পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లag প্রবাসী SNలిgNరి মাটি-সংগ্ৰহ । ছিলাম। এক্ষণে তাহা পুনরায় কিরূপ ভাবে পুনর্বিকশিত হইতেছে তাহাই আলোচনা করিব । হিজলীপ্রদেশের পূৰ্ব্বেকার নিমকমহলে অর্থাৎ বৰ্ত্তমান কঁথি মহকুমার লবণক্ষেত্রে কুটারশিল্পে এবং কয়েকটি নূতন দেশীয় প্রতিষ্ঠানে লবণপ্রস্তুতির কিরূপ প্রসার বাড়িতেছে তাহ সম্প্রতি দেখিয় আসিয়াছি । পাঠকবর্গ সম্ভবতঃ জানেন যে ১৯৩০ সাল হইতে গান্ধীআরউইন চুক্তি অনুসারে সমুদ্রতীরবাসীদের ব্যবহারোপযোগী লবণ প্রস্তুত করিতে এবং তাঁহা বিনা-গুদ্ধে ব্যবহার করিতে সরকার অনুমতি দিয়াছেন। নিকটস্থ গ্রামে বা হাটে এই লবণ বিনাশুদ্ধে বিক্রয় করিবার অধিকারও তাহাদের দেওয়া হইয়াছে। তাহার ফলে আজ মেদিনীপুর, ২৪-পরগণ, সুন্দরবন, বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম— সৰ্ব্বত্রই এই ফুটরশিল্প কয়েক বৎসরে বেশ প্রসার লাভ করিয়াছে। অবশ্ব ইহার পরিমাণ এমন নয় যে তাহা মধ্যস্থলে শ্ৰীপ্রমথনাথ চৌধুরী সাদ জল নোনামাটিতে 8ffলয় নেন জল বহিষ্করণ কলিকাতা বা কোন বড় শহরে চালান দেওয়া ধাইতে পারে । চালান দিলেও শুস্কযোগে বিদেশী লবণের তুলনায় অনেক বেশী দর পড়িয়া যায়। এই লবণ অতি পরিস্কার, কিন্তু স্থানীয় বাজারে হাটে মাশুল না দিয়া ইহার মণকরা দর বারে! আন এক টাকার কম নহে। সেই জন্য স্থানীয় লোকেরা দুই-এক পয়সা সেরে প্রয়োজন-মত ক্রয় করিয়া লইয়া যায়। সকলের পক্ষে—বিশেষতঃ যাহারা সমুদ্রকুল হইতে দূরে বাস করে তাহদের লবণ প্রস্তুত করা সম্ভব নয় । বেশীর ভাগ উপকৃলবাসী কৃষকগণই যে-সময়ে ধান্তক্ষেত্রে কোন কাজ থাকে না, সেই সময় লবণ প্রস্তুত করে । বঙ্গদেশে বৃহৎ পরিমাণে (কমার্শিয়াল স্কেলে) লবণ প্রস্তুত করা যায় কি-না তৎসম্বন্ধে অনুসন্ধান করিবার জন্য বাংল। সরকার পিটু সাহেবকে নিযুক্ত করেন। পিটু সাহেবের নিম্নলিখিত মন্তব্য হইতে জানা যাইবে, কুটারশিল্পে অতি সহজ উপায়ে কিরূপ পরিষ্কার লবণ প্রস্তুত হয় :–