N39ই প্রবাসী ゞBNご বিরাজ করতে লাগল, কিন্তু তার চোখের সম্মুখ থেকে সেই ঐশ্বৰ্যময়ী জ্যোতিৰ্ম্ময়ী মূৰ্ত্তি যেন সরে যেতে পারলে না। অন্ধকার জানলায় আন্না দুই চোখ বাইরের দিকে রেখে চেয়ে রইল—তার চোখে সেই শুভ্র রং, সেই কালো শাড়ী, তার জরির পাড়, সেই সোনার গহনা, সেই কানের দুল যেন মায়াজাল বিস্তার ক’রে ধরেছে । মেয়েটির পায়ের জুতা অবধি কি চক্চকু করছে ---জুড়াও কি সোনায় মোড় ? অনেক ক্ষণ পরে স্বামীর পায়ের শব্দে চকিত হ’য়ে আন্না মুখ ফেরালে। কালে আলপাকার একমাত্র কোটটি খুলে অনিলায় রাখতে রাখতে ভবতোষ বললে, “আজ এই গাড়ীতে আমাদের বড়সাহেব তার মেমকে নিয়ে গেলেন । মালগাড়ীর পেছনে তার সা গাড়ী ছিল, দেখেছিলে নাকি? তাইতে মেমসাহেব ছিলেন ।” আন্না ভাবলে মেম কোথা—-সে ত তারই মত বাঙালীর মেয়ে, বাঙালীর বেী, বাংলা কথা বলে । কিন্তু মুখে কিছু বললে না। উনুনের আগুন মান হয়ে এসেছে—লুচির জোগাড় এখনও কিছু করা হয় নি। স্বামীকে আশ্চৰ্য্য ক'রে দেবার কথা এতক্ষণ মনে ছিল না আল্লার । থালাথানা এনে ময়দা মাখতে হবে, তার পর থালাট আবার মেজে নিয়ে তাইতে স্বামীকে খেতে দেবে। আন্না ঘরের কোণ থেকে থালাখানা আনতে গেল। সেই বাঙালীর মেয়েটি হয়ত এতক্ষণে সেই ছ-থানা বাসন-সাজান টেবিলে স্বামীর সঙ্গে থেতে বসেছে । রূপোর অতগুলো অত রকমের জিনিষপত্র খাবার সময়ে কি কাজে লাগবে কে জানে । আলনার উপর তার নূতন শাড়ীখানি দুলছে। প্রদীপের আলোয় তার বেগুনী রংটা যেন স্নান বোধ হ’ল । পাড়ের কাটাটুকু উপরেই রয়েছে--ভবতোষ সেইটুকু হাতে তুলে দেখছে । বললে, “এটুকু কাল কিন্তু সেলাই ক’রে নিও-- কিছু বোঝা যাবে না।” আল্লার মনে হ’ল অনেকটা ছেড়—সেলাইয়ে কি ঢাকবে ? সেই মেয়েটির শাড়ীখানা ট্রেনের আলো পড়ে ঝকঝক করছিল, আল্লার চোখে তাই ভাসছে । ১৮১৮ সালের ৩ নং রেগুলেশন ঐযতীন্দ্রকুমার মজুমদার, এম.এ, পিএইচ-ডি, বার-এটু-ল বিগত স্বদেশী-আন্দোলনের যুগ হইতে বিভিন্ন সময়ে ১৮১৮ সালের ৩ নং রেগুলেশনে দেশের কয়েক জন লোকপ্রিয় নেতাকে আটক রাখায় ইহা লোকের যতটা দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছে ও সমালোচনার বিষয় হইয়াছে এরূপ আর পূৰ্ব্বে কখনও ঘটে নাই । এই রেগুলেশনট বহু প্রাচীন এবং ইহার দ্বারা মধ্যে মধ্যে যে দেশীয় লোককে আটক রাখা হইয়াছে তাহার অনেক দৃষ্টান্তও পাওয়া যায় ; কিন্তু ইদানীং ইহা যেরূপ জনমত জাগ্রত করিয়াছে এরূপ আর পূৰ্ব্বে হয় নাই । বহুকাল পূৰ্ব্বে কেবলমাত্র একবার জনৈক ব্যক্তিকে এই রেগুলেশনে আটক রাথ হইলে তিনি ইহার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা উপস্থিত করিয়াছিলেন । ইহার বিবরণ পরে দিব । যাহা হউক, এই রেগুলেশনের ন্যায্যতী-অন্যায্যতা লইয়। এক্ষণে যে আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছে তাহার বিষয় কোনও আলোচনা করা আমার এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য নহে, কেবল ইহার বিধি-ব্যবস্থার বিষয় লোকের ঠিক ধারণ না থাকায় তাহার বিযয় এখানে কিছু বলাই আমার উদেশ্ব । ১৭৭৩ খ্ৰীষ্টাব্দের ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী য়্যাক্টের (যাং রেগুলেটিং য়্যাক্ট নামে খ্যাত ) দ্বারা ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী যখন পালামেণ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে প্রেথম ভারতশাসন
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।