পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nరిyt= প্রবাসী sNこ8いご একটি প্রণালী খোদিত করা হইয়াছিল। এই স্তম্ভ দুইটির চারিদিকে যে স্বচার কারুকাৰ্য্যের আভাস পাওয়া যায় তাহ খ্ৰীষ্টীয় ষষ্ঠ ও সপ্তম শতাব্দীর শিল্পীর কীৰ্ত্তি বলিয়৷ মনে হয়। সুতরাং অনুমান করা যাইতে পারে যে খ্ৰীষ্টীয় ষষ্ঠ ও সপ্তম শতাব্দীতে একটি দেবালয় বৈরাগীর ভিটায় অবস্থিত ছিল ; কোন কারণে তাহ ধ্বংসপ্রাপ্ত হইলে প্রথম পাল-যুগে তাহার উপরিভাগে ও তাহার অবশেষের দ্বারা আর একটি মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল এবং খ্ৰীষ্টীয় একাদশ শতাব্দীর পূৰ্ব্বে কোন সময়ে সেই মন্দিরও ধ্বংসপ্রাপ্ত হইলে দ্বিতীয় পাল-যুগে দৈর্ঘ্যে ১১১ ফুট ও প্রস্থে ৫৭ ফুট আর একটি দেবমন্দির প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ইহা ব্যতীত বৈরাগীর ভিটার ঐতিহাসিকতা নির্ণয় করিবার জন্য ঐযুক্ত দীক্ষিত সাতটি বিভিন্ন স্থানে পরিখা খনন করিয়াছিলেন এবং প্রায় প্রত্যেক স্থানেই প্রথম পাল-যুগের ধ্বংসাবশেষের নিম্নে গুপ্ত-সম্রাটগণের সমসাময়িক ও র্তাহাদের পরবর্তী কালের হৰ্ম্ম্যরাজির ধ্বংসাবশেষের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। বৈরাগীভিটার দক্ষিণ দিকে পরিথী-খননের ফলে খ্ৰীষ্টীয় দশম কিংবা একাদশ শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিত একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ ও ইষ্টকনিৰ্ম্মিত চতুষ্কোণ বেদিক পাওয়া গিয়াছে । মন্দিরটি দৈর্ঘ্যে ৩৯ ফুট ৬ ইঞ্চি ও প্রন্থে ৩৪ ফুট । মন্দিরের নিকটে একটি সড়কের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। এই রাস্ত হইতে মন্দিরের ভিত্তি প্রায় ৫ ফুট উচ্চে অবস্থিত। মন্দিরে প্রবেশ করিবার জন্ত পাচটি ধাপ-যুক্ত একটি সোপান প্রস্তুত করিতে হইয়াছিল এবং প্রত্যেক ধাপ একটি প্রাচীন মন্দিরের পাষাণ-স্তম্ভ। এই স্তম্ভের গাত্রে খোদিত কীৰ্ত্তিমুখ ও অন্যান্য কারুকার্য্য দেখিয় অতুমিত হয় যে পাষাণ-স্তম্ভগুলি ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম শতাবীতে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। গোবিন্দভিটা নামক মহাস্থানগড়ের আর একটি মৃন্ময়শুপ খনন করার ফলে আরও অনেক প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। খননের সময় একটি ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত প্রাচীরবেষ্টিত স্থানের দুইটি বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন যুগে নিৰ্ম্মিত অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ বাহির হইয়াছে । বেষ্টনীর পশ্চিম ভাগে অবস্থিত গৃহগুলি দুইটি বিভিন্ন যুগে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল বলিয়৷ অম্লমান হয়। ইহার মধ্যে প্রাচীনতর গৃহটি ( বোধ হয় দেবমন্দির ) নিৰ্ম্মাণের সময় ১৫ ইঞ্চি লম্ব ইষ্টক ব্যবহৃত হইয়াছে। ইহার নিৰ্ম্মাণকৌশল ও ইষ্টক পাহাড়পুরের মন্দিরের ভিত্তিগাত্রে পরিলক্ষিত হয়। ইহার ঠিক মধ্যস্থলে ৩০ ফুট লম্ব একটি মণ্ডপের ভগ্নাবশেষ পাওয়া গিয়াছে। মণ্ডপটি প্রাচীরের এত সন্নিকট যে তাহা দেখিয়া স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে মণ্ডপ ও তৎসংলগ্ন গৃহ ভূমিসাৎ না হওঁ, পৰ্য্যস্ত বেষ্টনীর প্রাচীর নির্মাণ করা অসম্ভব ছিল । শ্ৰীযুক্ত দীক্ষিতের মতে এই মন্দির খ্ৰীষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । তিনি আরও অনুমান করেন যে এই দেবালয় ধ্বংসপ্রাপ্ত হইলে প্রথম পাল-যুগের ধ্বংসস্তুপের উপর আর একটি মন্দির ও উপরিউক্ত প্রাচীর নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছিল। কালক্রমে এই মন্দির ও ধ্বংস হয় এবং ইহার উপরে মুসলমান যুগে নিৰ্ম্মিত একটি প্রাচীর এখনও দৃষ্টিগোচর হয় । প্রাচীরের পূর্বদিকস্থ ধ্বংসাবশেষগুলি ঐযুত দীক্ষিতেং মতে বাংলার ইতিহাসের চারিটি বিভিন্ন যুগে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। সৰ্ব্বোচ্চ অবশেষটি খ্ৰীষ্টীয় চতুদশ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন মুলতান ইলিয়াস্ শাহের সময়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল এবং ধ্বংসস্তুপের মধ্যে একটি মুৎপাত্রে তাং : অষ্টাদশটি মুদ্র পাওয়া গিয়াছে। ইহার ঠিক নি:ে যে প্রাচীরগুলি দৃষ্টিগোচর হয় তাহার নির্মাণকৌশল অতি হন এবং অকুমান হয় যে ইহা প্রথম মুসলমান আক্রমণেং পরে যখন বাংলার রাজনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হইয়া পড়িয়াছিল, তখন নিৰ্ম্মিত হয় । ইহার তলদেশে যে ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায় তাহা পশ্চিম দিকস্ত প্রথম পাল-যুগের মন্দিরের সমসাময়িক বলিয়া বোধ হয় । ইহারও তলদেশে আর একটি দেবালয়ের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়াছে । ইহার ইষ্টক ও নিৰ্ম্মাণকৌশল দেখিয়া প্রতীয়খন হয় যে ইহা খ্ৰীষ্টায় ষষ্ঠ বা সপ্তম শতাব্দীতে নির্শিত হইয়াছি । & উপরিলিখিত বিবরণ হইতে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে খ্ৰীষ্টীয় চতুর্থ হইতে ষষ্ঠ শতাব্দী পৰ্য্যস্ত বর্তমান মহাস্থানগড় একটি অতি সমৃদ্ধিশালী নগরী ছিল । ১৯১৫ সালে দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত দামোদরপুর গ্রামে গুপ্তরাজগণঃ যে পাচটি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়াছিল তাহা ইহঁতে