ্রাঞ্জড়িত কঙ্গে উঠিয়া বসিল । বধূ তুলিতেছিল, দেখবে এস, তোমার উপকার পরম কি ভাবে দাড়িয়েছে দেখবে এস । সে এই ঝড়-জলে কি জন্তে লাঠি এসেছে শুনি ? তোমার ঘর চৌকি দিতে বোধ হয়—ন ? মণিমালার কথা সত্য বটে— পরমই আসিয়াছে, কিন্তু তাহার বোধ করি দোষ নাই । বঁচিয়! থাকিবার আশাই স্বাথপুর মানুষের মধ্যে প্রবল ! সে যখন বলিয়াছিল, হুজুর যাদের থেয়ে মহিষ তাদের আমি এ অপকার করি কি ক’রে । মণি-ঠাকরুশ রাতে তেলাকে একা একা বাইরে আসতে দেয় না । লণ্ঠন হাতে পেছনে を常び、