পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষাড় স্থানহীন । পঞ্চভূতের যখন বিনাশ আছে তখন ত সে পঞ্চভূতাতীত, সুতরাং স্থানহীন, ব্যোমেরও অতীত সে । উ:-—। রসরাজ পিঠ হইতে আঙ্গুলে টিপিয়া কি একটা ধরিয়া আনিয়া সেটাকে মামুষের অভ্যাসমত পিষিয়া মারিতে গিয়া নিরস্ত হইল । সেটাকে ছাড়িয়া দিয়া পলিল-—আহ-হা— মরে যাবে ! একটা মৌমাছি সেট । রসরাজের পিঠে দংশন করিয়াছিল ।” নীলমাধব বাবু ডায়ের বন্ধ করিয়া দিয়া বলিলেন—এর পরষ্ট কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও মুসলমান gc“, আমি কলকাত চ'লে যাই । মাস চারেক পর ফিরে এদে শুনলাম রসরাজ নাকি সম্পূর্ণ পাগল হয়ে গেছে। গেলাম তার কাছে । আমায় দেখেই বললে—দাড়। বলেই আমার চারিদিকে ফু:-ফঃ করে ফু দিতে আরম্ভ করলে । চোখে জল এল, তবু বল্লাম—শু কি হচ্ছে ? খুব গম্ভীরভাবে সে বললে--তোর চারি পাশে মুতু, ফ দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছি। পাগলের দুর্বোধ্য ডায়েরীর পাতায় মোটা অক্ষরে লেখা কয়টি কথা আমার মনে পড়িল—কে সে ? কি তার রূপ ? নীলমাধব বাবু বলিলেন—আমি ভাবি রসিক পাগল হ’ধুে হাসল না কেন ? হাসির প্রতিদ্বনি কি কয় ? কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও মুসলমান রেজাউল করীম, এম-এ, বি-এল কিছু দিন পূৰ্ব্বে মাল্লুবর ঢাকার নবাব-সাহেব ধগন বঙ্গ-সাহিত্য বিজয় করিবার জন্য আম্ফালন করিয়াছিলেন, তখনই আমাদের সন্দেহ হইয়াছিল, এই আন্দোলন এথানে শেষ হইবে না, ক্রমে ক্রমে ইহা সীমা লঙ্ঘন করিয়া অন্যত্র সংক্রামিত এখন দেখিতেছি, আমাদের এই সন্দেহ সম্প্রতি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব-সাহেবের হইয়া পড়িবে। নিত্যস্ত অমূলক নহে । বিরুদ্ধে একটা অভিধান আরম্ভ হইয়াছে । সেই বিখ্যাত বক্ততার পর হইতে আজ পয্যন্ত যে-সব ঘটনা ধটিয়া গেল, তৎপ্রতি লক্ষ্য করিলে স্পষ্ট অনুমিত হইবে যে, এ দেশের ভাষা, সাহিত্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে একটা বিরাট, যড়যন্ত্ৰ চলিতেছে। এই ষড়যন্ত্রের মূল উদ্ধেশু মুসলমান-সমাজের গতি রাজনীতি হইতে ফিরাইয় আনিয়া এষ্ট সব বিষয়ের দিকে পরিচালিত করা । যদি কোন-না-কোন প্রকার হিন্দু-বিরোধী আন্দোলনে মুসলমানদের সমুদয় শক্তি নিয়োজিত হয়, তবে হয়ত মুসলমানসমাজ সরকারের কার্য্যের প্রতিকুল সমালোচনা অথবা প্রগতিশীল রাজনীতি চর্চা করিবার অবসর পাইবে না । আর 6 -* : : সেই মুখেগে, এক রূপ বিনাবধায়, সগৌরবে বাংলার বুকে সাম্রাজাবাদের বিজয়রথ চলিতে থাকিবে, তথাকথিত শাসনসংস্কারকে কাৰ্য্যকরী করা সম্ভব হইবে । হিন্দুদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকিলে তাহার প্রতিবাদ করিও না, অথবা কোনও রূপ প্রতিকারের চেষ্ট করিও ন},--আমর কোনওঁ দিলই এ কথা বলিব না । বরং ইতাই বলিব যে তাহ:র প্রতিকারের জন্তু সৰ্ব্বপ্রকার সঙ্গত উপায় অবলম্বন করা কিন্তু প্রতি বাদ ও প্রতিকারের কথাটা সম্মুখে রাথিয় অন্য কোনও নিখুট উদেশ্ব সাধন করিবার জন্য যদি কোন আন্দোলন কর; হয় তবে কোনও স্বদেশপ্রাণ মুসলমান তাহাতে যোগদান করিবে না । কারণ তাহাতে মূল অভিযোগ দূর হইবে না, কিন্তু যে কর্তব্য | নিগুঢ় উদ্বেগু সাধনের জন্য আন্দোলন হইবে, তাহাই সিদ্ধ হইবে । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন আৰম্ভ হইয়াছে, আমরা তাহাকে এই শ্রেণীর বস্তু বলিয়ু মনে করি। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে যে-সব অভিধোগ