পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి\డిgN9 ృతిer প্রবাসী 。賢 এসব শাড়ী ওদের মত ঘরে মানায় না। আল্লার শাড়ীর স্বপ্ন জাখ-পাত ডুরের উদ্ধে কখনও ওঠে নি। ভবতোষ স্ত্রীর প্রণাম আশা করে নি। খতমত খেয়ে আল্লার হাত ধ’রে তাকে তুলে নিলে। অপ্রস্তুত হয়ে হেসে বললে, “ওকি, ওকি, পেন্নাম কিসের ...ভারি ত শাড়ী ! ঐ তেওয়ারীর বাড়ী গিয়েছিলাম কিনা, গিয়ে দেখি এক ফেরিওয়ালা শাড়ীর র্বোচক খুলে বসেছে। রকম-বেরকমের কত শাড়ীই যে এনেছে—কিন্তু যা দাম হাকছে, আমাদের মত লোকের কেনবার জো কি ? এইখানা সেই কাপড়ওয়ালা আমাকে দেখিয়ে বললে, ‘বাবু কি বলব, এর দাম দশ টাকার কম নয়। তবে আপনাকে আদেক দামেই দেব-এই দেখুন একটা জায়গায় একটু ইদুরে কেটে দিয়েছে বাবু, নষ্ট করে দিয়েছে কাপড়খানা । এই দেথ না, পাড়ের কাছট একটু কাটা । কিন্তু ওটুকু কে বা দেখতে পাবে? আমি দাও বুঝে দর-কষাকষি ক'রে শেষে ৩০ টাকায় কিনলাম। ভাল হয় নি ? ঐ কাটাটুকু না থাকলে এ কাপড় আমাদের মত লোকের কেনবার সাধ্যি কি ? তেওয়ারীকে বললাম, দাদ দিয়ে দাও দামট—ও মাসের মাইনে পেলেই ফেলে দেব তোমাকে টাকাটা । তেওয়ারী মাতুম ভল—তখুনি দিয়ে দিলে । তার পর এই আসছি ।” আন্না দামটামের কথা আত বোঝে না । কাট পাডটুকুর কাছে পরম মেহে হাত বুলতে বুলাতে বললে, “এ একটুখানি কাটা—আমি সেলাই ক’রে নেব—বোঝাও বাবে না। বাঃ বেশ শাড়ীখানি, চমৎকার দেখতে । বিয়ের সময়ে ম৷ বলেছিল ফুলশৰ্য্যেতে আমাকে একখান এমনি ভাল শাড়ী দেবে—তা শেষট। আর হয়ে উঠল না। বেশ শাড়ীটা ।” সন্ধ্যাবেলা ষ্টেশন-মাষ্টারের স্ত্রী কুহমলতার বাড়ী নূতন শাড়ীখানি পরে আন্ন বেড়াতে গেল । বললে, “কিছুতে ছাড়লে না দিদি—বললে পুরো পরো, সখ ক'রে আমি কিনে আনলাম, পরবে না ত কি বাক্সে বন্ধ ক'রে রাখবে নাকি ? কত বললাম যে এই ত আর একট মাস বাদেই পুজো, একেবারে সেই গিয়ে ষষ্ঠীর দিনেই ত শাড়ীখানা পরব। তা কি রাগ, সে কথা শুনে বললে, কেন পূজোর সময়ে না-হয় আর একখান কেনাই হবে—এইটে না রাখলেই কি নয় ? কি করি দিদি-নেমস্তন্ন-আমস্তন্ন না, নতুন দামী শাড়ীখানা শুধু শুধু আজই ভেঙে পরতে হ'ল। কেমন হয়েছে দিদি কাপড়খানা ? এই দেখ না—একটুখানি কাটা শুধু—ও কি দেখা যাবে ? আমি তোমায় দেখিয়ে দিলুম তাই—ন হ’লে কি ধরতে পারতে ! হ্যা, তা আর ধরতে হয় না।” তার পর হাতের মুঠোর ভিতর থেকে একটি সিকি বার করে কুমুমের হাতে দিয়ে আল্লা আবার বললে, "দিদি, বাটি এনেছি—তুমিত এই পরশু দিন দেড় সের ঘি কিনলে দেখলুম, আমায় তাই থেকে আজ ঐ চার আনার যুগ্যি ঘি দেবে ? বাজার থেকে কা’কে দিয়ে আনাব ভাই ? বললে ত ওকেই বলতে হবে—ধর পড়ে যাব । লুকিয়ে তাই তোমার কাছে এসেছি—দেবে দিদি ?” কুহমলতা হেসে বললে, “এত লুকোচুরি কেন রে ? কি করবি ঘি নিয়ে ?” আল্লা লজ্জায় ব্লাঙী হয়ে উঠল । দিকে চোখ তুললে, আবার চোখ দুটি নামিয়ে বললে, “দণ্ড ন দিদি, একটা মজ হবে ।” নাচোড়বাপদ । হেসে একবার সর্থী মজাট কিসের না বললে আল্প। নিরুপায় হয়ে বললে, কুসুমলতা সে কিছুতেই ধি দেবে ন । “লুচি ভাজব দিদি রাত্তিরে । দিলে ৪—আমিও ওকে লুকিয়ে আঞ্জ লুচি ভেঙ্গে ধ:৪৮:ব ডিম কিনেড়ি ছুটে!—কালিয়; রোধে এসেছি । কিন্তু লুf: ভাঞ্জবার ঘি ত নেই, তাই ভাবধুম ধাই দিদির কাছে চেয়ে আনি । লুচি কি রকম যে ও ভালবাসে তুমি ত জানই দিদি , সেই ধে খাওয়ানোর দিন—কি হয়েছিল মনে নেই ? ক’থান লুচি ও খেয়েছিল সেদিন " আল্ল হাসতে লাগল। ঘি নিয়ে আয় নিজের ঘরে এসে জানাল দিয়ে মুখ বাড়িয়ে দেখলে একখানা মালগাড়ী এসে থেমেছে সামনে । এটা ছোট্ট ষ্টেশন, ডাকগাড়ী এখানে থামে না। আমাকালী মাঝে মাঝে স্বামীকে বলে, “হঁ্যাগে কুসুমলতাদিদি বলে যে ওর আগে যেখানে থাকত সেখানে নাকি ডাকগাড়ী থামত । সে গাড়ীতে কত লোক কত আলো-আবার নাকি এক রকমের হোটেলখনীর মত গাড়ী থাকে, সে গাড়ীতে গিয়ে সাহেবমেমের খান থেয়ে আসে । থানসামারা সব মেমেদের খান খাওয়াত, কুম্মলতাদিদির নিজেদের বাড়ীর ভিতর ব'সে দেথতে পেত সব । সে নাকি চমৎকার দেখতে--- আমায় Lধমন মী-জলিয়ে "";