\రివ\, প্রবাসী ్స లgN9 রবীন্দ্রনাথ পৌত্তলিক নহেন, কিন্তু তিনি বিশ্বের সর্বত্র, মাহুযের মধ্যে, প্রকৃতির মধ্যে র্তাহার জীবনদেবতার প্রকাশ দেখিতে পান । তিনি যে ভাষায় চিস্ত করেন সে ভাষাও এই দেশেরই ভাষা । তিনি যখন বলেন, “আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণগুলার তলে, কিংবা “সন্ধা হ'ল গো ওম—সন্ধ্যা হ’ল বুকে ধর” তখন তিনি যে পৌত্তলিক একথা কেহই বলিবে না। ব্যক্তিগতভাবে কে কি বিশ্বাস করেন বা মানেন, তাহার সহিত সাহিত্যেব ভাষার কোনও সম্বন্ধ নাষ্ট । বাইবেল সাম্প্রদায়িক সাহিত্য নহে, কিন্তু মথি-লিখিত সুসমাচার সাম্প্রদায়িক সাহিত্য । কোরান সাম্প্রদায়িক সাহিত্য নহে, কিন্তু মুসলমানগণ তাহ যদি বিরুত ভাষায় প্রচার করিতে থাকেন তবে তাঙ্গ সাম্প্রদায়িক সাহিত্যে পরিণত হইবে । তাহারা যদি সাম্প্রদায়িক না হঠতে চাহেন তাহা হইলে বাংলা-সাহিত্য এবং ভাযাকে চোখ বুজিয়া মানিয়া লউল, হহ ছাড়া অন্য উপায় নাই । বাংলা সরস্বতী বা অন্য দেবতার পরিকল্পন। এই দেশের মাটিতেই হইয়াছে । সরস্বতীকে বাদ দিলেও বিদ্যা থাকিবে, এবং বিদ্যাও দেবতারই নাম । ইহাকে স্বীকার করিয়া লইলেই তবে সাম্প্রদায়িকতা হইতে মুক্ত হওয়া যাঙ্গবে ; কারণ আরব দেশের ভাষা এব’ চিম্বারাতি এবং আবহাওয়া এবং প্রকৃতি এদেশের সঙ্গে কোনকালেই মিলিবে না। যেমন, গঙ্গানদী বা আমগাছ এদেশের নদী বা গাছ বলিয় মুসলমানগণ ইতাদিগকে ত্যাগ করিতে পারেন না, তেমনই ভাষার ভিতর শত শত দেবতার নাম রহিয়াছে বলিয়। সে ভাষাও তাতার ত্যাগ করিতে পারেন না। দুই-ই এদেশে জন্মিয়াছে। সাময়িক ভাবে সাম্প্রদাধিক মনোভাব সহিত্যে আরোপ করিয়া এমন কথা বল চলে যে আরব দেশে গঙ্গানদী বা আমগাছ নাই বলিয়। মুসলমানগণ এদেশের প্রকৃতি-বর্ণনায় কেবল খেজুর গাছেরই উল্লেখ করিবেন । কিন্তু তাতে যে পরিতৃপ্তি র্তাহার লাভ করিবেন তাহাও সাময়িক হঠবে। চিন্ত| করিবার মত যদি মনের অবস্থা থাকে তাহ। গুইলে মুসলমানগণ একটু চিস্তা করিয়া দেখুন, তাহার একটি উৎকট রূপে হাস্যকর আন্দোলনে যোগ দিয়াছেন । সাহিত্যে যদি গঙ্গানদী এবং আমগাছের অস্তিত্ব রাথ্য সম্ভব Jqtwľ*[3] হয় তাহা হইলে এদেশের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকেও রাখা সম্ভব হইবে। এদেশের প্রাচীন সম্পদ ত এদেশের হিন্দু, মুসলমান, খ্ৰীষ্টান সকলেরই সম্পদ। মধুসূদন দত্ত খ্ৰীষ্টান হইয়াও র্তাহার ভারতীয়ত্বে গৌরব অতুভব করিয়াছেন। মুসলমানগণ পরিবেন না কেন ? খ্ৰীষ্টান বা হিন্দুর যে ভয় নাই, মুসলমানের সে ভয় আসিল কোথা হইতে ? আমরা হিন্দু হইয়া আল্লার নাম করিতে পারি, গীর্জায় গিয়া উপাসনা করিতে পারি ; ইহাতে আমাদের হিন্দুত্বের কোনও ক্ষতি হয় না। এবং এক হিসাবে দেখিতে গেলে সাহিত্যে বা সমাজে, আমরা যে হিন্দু একথা প্রায় সৰ্ব্বদ বিস্মৃত হইয়াই থাকি । মুসলমানগণ নূতন করিয়া আমাদিগকে স্মরণ করাষ্টয়া ন-দিলে ধৰ্ম্ম আমাদের সাহিত্যে, শিল্পে বা জীবনধারণ-বিষয়ে কোন বাধাই সৃষ্টি করিত સ્વ! ! ভারতীয় পৌরাণিক সাহিত্যকে ‘মোহাম্মদী “কেচ্ছ" BBBS BB BBBB BBBB BB SBBBBSS BBB লজ্জিত হন না । ঠত। দ্বার), ধৰ্ম্ম যে মুসলমানদের অতিশয় প্রিয় কেবল ইতাই প্রমাণিত হয়। পুথিবীতে যত জাতি আছে তাহদের নিজেদের একটি করিয়া বিশেয আদর্শ আছে, এবং এ কথাও নিজেদের সেই প্রত্যেকেরই জাতিত জোর করিয়া বলা যায় যে কোন জাতিত আদর্শে অদ্যাথধি পৌছিতে পারেন নাই । কত ত্রুটি । মুসলমানের অদশ হয় তাহা হঠলেও একথা বলা চলে যে অধিকাংশ মুসলমান ব্যক্তিগত ব, জাতিগত ভাবে সে আদর্শে পৌষ্ঠিতে পারেন নাই । অন্তকে বিদ্বেষ করা বা অন্যের আদর্শ সম্বন্ধে কুৎসিত মস্তব্য করা বা অন্য ধৰ্ম্মের মিনা করা, মামুষের কত দুর্বলতা, কত ভ্রাস্তি, ইসলামীয় সভ্যতা যদি ইহা নিশ্চিভঙ্গ ইসলাম ধৰ্ম্মের আদর্শ তঃ তে পারে না, অথচ দেখা যাইতেছে ‘মোহাম্মদ’র লেখকগণ ব্যক্তিগতভাবে এই সব দোষে দুষ্ট হইয়৷ পণ্ডিয়াছেন । ধৰ্ম্মসাধনা বা ঈশ্বরকে পূজা করা ইহা নিতান্ত ব্যক্তিগত বা সম্প্রদায়ুগত ব্যাপার, ইহার রীতি লক্টয় দাম্ভিকতা করা মানুষের পক্ষে শোভন নহে। কিন্তু একথা নিশ্চিত যে মানুষের ধৰ্ম্মবিষয়ে যত বড় আদর্শই থাকুক, মামুযের কোথাও-না-কোথাও একটা সীমা আছেই । সে কাগজে
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।