পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ברסא প্রবণসী ১৩৪৩ প্রদর্শনীর উদ্বোধনে সমবে ৬ জন ত; মুখোপাধ্যায়ের কাজই বিশেষ চোখে পড়ে। মোটের ওপর আধুনিক চিত্রাবলির মধ্যে শাস্তিনিকেতনের ছবিই ছিল বেশী ; তা ছাড়া পুরাতন চিত্রাবলির খুব উংকৃষ্ট নিদর্শন ছিল। রামকিঙ্কর বেইজ গঠিত কয়েকটি স্বন্দর মূৰ্ত্তি ছিল। অৰ্দ্ধেন্দ্রকুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের তোলা কতকগুলি ফটোগ্রাফে ভারতীয় ভাস্কর্য্যের ক্রমোশ্নতি বিশদভাবে দেখান হয়েছিল। প্রদর্শনীর তালিকাখানিও খুব শিক্ষাপ্রদ হয়েছিল । সাধারণতঃ তালিকায় যা থাকে তা ত ছিলই, তা ছাড়াও ছিল ভারতীয় শিল্পকলার ক্রমবিকাশের ইতিহাস এবং আধুনিক শিল্পধারার কর্ণধারগণের নাম ইত্যাদি । কিন্তু জানি না অবনীন্দ্রনাথের শিষ্য ও অনুশিষ্যগণের মধ্যে বীরেশ্বর সেনের নাম কেন বাদ পড়ে গেল। এরূপ বৃহৎকার্য্যে ভুলচুক অনেকই হয়ে থাকে, ত নিয়ে মাথা ঘামান অঙ্কুচিত। মোটের ওপর সরকার বাহাদুরের কোণকপ সাহায্য না পেয়ে এবং শত বাপবিঘ্ন সত্ত্বেও এরূপ প্রদর্শনী স্বচারুরূপে গঠিত করা খুবই প্রশংসনীয় । প্রদর্শনীর গ্রামিক কুটিরশিল্প-বিভাগ বিশেষ উল্লেখযোগ ও বর্ণনীয় । কিন্তু সে সম্বন্ধে কিছু লেখা সম্ভব হ’ল না । বাংলার লবণ-শিপের পুনর্বিকাশ শ্ৰীজিতেন্দ্রকুমার নাগ গত বর্ষের শ্রবণ সংখ্যা প্রবাসী’তে “বাংলার লবণ-শিল্প প্রবন্ধে এই প্রদেশে বহু দিন হইতে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ পর্য্যন্ত কিরূপ বিস্তৃত ভাবে লবণ প্রস্তুত হইত তাহার উল্লেখ করিয়াছি। মুসলমান আমল হইতে ব্রিটিশ আমলের পূর্ব পর্য্যস্ত কি কুটারশিল্পে, কি দেশীয় জমিদারদিগের স্ববৃহৎ কারবারগুলিতে, প্রচুর পরিমাণে লবণ প্রস্তুত হইয়া বঙ্গদেশের সর্বত্র এবং অন্যান্য প্রদেশেও চালান হইত। তৎকালীন হিজলী প্রদেশের নিমকমহাল বা মুনম্বীপের খ্যাতি আজও ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে। তৎকালের দ্যায় আজও বঙ্গপ্রদেশের দক্ষিণ-সীমান: বঙ্গোপসাগরের লবণাক্ত জলে প্লাবিত হইয়া মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যবহার্য্য লবণের অফুরস্ত ভাণ্ডার ধারণ করিয়; আছে । কিন্তু বর্তমানে নিম্নবঙ্গের সেই সহস্ৰ সংশ মলঙ্গীদের অস্তিত্ব নাই বলিলেও চলে। শুধু তাই নয়, অf" প্রাচীনকাল হইতে জলেশ্বর হইতে চট্টগ্রাম পৰ্য্যন্ত প্রায় স হ শত বর্গমাইল ধরিয়৷ সাগরকুলের অধিবাসীরা নিয়মিত ভাব নিজ নিজ কুটীরে লবণ প্রস্তুত করিতে অভ্যস্ত ছিল । বাংলার এই নষ্ট শিল্পের প্রতি আমরা এতদিন উদাসীন