অণষণঢ় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও মুসলমান 8్సNడి সেই আড়ষ্টতা ও অবসাদ । আর যাহারা উচ্চশিক্ষিত তাহারাও মধ্যযুগকে বরণ করিয়া লইতে সম্মত নহেন। সেখানেও কি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হিন্দু-সংস্কৃতি চূড়াইতে গয়াছে ? সৰ্ব্বশেষে ভারতের বাহিরে গেলে কি দেখ Iাইবে ? খলিফা-প্রভাবাধীন তুরস্কের অবস্থার সহিত আজিকার তুরস্কের তুলনা করিলেই মুসলমানদের অধঃপতনের লীভূত কারণ স্পষ্ট বুঝা যাইবে । তুরস্ক, পারস্ত প্রভৃতি দশ আজ তথাকথিত মুসলিম-সংস্কৃতি ও মুসলিম-সংহতির মাহে নিজেদের সর্বনাশসাধন করিতে সম্মত নহে। তাহার বশ্বের যেখানে যাহা ভাল আছে তাহাই সংগ্ৰহ করিয়া নজেদের অবস্থার উন্নতি করিতে চায়। বাংলার সলমানদিগকেও আজ সেই পথ অবলম্বন করিতে হইবে। সলমানদের অধঃপতনের ৪ শোচনীয় পরমুখাপেক্ষিতার মূল চাবণ অঙ্গসন্ধান করিতে হঠলে নিজেদের দিকে দৃষ্টিপাত চরিতে হুইবে সমাজের অভ্যস্তরে গলদ থাকিলে, অপরকে তাহার জন্য দায়ী করিলে কোন দিনই নিজের সংশোধন তেবে না । কলিকত; বিশ্ববিদ্যালয়কে চেয় প্রতিপন্ন করিয়; অথবা তাকে সরকারের করতলগত করিয়া দিতে সাহায্য করিয়া সলমানদের কোন লাভ হইবে না। আমবা ইহা বেশ জানি, মদের উপর অপ্রতিহতভাবে নেতৃত্ব চালাইতে গেলে একআধটু হিন্দুবিরোধী আন্দোলনের সহিত সংযুক্ত না থাকিলে লিবে না। কিন্তু তাহার জন্য ত রাজনীতির প্রশস্ত ক্ষত্র পড়িয়া আছে । বাটোয়ারা, চাকরি-সমস্ত, বাজনা সমস্ত—এই সবই ত হিন্দুবিরোধী কাৰ্য্যের বেশ উত্তম থোরাক ওঁ ভাইটামিন-যুক্ত জোগাইতে থাকিবে । এসব ছাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর শেনদৃষ্টিপাত করিবার কি দরকার ? যাহাকে-তাহাকে দিয়া, কতকটা বেনামী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে গরম-গরম ভাষায় দু-একটা প্রবন্ধ লিখাষ্ট্ৰয় লইলেই সব কাজ ফরস হইবে না। আমাদের অভাব মোচন করিতে ইষ্টলে তাহার অন্য উপায় আছে। শিক্ষা-সংস্কার করিতে হইলে, বর্তমানে সব চেয়ে প্রয়োজনীয় বস্তু হইতেছে অজস্র টাকার । সমাজের নিকট হইতে এই অর্থ আদায় করিয়ু বিশ্ববিদ্যালয়কে সাহায্য করুন, মুসলিম-সংস্কৃতির উদ্ধারের জন্ত বিভিন্ন বিভাগ খুলিয়া দিন, কয়েক লক্ষ টাকা দিয়া উচ্চ আলোচনার ( higher studies ) GE CFTH NER FTH, z tfisi #țH খুলিয়া দিন, ইসলামের ইতিহাসের বিভিন্ন বিভাগ পড়াইবার ব্যবস্ত করিয়া দিন । আর এই সব ইসলামী বিভাগে এমন ব্যবস্থা করিতে হইবে যে তাহাতে কোন অমুসলমান পড়িতে আসিলে সে যেন পড়ার সম্যক সুযোগ ও বৃত্তি পাইতে পারে । এই সব করিলে অল্পদিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী শিক্ষার কেন্দ্র হইবে, অথচ তাহা মক্তব-মাদ্রাসার মত মধ্যযুগীয় অদশের প্রতীক বিশ্ববিদ্যালয়কে সংশোধন করিবার ইহাই হইল প্রকৃত পস্থা । কিন্তু তাহা ম: করিয়া পরের মাথায় কাঠাল ভাঙিয়। থাইতে গেলে সে কেন তাহা সহ্য করিবে ? বাহিরের লোকের আক্রমণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্য ও অধিকার ক্ষুঃ হইতে পারে, কিন্তু তাহাতে আমাদের কিছুই কাজ হইবেন । কিন্তু উই’র ভিতরে প্রবেশ করিয়! অর্থসাহায্য দ্বার: উহাকে পুষ্ট করিলে উহার ইষ্টবে ন} । স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকিবে, অথচ প্রকৃত কাজ হই বে। আমর। এ-বিষয়ে প্রত্যেক মুসলমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।